সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রানু মণ্ডল এখন আর রানাঘাটের সেই ভবঘুরে মহিলাটি নেই। আজ তিনি সেলিব্রিটি। বাংলা ছাড়িয়ে সুদূর মুম্বইয়ে পৌঁছে গিয়েছে তাঁর খ্যাতি। হিমেশ রেশমিয়ার স্টুডিওর বাইরে রানুকে দেখে ছবি তোলার হিড়িক পড়ে গিয়েছিল। রানুর মেয়ে সাথীর অভিযোগ, এই সেলিব্রিটি স্টেটাসকেই নাকি কাজে লাগাচ্ছেন অতীন্দ্র চক্রবর্তী। তিনি নাকি রানুর টাকা সরিয়ে দিচ্ছেন। যদিও এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করেছেন অতীন্দ্র। এই নিয়ে ফেসবুকে একটি ভিডিও-ও পোস্ট করেছেন তিনি।
এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য রানাঘাটের ভবঘুরে রানু মণ্ডলকে সেলিব্রিটি বানানোর পিছনে এই অতীন্দ্র চক্রবর্তীর অবদান প্রচুর। পেশায় ইলেকট্রিক্স টেলিকমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ার। রানাঘাট স্টেশনে রানুর গান শুনে তিনি মুগ্ধ হয়েছিলেন। তাঁর গান রেকর্ড করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনিই। এখন রানুর যাবতীয় কাজের দায়িত্ব তাঁরই হাতে। সর্বত্র অতীন্দ্রর ফোন নম্বরটাই দেওয়া। রানুর সমস্ত দরকারি ফোন এখন তাঁর কাছেই আসে। এমনকী মুম্বই যাওয়ার সময়ও তিনি ‘রানুদি’কে আগলে নিয়ে গিয়েছিলেন। রানুর মেয়ে সাথীর অভিযোগ, তাঁর মায়ের এই সেলিব্রিটি সিম্বলটা কাজে লাগিয়ে টাকা রোজগার করতে চান অতীন্দ্র। স্থানীয় একটি ক্লাবের সদস্যরা তাঁর মায়ের দেখভাল করতেন। অতীন্দ্র ও তপন সেই ক্লাবেরই সদস্য। তাঁরাই নাকি সাথীকে রানুর সঙ্গে দেখা করতে দিতেন না বলে অভিযোগ। অতীন্দ্র ও তপন মায়ের টাকা আত্মসাৎ করার জন্যই তাঁকে দূরে রেখেছিলেন বলেও অভিযোগ তোলেন স্বাতী।
যদিও এনিয়ে অতীন্দ্র ফেসবুকে একটি লাইভ ভিডিও করেন। সেখানে সরাসরি বলেন, তাঁর নামে অভিযোগ উঠেছে তিনি ও তপনবাবু রানু মণ্ডলের অ্যাকাউন্ট থেকে ১০ হাজার টাকা আত্মস্যাৎ করেছেন। এই খবরের কোনও ভিত্তি নেই। যদিও এনিয়ে একটি সংবাদমাধ্যমকে দুষেছেন তাঁরা। এও বলেছেন, মুম্বই থেকে ফিরে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেবেন। কিছুদিন আগে রানু মণ্ডল তাঁদের ‘ভগবানের চাকর’ বলেছিলেন। এ নিয়ে তাঁদের কোনও মাথাব্যথা নেই। অথচ সংবাদমাধ্যমগুলি খবরের ঝড় বইয়ে দিয়েছে। এজন্যও সংবাদমাধ্যমের দিকেই আঙুল তুলেছেন তাঁরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.