সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল রবিনা ট্যান্ডনের একটি হেনস্তার ভিডিও। সেই ভিডিওর নেপথ্যের ঘটনা নিয়ে সম্প্রতি মুখও খুলেছিলেন রবিনা। আর এবার সেই কাণ্ডে নেটিজেনের বিরুদ্ধে ১০০ কোটির মানহানির মামলা করলেন রবিনা ট্যান্ডন। যে ব্যক্তি রবিনার ভিডিও সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলেন, তার নামেই মামলা ঠুকলেন অভিনেত্রী।
রাত-বিরেতে বান্দ্রার রাস্তায় ধুন্ধুমার কাণ্ড। অভিনেত্রীর গাড়ি থামিয়ে চড়াও হন তিন মহিলা। দাবি, রবিনার গাড়ি নাকি তাঁদের ধাক্কা মেরেছে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে অভিনেত্রীকে মারতে পর্যন্ত উদ্যত হন ওই মহিলারা। এই ঘটনার পর থেকেই সোশাল মিডিয়ায় রবিনাকে নিয়ে নানা কটাক্ষ নেটিজেনদের একাংশের। তাঁদের দাবি স্টার তকমা নিয়ে সাধারণের সঙ্গে এমন ব্যবহার তাঁর। এমনকী, কেউ কেউ সলমনের গাড়ি কাণ্ডের সঙ্গেও তুলনা টেনেছেন।
সোশাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জানিয়ে ছিলেন, ”ভালবাসা এবং সমর্থন দেওয়ার জন্য আপনাদের অসংখ্য ধন্যবাদ। আমার উপর বিশ্বাস রাখার জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। তবে শেষ পর্যন্ত এই গল্পের মূল কথা কী দাঁড়াল জানেন? ড্যাশক্যাম ও সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়ে রাখুন।”
মহিলাদের অভিযোগ, রবিনা টন্ডনের গাড়ির ধাক্কায় নাকি তাঁদের মধ্যে এক মহিলার রক্তপাত হয়েছে। তার জেরেই বচসা বাঁধে দু’পক্ষর। এদিন রাতে ঝামেলা শুরু হওয়ার পরই রবিনা ট্যান্ডন গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। এদিকে অভিনেত্রীকে দেখেও ওই মহিলারা প্রায় রুদ্রমূর্তি ধারণ করেন। তখনই বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়। রবিনার দিকে তেড়ে যান তাঁরা। ভয় পেয়ে তিনি খানিক পিছিয়েও যান। কাতরভাবে আর্জিও জানাতে থাকেন, “ধাক্কা দেবেন না দয়া করে, আমাকে মারবেন না।” সেই ক্যামেরাবন্দি মুহূর্ত আপাতত সোশাল মিডিয়ায় দেদার গতিতে ভাইরাল। রবিনার পরনে সাদামাটা পোশাক। মেকআপের লেশমাত্র নেই! সেখানেই জনৈক মহিলাকে অভিনেত্রীর উদ্দেশে বলতে শোনা যায়, “দেখুন আমার নাক থেকে রক্ত বেরচ্ছে। আজকের রাতটা জেলেই কাটাতে হবে আপনাকে।”
চড়াও হওয়া ওই মহিলাদের অভিযোগ, অভিনেত্রী সেই সময়ে মদ্যপ ছিলেন। অনতিদূরেই খার থানা। বচসার পর রবিনা ট্যান্ডন এবং তাঁর চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তাঁরা। ঘটনার জেরে থানায় ছুটে যান রবিনার স্বামী তথা জনপ্রিয় ফিল্ম ডিস্ট্রিবিউটর অনিল থাড়ানিও।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.