সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কিছু কিছু লড়াই স্বগুণে রূপকথা। কিছু কিছু যাত্রাপথে বাড়তি কোনও আলো লাগে না। বরং জীবনকে আলোকিত করে তোলে। কোনও কোনও মানুষ তাই হয়ে ওঠেন প্রণম্য। যেমন, সুবাসিনী মিস্ত্রি। না, ভুল হল একটু। বলা উচিত, পদ্মশ্রী সুবাসিনী মিস্ত্রি। বিনা চিকিৎসায় স্বামীর মৃত্যু। তারপর শপথ। শেষে সবজি বিক্রি করে গড়ে তোলা হাসপাতাল। এবং রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি। অসম সাহসিনী সুবাসিনীর জীবন এবার বড় পর্দায় উঠে আসছে। সৌজন্যে টলি তারকা দেব। তাঁর সংস্থাই প্রযোজনা করবে এ ছবির।
[ রেডিওর সিগনেচার টিউন শুনলে মনে হত একা চিল উড়ে যাচ্ছে ]
একজন মহীয়সী নারীকে নিয়ে ছবি করতে চাই। সোশ্যাল মিডিয়ায় এ পোস্ট করে গতকালই জল্পনা উসকে দিয়েছিলেন পরিচালক অনিকেত চট্টোপাধ্যায়। আন্তর্জাতিক নারী দিবসে অবশেষে এল চমক। সন্ধেয় সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক-প্রযোজক এক হয়ে জানালেন সুবাসিনী মিস্ত্রির বায়োপিকই তাঁদের পরের ছবি। ছবির নাম রাখা হয়েছে ‘পদ্মশ্রী সুবাসিনী মিস্ত্রী’। এক একা মহিলার লড়াইয়ের কথা। বিনা চিকিৎসায় যাঁকে স্বামী হারাতে হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেমে থাকেননি তিনি। আর কাউকে যাতে এ পরিণতির শিকার না হতে হয়, সে জন্য লড়াইয়ে নেমেছিলেন। সম্বল বলতে সামান্য সবজি বিক্রির টাকা। কিন্তু তাঁর জেদের কাছে এ সব প্রতিবন্ধকতা বড় হয়ে ওঠেনি। ফলে স্বপ্নের হাসপাতাল তিনি গড়ে তুলতে পেরেছেন। বলা যায়, প্রায় একক উদ্যোগেই। এই ফাটকাবাজির দেশে আজও যে স্বপ্নের পাখিরা বেঁচে থাকে, আজও যে হাল না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়া যায়, দেখিয়ে দিয়েছেন সুবাসিনী। তাঁর যাত্রা তাই সেলুলয়েডের রূপকথা নয়। বরং যন্ত্রণাদীর্ণ, লড়াইমুখর। কিন্তু কখনও কখনও যন্ত্রণাই জীবনের সেরা ভাষ্য হয়ে ওঠে। সেলুলয়েড তাকে আশ্রয় করে। এ যেন সেরকমই এক ঘটনা।
প্রযোজক হিসেবে বরাবরই অন্যরকম ছবি করার দিকেই হেঁটেছেন টলিউডের চকোলেট বয় দেব। চ্যাম্প, কবীর-এর মতো ছবিই তার প্রমাণ। শুধু বিনোদন নয়, সমাজের প্রতি দায়বদ্ধ কিছু ছবি বানানোই তাঁর লক্ষ্য। ফের তার প্রমাণ দিলেন তিনি। যদিও সুবাসিনীর চরিত্রে কাকে দেখা যাবে তা এখনও খোলসা করেননি পরিচালক ও প্রযোজক। প্রসঙ্গত, পদ্মশ্রী করিমুল হককে নিয়েও ছবি হচ্ছে বলিউডে। বিষয়ের নিরিখে পিছিয়ে নেই টলিউডও, দেবের এ প্রয়াস যেন সে বার্তাও দিয়ে গেল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.