Advertisement
Advertisement
CAA

‘হুমকির মুখে দেশের আত্মা’, CAA ও NRC বিরোধিতায় খোলা চিঠি নাসিরুদ্দিন-মীরা নায়ারের

পড়ুয়াদের উপর হওয়া অত্যাচারের নিন্দা করা হয় ওই চিঠিতে।

'Nation's soul threatened': Naseeruddin Shah said in a open note on CAA
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:January 27, 2020 12:05 pm
  • Updated:January 27, 2020 12:10 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় আওয়াজ উঠছে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আমআদমি তো বটেই, CAA ও NRC বিরোধিতায় দেশের পড়ুয়ারাও পথে নেমেছেন। পাশে পেয়েছেন দেশের বুদ্ধিজীবীদের। পড়ুয়াদের সমর্থনে ও CAA ও NRC বিরোধিতায় পথে নেমেছেন তাঁরাও। এবার সেই তালিকায় শামিল হল নাসিরুদ্দিন শাহ, মীরা নায়ার, লেখক অমিতাভ ঘোষ, ইতিহাসবিদ রোমিলা থাপার, গায়ক টি এম কৃষ্ণ, রত্না পাঠক, জাভেদ জাফরি, লিলেট দুবে-সহ ৩০০ জন। সম্প্রতি এই আইনের বিরোধিতা করে একটি খোলা চিঠি লিখেছেন তাঁরা। জানিয়েছেন CAA ও NRC ‘হুমকির মুখে দেশের আত্মা’।

গত ১৩ জানুয়ারি ইন্ডিয়ান কালচারাল ফোরামে একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেখানেই এই খোলা চিঠি পেশ করা হয়। সেখানে লেখা ছিল, “সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন ও নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে পড়ুয়া ও অন্য যাঁরা প্রতিবাদ জানাচ্ছেন, আমরা তাঁদের পাশে আছি। আমরা তাঁদের প্রতিবাদকে স্যালুট জানাই। দেশের সংবিধানের নীতিগুলিকে তাঁরা যেভাবে তুলে ধরেছেন, তারও প্রশংসা করি। সমাজের বহুত্ববাদ ও দেশের মৌলিক কাঠামো রক্ষায় তাঁরা যে আন্দোলন করছেন, সেই প্রতিবাদের প্রতি আমদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। আমরা জানি যে আমরা সবসময় প্রতিশ্রুতি রাখতে পারি না। অন্যায় দেখেও প্রায়ই নীরব থাকি। কিন্তু এখন আমাদের প্রত্যেকের উচিত সঠিক নীতিকে সমর্থন করা।”

Advertisement

[ আরও পড়ুন: নুসরতের নয়া ব্র্যান্ড ‘ইউভ’-এর জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির মিমি-পায়েলরা ]

চিঠিতে তাঁরা আরও লিখেছেন, CAA ও NRC নিয়ে খুব তাড়াহুড়ো করছে কেন্দ্র। জনগণের মত বা কোনও আলোচনা ছাড়াই পার্লামেন্টে আইন পাশ করে দেওয়া হয়েছে। জাতির আত্মার প্রতি এ যেন এক হুমকি। NRC অনুযায়ী যাঁরা তাঁদের বংশানুক্রমিক কাগজপত্র দেখাতে পারবে না, তারা বেআইনি হিসেবে বিবেচিত হবেন। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই কাগজপত্র থাকার কথা নয়। তবে যদি না তাঁরা মুসলিম হন, তবে CAA’র আওতায় তাঁরা নাগরিকত্বের জন্য উপযোগী হলেও হতে পারে। এদেশের শাসক গোষ্ঠী মুসলিম নয়। সেই কারণেই কি এমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন তুলেছেন বিদ্বজ্জনরা। তাঁদের মতে, এই আইনে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মায়ানমার, পাকিস্তানের মতো প্রতিবেশি দেশ থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন, পার্সি ধর্মাবলম্বীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে মুসলিমদের কোনও উল্লেখ নেই। তবে কি মুসলিমদের অত্যাচারের কথা স্বীকার করতে চায় না রাষ্ট্র? প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা। এছাড়া চিঠিতে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়, জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হওয়া পুলিশি অভিযানের নিন্দা করা হয়েছে।

Advertisement

[ আরও পড়ুন: ‘শিষ্যদের যোগ্য উত্তরসূরি করে তুলতে চাই’ বললেন পদ্মভূষণ পেতে চলা পণ্ডিত অজয় চক্রবর্তী ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ