সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা সংক্রমণ রুখতে দেশজুড়ে জারি হয়েছে লকডাউন। বন্ধ শুটিংয়ের কাজ। তাই ‘রাধে’র পোস্ট প্রোডাকশনের কাজও আপাতত বন্ধ। কিন্তু তার জন্য কর্মীরা টাকা পাচ্ছেন না, এমন নয়। কাজ না হলেও ‘রাধে’ ছবির সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের টাকা আটকাননি সলমন খান। নিয়ম মেনে ছবির সমস্ত কলাকুশলীকে রোজের টাকা দিচ্ছেন তিনি।
হাতে সময় খুব কম। এবছর ইদে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল ‘রাধে’ ছবির। সেই মতো পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ শুরু হয়েছিল। সলমনের পানভেলের ফার্মহাউজে চলছিল কাজ। কিন্তু করোনার জেরে সমস্ত কাজ বন্ধ হয়ে যায় ইন্ডাস্ট্রিতে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত কাজ যে শুরু করা যাবে না, তা একপ্রকার নিশ্চিত হয়ে যায়। কিন্তু ছবির সঙ্গে যুক্ত মানুষরা সমস্যায় পড়েন। কারণ তাঁদের আয় হয় দৈনিক। কাজ বন্ধ মানে সেই দিনের টাকাও বন্ধ। আর পরপর কয়েকদিন এভাবে টাকা বন্ধ মানে বাড়িতে হাঁড়ি চড়বে কিনা, তার কোনও নিশ্চয়তা নেই। এই পরিস্থিতিতে এগিয়ে আসেন ভাইজান। ছবির সঙ্গে যুক্ত সমস্ত টেকনিশিয়ান ও শিল্পীকে দৈনিক টাকা একবারে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। সলমন খানের মেকআপ আর্টিস্ট একটি সাক্ষাৎকারে একথা জানিয়েছেন। বলেছেন, শুটিং বন্ধ। কিন্তু তাঁদের টাকা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে ঢুকে যাচ্ছে। ২৬ মার্চ থেকে ২ এপ্রিলের রোজের টাকা তাঁদের অ্যাকাউন্টে চলে এসেছে ইতিমধ্যেই।
[ আরও পড়ুন : ‘এটা ধর্মীয়সভা করে ভাইরাস ছড়ানোর সময় নয়’, নিজামুদ্দিন ইস্যু নিয়ে সরব রহমান ]
প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগে ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত দিনমজুরদের খাওয়ার দায়িত্ব নিয়েছেন ভাইজান। এবার সামনে এল শুটিং বন্ধ থাকলেও তাঁর প্রযোজিত ছবির সঙ্গে যুক্ত মানুষদের টাকা দিচ্ছেন অভিনেতা। এমনিতেই সলমন যে নানারকম সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত কিংবা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন প্রেক্ষিতে একাধিকবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অসহায়দের ত্রাতা হিসেবে ধরা দিয়েছেন, সেকথা সবাই জানেন। সলমনের ‘বিইং হিউম্যান’ সংস্থাও বহু দুস্থদের পড়াশোনা, ওষুধপাতির দায়িত্ব নিয়েছে। এবার করোনার জেরে আবারও তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে কেন তিনি বলিউডের ‘ভাইজান’।