সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা নিয়ে কড়া সতর্কতা জারি গোটা দেশে। হলিউড, বলিউড, টলিউডে বন্ধ সব শুটিং, বাতিল সমস্ত কাজ। বিশ্বজুড়ে তারকারা আপাতত বিরতিতে রয়েছেন। সেলফ কোয়ারেন্টাইনে। যদিও সলমন খান নিজের পানভেলের ফার্ম হাউসে ‘রাধে’ ছবির পোস্ট প্রোডাকশনের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। পাশাপাশি গোটা পরিবারকেই নিজে গিয়েছেন সেই নিরাপদ আস্তানায়। তবে এই কঠিন অবস্থাতেও সলমনকে ভাবিয়ে তুলেছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির দিনমজুরদের পরিস্থিতি। আর তাই এই লকডাউনে প্রায় ২৫ হাজার দিনমজুরের দায়িত্ব একাই নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছেন বলিউডের ভাইজান।
২১ দিনের লকডাউনের জেরে অন্যান্য ক্ষেত্রের মতো বিনোদুনিয়াতেও যে বড়সড় আর্থিক ধ্বস নামতে চলেছে, তা আর আলাদা করে বলার অপেক্ষা রাখে না! সবচাইতে ক্ষতিগ্রস্থ হবেন জুনিয়র টেকনিশিয়ানরা। যারা কিনা সিনেমার সেটে দিনরাত খেটে পরিচালকের ভাবনাকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেন। আর তাই সেসমস্ত স্পটবয়, সেটের দিনমজুরদের সমস্যার কথা চিন্তা করে এগিয়ে এসেছেন সলমন খান।
ঠিক আমি, আপনি বা আমরা, এসময়ে নিজেদের খাদ্যসংস্থানের কথা ভাবছি, যে বাড়ির চাল-ডাল ফুরলে হঠাৎ কোথায় কী পাব! যদিও অত্যাবশকীয় দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু এই লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে পা রাখার সাহস খুব কেউ একটা করছেন না! রেস্তরাঁ কিংবা ফুটপাতের খাবারের দোকানগুলোও বন্ধ। অতঃপর বাড়িতে মজুত রসদ ফুরোলে আর গতি নেই। কিন্তু ওরা, যাদের ‘দিন আনি দিন খাই’ পরিস্থিতি তারা কিন্তু সবথেকে ক্ষতিগ্রস্থ। কারও বাড়িতে চাল-ডাল নেই তো আবার কারও বা ফুরিয়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস। তাঁদের কথা মাথায় রেখে অর্থসাহায্য করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভাইজান।
[আরও পড়ুন: ‘সরকারের উচিত লকডাউনে বৈধ মদের দোকানগুলো খোলা রাখা’, মন্তব্য ঋষি কাপুরের]
এই অবশ্য প্রথম নয়! সলমন যে নানারকম সামাজিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত কিংবা ভিন্ন সময়ে ভিন্ন প্রেক্ষিতে একাধিকবার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অসহায়দের ত্রাতা হিসেবে ধরা দিয়েছেন, সেকথা সবাই জানেন। সলমনের ‘বিইং হিউম্যান’ সংস্থাও বহু দুস্থদের পড়াশোনা, ওষুধপাতির দায়িত্ব নিয়েছে। এবার করোনার জেরে আবারও তিনি প্রমাণ করে দিলেন যে কেন তিনি বলিউডের ‘ভাইজান’? কারণ একাই ২৫ হাজার জনের দায়িত্ব নেওয়া চারটিখানি কথা নয়। ইন্ডাস্ট্রির এক সদস্যের কথায়, “ভাইজানকে যে সবরকম আপদে-বিপদে পেয়েছি আমরা, সেকথা সবারই জানা। আলাদা করে আর কী বলব?” অভিনব উদ্যোগ তো বটেই!