Advertisement
Advertisement
সৃজিত মুখোপাধ্যায়

আইন অমান্য করে জাতীয় উদ্যানে শুটিং, মোটা অঙ্কের জরিমানা পরিচালক সৃজিতের

বাজেয়াপ্ত ‘ফেলুদা ফেরত’ শুটিংয়ে ব্যবহৃত ড্রোনও।

Srijit Mukherji's film unit flies drone in Gorumara forest, fined
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:December 27, 2019 11:50 am
  • Updated:December 27, 2019 11:50 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্কবৃহস্পতিবার উত্তরবঙ্গে ‘ফেলুদা ফেরত’ ওয়েব সিরিজের শুটিং করতে গিয়ে বিপাকে পড়েন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়। কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শুটিং। গরুমারা জাতীয় উদ্যান এলাকায় ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করছিলেন। আর এতেই ঘটে বিপত্তি! কারণ, জাতীয় উদ্যান এলাকায় শুটিং করার জন্য প্রশাসনের তরফ থেকে যে অনুমতির প্রয়োজন ছিল, তা ছিল না সৃজিতের  ‘ফেলুদা ফেরত’ টিমের কাছে। ফলস্বরুপ মোটা অঙ্কের জরিমানা হয় পরিচালকের।

আইন অমান্য করার জন্য পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায়কে দিতে হবে ২৫ হাজার টাকা। এছাড়া শুটিংয়ে ব্যবহারকারী ড্রোনও বাজেয়াপ্ত করে নেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার চালসা রেঞ্জের পানঝোড়া বস্তি লাগোয়া জঙ্গল এলাকায় চলছিল ফেলুদা ওয়েব সিরিজের শুটিং। পাশেই মূর্তি নদী। মূর্তির চড়েই ড্রোন উড়িয়ে চলছিল শুটিং। চড়ে দাঁড়িয়ে বাঙালির ‘নতুন ফেলুদা’ টোটা রায়চৌধুরি। জনপ্রিয় পরিচালক সৃজিতের ছবির শুটিং হচ্ছে শুনে অনেকেই এলাকায় হাজির হন।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দশভুজাদের কুর্নিশ জানাতে নারী দিবসেই প্রকাশ্যে আসছে ঋতাভরীর ‘গোপন কম্মটি’ ]

বনদপ্তরের আধিকারিকরাও উপস্থিত ছিলেন। তবে শুটিং সাইটে হাজির থাকলেও প্রথমটায় কোনওরকম গা করেননি তাঁরা। অন্যদিকে, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের কাছেও কোনওরকম অনুমতি ছিল না ওখানে ড্রোন ব্যবহার করে শুট করার। পরিচালক জানান, মূর্তি নদীর চড়ে অর্থাৎ শুটিং স্পটও যে বনদপ্তরের আওতাভুক্ত, তা জানা ছিল না তাঁর। বনদপ্তরের আধিকারিকরা পরে আপত্তি জানালেও তাই একাধিকবার সৃজিত সেকথা বলেন যে তিনি জাতীয় উদ্যানের ভিতর শুটিং করছেন না। তাঁদের সঙ্গে কথা বলে পরিচালক জানতে পারেন যে মূর্তি নদীর আশেপাশের এলাকাও বনদপ্তরের আওতায় পড়ে। আর সেই তথ্য না জানার জেরেই বিপাকে পড়তে হয় পরিচালক-সহ গোটা ‘ফেলুদা ফেরত’ টিমকে। সৃজিতের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা অমান্যের অভিযোগ ওঠে।

Advertisement

গোটা ঘটনায় ক্ষণিকের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয় শুটিং। বনবিভাগ থেকেও নিয়ে নেওয়া হয়েছে ব্যবহার করা ড্রোন। কারণ নিয়মানুযায়ী, কোনও জাতীয় উদ্যান এবং উদ্যান-সংলগ্ন এলাকায় শুটিংয়ের জন্য বিশেষ অনুমতির দরকার হয়। উপরন্তু পশুপাখিদের নিরাপত্তার কারণে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করা যেহেতু নিষিদ্ধ সেসব এলাকায়, তাই প্রশ্নের মুখে পড়েছেন সৃজিত মুখোপাধ্যায়। কীভাবে নিয়ম বিরুদ্ধ কাজ করতে পারেন তাঁর মতো জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত একজন পরিচালক? সেই বিতর্কের শিকার সৃজিত। পাশাপাশি প্রশ্ন উঠেছে বন আধিকারিকদের ভূমিকা নিয়েও। কারণ, প্রথমটায় তাঁরা শুটিং স্থলে গিয়ে দেখতে পেলেও কোনওরকম আপত্তি করেননি। নিষেধাজ্ঞা রয়েছে জানা সত্ত্বেও কেন মানা করেননি শুটিং টিমকে? সে প্রশ্নও উঠছে।

[আরও পড়ুন: ফাঁপরে ‘ফেলুদা ফেরত’, জাতীয় উদ্যানের কাছে ড্রোন উড়িয়ে শুটিং করায় বিপাকে সৃজিত ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ