Advertisement
Advertisement

সিনেজগতে আশঙ্কার ঝড়, শহরের প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনী বন্ধের সম্ভাবনা

হতাশ দর্শকরা৷

single-screen theatres across the state have decided to shut down
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 27, 2018 6:05 pm
  • Updated:September 27, 2018 6:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজোর আগেই দুঃসংবাদ পেতে পারেন সিনেপ্রেমীরা৷ শুক্রবার থেকেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে শহরের বেশ কয়েকটি সিনেমা হল৷ এদিকে, পুজোর আগেই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে বেশ কয়েকটি সিনেমা৷ কিন্তু সিনেমা হল বন্ধ থাকলে পুজোয় বাঙালির সিনেমা দেখা চলে যেতে পারে বিশ বাঁও জলে৷

[ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে ঠগদের লড়াই দেখাল ‘ঠাগস অফ হিন্দোস্তান’-এর ট্রেলার]

জিএসটি চালু হওয়ার আগে থেকেই একজিবিটরকে টিকিটের ৩ শতাংশ ডিস্ট্রিবিউটাররা দিতেন৷ ওই টাকা সিনেমা হলের রক্ষণাবেক্ষণের কাজে লাগাতেন একজিবিটার৷ কিন্তু বহুদিন কেটে গেলেও এখনও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ধার্য টাকার পরিমাণ বাড়েনি৷ কিন্তু বাজারদর বাড়ছে প্রতিনিয়ত৷ ফলে স্বাভাবিকভাবেই সমস্যায় পড়ছেন একজিবিটাররা৷ তাঁরা ঠিকমতো সিনেমা হল রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারছেন না৷ একজিবিটরদের দাবি, এসি হলের জন্য ১০ শতাংশ টাকা দিতে হবে৷ যে হলে কুলার রয়েছে সেক্ষেত্রে ৬ শতাংশ এবং সাধারণ হলের জন্য আগের মতোই ৩ শতাংশ টাকা দিতে হবে ডিস্ট্রিবিউটারদের৷ কিন্তু একজিবিটরদের দাবি মানতে নারাজ ডিস্ট্রিবিউটররা৷ তাঁদের পালটা বক্তব্য, সিনেমা হল রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বেশি টাকা দিতে গেলে বাড়াতে হবে টিকিটের দাম৷ কিন্তু টিকিটের দাম বাড়ালে দর্শকদের আনাগোনা কমতে পারে৷ সেক্ষেত্রে সেই ঝুঁকি নিতে চাইছেন না ডিস্ট্রিবিউটররা৷

Advertisement

[ব্যবসা ও লাভের জটিল হিসাব নিয়ে বড়পর্দায় সইফ]

এই নিয়েই দিনকয়েক ধরেই ডিস্ট্রিবিউটর ও একজিবিটরদের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল৷ সেই সমস্যার সুরাহা হয়নি এখনও৷ এবার দুপক্ষের সেই সমস্যা নিতে পারে আরও বড় আকার৷ একজিবিটরদের দাবি, তাঁরা আর্থিক সমস্যায় সিনেমা হল সংস্কার করতে পারছেন না৷ মাল্টিপ্লেক্সের যুগে এমনি সিনেমা হলগুলির ব্যবসা মার খেয়েছে৷ তার উপর ঠিকমতো বা সংস্কার না হলে দর্শকরা আসবেন না৷ তাই এই সমস্যার সমাধান হলে সিনেমা হল বন্ধ করে দেওয়ার কথাও চিন্তাভাবনা করছেন একজিবিটররা৷ শুক্রবার থেকেই কার্যকর হতে পারে এই সিদ্ধান্ত৷ এদিকে, পুজোর আগেই মুক্তি পাচ্ছে একগুচ্ছ সিনেমা৷ আদৌ পুজোর সময় হলে গিয়ে সিনেমা দেখা যাবে কি না, তা নিয়ে তৈরি হল ধোঁয়াশা৷ যাঁরা হলে গিয়ে সিনেমা না দেখলে, পুজোটাই অসম্পূর্ণ বলে মনে করেন, তাঁরা একজিবিটরদের এই সিদ্ধান্তে খানিকটা হতাশ৷

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ