সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই নেটিজেনদের জ্বালায় প্রাণ একেবারে ওষ্ঠাগত সেলেবদের। শখ করে যে একটু ছবি, ভিডিও দেবেন, তার উপায় নেই। যেই না প্রোফাইলে কিছু একটা পোস্ট করছেন সেলেব দল, টুক করে তা নিয়ে ট্রোল!
এবার এরকমই এক বিপাকে পড়লেন টলিউড অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tanushree Chakraborty)। সম্প্রতি নিজের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে চপ ভাজার ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে পড়লেন তনুশ্রী।
ব্যাপারটা হল, শহরে রিমঝিম বৃষ্টি। মেঘলা আকাশ। বৃষ্টিভেজা হাওয়া। এরকমই এক বৃষ্টির দিনে চপ খেতে তো সবারই ইচ্ছে করে। তবে করোনাকালে অনেকেই বাইরের দোকানের উপর খুব একটা বিশ্বাস করছেন না। বরং বাড়িতেই ইচ্ছেমতো স্বাদপূরণের ব্যবস্থা করে ফেলছেন। তনুশ্রী চক্রবর্তীরও সাধ হল, চপের স্বাদে ডুব মারার। নিজের হাতেই ভেজে ফেললেন চপ! আর সেই ছবি দিতেই বিপত্তি। ইনস্টাগ্রামে তনুশ্রীর আপলোড করা চপের ছবি দেখে, স্বাদের সঙ্গে রাজনীতি মিলিয়ে ফেললেন নেটিজেনরা। ব্যস, শুরু হল নানা কু-মন্তব্য। কেউ লিখলেন চপ শিল্প, কেউ লিখলেন স্পেশাল চপ!
View this post on Instagram
তবে তনুশ্রী এসবে পাত্তাই দিলেন না। বরং এই ছবি পোস্ট করে তিনি লিখলেন, হবে নাকি?
রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন অভিনেত্রী তনুশ্রী চক্রবর্তী (Tanushree Chakraborty)। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Election) আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। হাওড়ার শ্যামপুরের (Shyampur) প্রার্থীও হয়েছিলেন। তবে জিততে পারেননি। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর বেশ কিছুদিন কেটে গিয়েছে। বৃহস্পতিবার আচমকাই রাজনীতি ত্যাগের কথা জানালেন টলিপাড়ার অভিনেত্রী।
৮ মার্চ দিলীপ ঘোষ, শুভেন্দু অধিকারী, মুকুল রায়ের উপস্থিতিতে পদ্ম শিবিরে যোগ দেন তনুশ্রী চক্রবর্তী। ‘নতুন জন্ম হল আমার’, গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই বলেছিলেন অভিনেত্রী। তার কিছুদিন পরই তাঁকে শ্যামপুরের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। বিপরীতে ছিলেন তৃণমূল প্রার্থী (TMC Candidate) কালীপদ মণ্ডল। প্রচারে কোনও খামতি রাখেননি তনুশ্রী। কিন্তু রাজনীতির ময়দানে পোড় খাওয়া নেতা কালীপদ মণ্ডলের কাছে হেরে যান। তার জেরেই কি রাজনীতির সঙ্গ ত্যাগ করলেন টলিপাড়ার নায়িকা? প্রশ্নের উত্তর মেলেনি।
তবে এক সংবাদমাধ্যমকে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, যেকোনও রকম রাজনীতির রং থেকে তিনি বাইরে থাকতে চান। বিস্তর পড়াশোনা করেই সকলের রাজনীতির ময়দানে নামা উচিত বলে মনে করেন তনুশ্রী। তবে নিজের রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বা ভোটে লড়ার সিদ্ধান্তে কোনও আফশোস নেই অভিনেত্রীর।