Advertisement
Advertisement

Breaking News

মিমি চক্রবর্তী

নববর্ষে এইচআইভি পজিটিভ শিশুদের পাশে মিমি, নতুন জামাকাপড় তুলে দিলেন ওদের হাতে

শিশুদের মুখে হাসি ফোটাতে ভূড়িভোজের ব্যবস্থাও করলেন।  

Mimi Chakraborty extends help HIV positive children on Bengali new year
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:April 14, 2020 7:35 pm
  • Updated:April 14, 2020 7:35 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নববর্ষ মানেই নতুন জামা-জুতো। ভূরিভোজ। পারিবারিক আড্ডা। এবার লকডাউনের জেরে সেই চিরাচরিত ধ্যানধারণার হেরফের হলেও আমাদের কাছে কিন্ত বর্ষবরণ মানেই এসব। কিন্তু ওরা, যাঁদের কেউ নেই। কিংবা শরীর থেকেও পরের উপর নির্ভরশীল, পরিবার-স্বজনের থেকে দূরে, ওদের কাছে কিন্তু পয়লা বৈশাখের সংজ্ঞাটা আর পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা কিছু নয়! কিন্তু কেনই বা বঞ্চিত থাকবে ওরা এই আনন্দ থেকে? ওরাও কেন আমাদের মতো নববর্ষ যাপনে শামিল হবে না, কেন ওদের ক্যালেন্ডারও রঙিন হবে না? সেই ভাবনা থেকেই সোনারপুর লাঙ্গলবেড়িয়ার গোবিন্দপুরের কাছে আনন্দ ঘর ফাউন্ডেশনের বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের জন্য নতুন জামা-কাপড় এবং পয়লা বৈশাখ উপলক্ষে ভূড়িভোজের আয়োজন করেছেন।

এই সংস্থার প্রায় বেশিরভাগ শিশুরাই এইচআইভি পজিটিভ। লকডাউনের মাঝে কীভাবে তাঁদের মুখে হাসি ফোটানো যায়, সন্দিহান ছিলেন ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ। সেই সময়েই তাঁদের জন্য এগিয়ে এলেন সাংসদ মিমি চক্রবর্তী৷ মিমি তাঁর আপ্ত সহায়ক অনির্বান ভট্টাচার্যের মাধ্যমে শিশুদের হাতে তুলে দিলেন নতুন জামাকাপড়৷ পাশাপাশি তাদের খাবারের ব্যবস্থাও করেন তিনি৷ শুধু তাই নয়, ভিডিও কলে তাঁদের সঙ্গে কথাও বলেন। এই উদ্যোগ রাজনীতিক হিসেবে নয়, বরং ব্যক্তিগতভাবেই মানবিক দিক থেকে মিমি এই শিশুগুলির পাশে দাঁড়ালেন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুস্থ কলাকুশলীদের জন্য মমতার ভাবনায় শর্টফিল্ম, নববর্ষে মুক্তি পেল ‘ঝড় থেমে যাবে একদিন’]

নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি এই কঠিন পরিস্থিতিতে হোমের প্রতিটি বাচ্চাকে সাবধানে থাকার পরামর্শও দেন সাংসদ-অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী৷ তাঁর এই উদ্যোগে পাশে পেয়েছেন বারুইপুরের পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খানকেও৷ তিনি নিজে এদিন হোমে উপস্থিত ছিলেন৷ হোমের বাচ্চাদের সঙ্গে সময় কাটান৷ তাদের খাবার পরিবেশন করেন৷ পয়লা বৈশাখে নতুন জামাকাপড় পেয়ে খুশি হোমের প্রত্যেকেই৷

Advertisement

উল্লেখ্য, করোনা মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই নিজের সাংসদ তহবিল থেকে ৫০ লক্ষ এবং ব্যক্তিগতভাবে ১ লক্ষ টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দান করেছেন যাদবপুরের তারকা সাংসদ। COVID-19-এর সঙ্গে লড়াই করতে নিজের এলাকায় একটি টিমও গঠন করেছেন সাংসদ মিমি (Mimi Chakraborty)। যাঁরা প্রত্যহ প্রতিটা মুহূর্তে এলাকাবাসীর সুবিধে-অসুবিধের দিকে নজর রাখছেন। দুস্থদের হাতে রেশন বিলি থেকে পথ কুকুরদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা, হোয়াটসঅ্যাপে প্রেসক্রিপশন পাঠালেই বাড়িতে ওষুধ পৌঁছে দেওয়ার মতো একাধিক অভিনব ব্যবস্থা করেছেন সাংসদ।

[আরও পড়ুন: দুস্থ কলাকুশলীদের জন্য মমতার ভাবনায় শর্টফিল্ম, নববর্ষে মুক্তি পেল ‘ঝড় থেমে যাবে একদিন’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ