সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তাঁর ড্রিম প্রজেক্ট। বছরের পর বছরের গবেষণা আর মেহনত দিয়ে তৈরি করেছেন। ইতিহাসকে কতটা যত্ন নিয়ে তিনি পর্দায় তুলে ধরতে চলেছেন তা ‘পদ্মাবতী’র প্রথম ঝলকেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এরপরও রাজপুত সংগঠনের মন গলেনি। ‘পদ্মাবতী’র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন তাঁরা। প্রতিবাদের এই হিড়িকে যোগ দিয়েছে সর্ব ব্রাহ্মণ মহাসভার মতো সংগঠন। মন্তব্য করতে পিছপা হচ্ছেন না বিজেপি বিধায়ক, সাংসদরাও। আক্রমণ পরিচালক সঞ্জয় লীলা বনশালির ব্যক্তিগত পর্যায়েও চলে গিয়েছে। আর চুপ করে থাকতে পারলেন না পরিচালক। অবশেষে মুখ খুললেন নিজের ছবির স্বপক্ষে। ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে জানালেন নিজের মনের কথা।
[বনশালির বাড়ির মেয়েরা রোজ স্বামী বদলায়, বেনজির কটূক্তি বিজেপি সাংসদের]
পালটা আক্রমণে না গিয়ে আবেদনের পথই ধরলেন পরিচালক বনশালি। ভিডিওর মাধ্যমে জানালেন, এ ছবি সততা ও পরিশ্রম দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। রানি পদ্মাবতীকে কোনওভাবে অসম্মান করা হয়নি। বরং তাঁর শৌর্যের গাথাই তুলে ধরা হয়েছে। যে বিক্ষোভ, বিতর্ক হচ্ছে তা একটা ভুল তথ্য নিয়ে। ছবিতে রানি পদ্মাবতী ও আলাউদ্দিন খিলজির মধ্যে স্বপ্নের মাধ্যমে কোনও কাল্পনিক প্রেমের দৃশ্য দেখানো হয়নি। এ ছবিতে যে কারও ভাবাবেগে আঘাত হানা হয়নি, সেকথা আবার স্পষ্ট করে দেন পরিচালক। ছবিতে রাজপুত মান ও মর্যাদার খেয়াল রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
ছবির শুটিংয়ের সময় থেকে বিক্ষোভ জানিয়ে আসছে কর্ণি সেনা। মরু শহরে ছবি সেটে ভাঙচুরও চালিয়েছে সেনার সদস্যরা। তখনও বিজ্ঞপ্তি জারি করে বনশালির প্রযোজনা সংস্থা এই একই কথা জানিয়েছিল। কিন্তু তাতে মন গলেনি সেনার। বিক্ষোভের বহর আরও বেড়েছে ছবির ট্রেলার ও গান প্রকাশ্যে আসার পর। বিক্ষোভে শামিল হয়েছে রাজপুতানা সংগঠন, ব্রাহ্মণ মহাসভা ও একাধিক বিজেপি বিধায়ক। দাবি, আগে ছবি তাঁদের দেখাতে হবে। এরপর যদি তাঁরা মনে করেন এ ছবিতে ইতিহাস বিকৃত করা হয়নি তবেই মুক্তির অনুমতি দেওয়া হবে। অনুমতি ছাড়া ছবি প্রদর্শিত হলে প্রেক্ষাগৃহ পুড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। সম্প্রতি ‘পদ্মাবতী’ নিয়ে পরিচালককে আক্রমণ করতে গিয়ে বেনজির কটূক্তি করে বসেন বিজেপি সাংসদ চিন্তামনি মালব্য। তিনি বলেন, ‘যে সব পরিচালকদের বাড়ির মেয়েরা রোজ স্বামী বদলায়, তারা আর জওহরের মর্ম কী বুঝবে?’ ক্রমাগত এই আক্রমণের বিরুদ্ধেই অবশেষে মুখ খুললেন বনশালি। ছবির স্বপক্ষে তিনি যুক্তিও দিলেন। কিন্তু তাতে বিশেষ লাভ হবে কি? এই প্রশ্নই তুলছেন অনেকে।
[জানেন, কেন ভোটার তালিকা থেকে নাম সরল প্রিয়াঙ্কার?]