সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অসম, ত্রিপুরা পর জ্বলছে বাংলা। নেপথ্যে নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন (Citizenship Amendments Act)। নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় বিগত তিন দিন ধরে রাস্তায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবারও নির্ধারিত সময়ে হাওড়া ময়দান থেকে শুরু হল মিছিল। এক মহা জনসমুদ্র চলেছে রানি রাসমনি অ্যাভিনিউয়ের দিকে। নেতৃত্বে মুখ্যমন্ত্রী। তবে তৃতীয় দিনের মিছিলের শুরুয়াৎ একটু অভিনবভাবে হল। গত ২ দিনের মতো বক্তৃতা দিয়ে নয়, বরং মিছিল শুরু হল ইন্দ্রনীল সেনের লোকগীতি দিয়ে।
“আমরা সবাই নাগরিক, এনআরসি হবে না…” গান ধরলেন ইন্দ্রনীল সেন। মুখ্যামন্ত্রীর প্রতিবাদে মঞ্চে বুধবার হাজির ছিলেন একাধিক প্রথিতযশ বাউলরা। তাঁদের সঙ্গেই গলা মেলালেন রাজ্যের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। গানের লিরিকসেই জোর এনআরসি বিরোধী রব। “আমরা সব্বাই নাগরিক, এনআরসি হবে না… বিজেপি ওয়াপাস লো, ওয়াপাস লো, ক্যাব হবে না…।” মিছিল শেষ হল এসপ্ল্যানেড চত্বরের ডোরিনা ক্রসিংয়ের কাছাকাছি।
[আরও পড়ুন: ‘হীরক রাজার দেশে’, CAA’র প্রতিবাদে নিন্দায় সরব পরম-স্বস্তিকা-সৃজিত ]
প্রথমদিন থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এনআরসি বিরোধী আওয়াজ তুলেছেন। প্রথমদিন পথে নেমেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছেন যে, বাংলায় নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করতে হলে তাঁর মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে। কেন্দ্র তাঁর সরকার ফেলে দিলেও মাথা নত করবেন না তৃণমূলনেত্রী, এমন হুংকারই শোনা গিয়েছে তৃলমূল সুপ্রিমোর কণ্ঠে।
প্রথমদিন মিছিল শুরু হয়েছিল রেড রোডের বি আর আম্বেদকরের মূর্তির পাদদেশ থেকে। মঙ্গলবার যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ড থেকে ভবানীপুরের যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত হয় তাঁর পদযাত্রা। প্রতিবাদের পথে নেমে আরও একবার মমতা বুঝিয়ে দিলেন তাঁর পথ কতটা অনড়। মমতা তার আগেই বলেছেন, “লোকসভায় যখন বিল ওঠে, কাউকে জানতে দেওয়া হয়নি। বিল এনে মধ্যরাতে পাস। একদিন পর আমাদের সাংসদরা গিয়েছিল। তাই জানতে পারে। রাজ্যসভায় প্রতিবাদ জানিয়েছে।” তাঁর কথায়, “বিজেপি ভাবছে দেশ দখল করে নিয়েছি। সংবিধান মেনে এই আইন পাস করানো হয়নি।”