Advertisement
Advertisement

নিউটাউনে অভিনব ‘রোড গ্রাফিক্স’, ফুটপাতের রেলিংয়ে এবার ফুটে উঠবে বাংলার গল্প

ঊনবিংশ শতাব্দীর ‘বায়োস্কোপ’-এর অনুভূতি এবার ফুটপাতের রেলিংয়ে।

Artist paint bioscope at new town Footpath railing | Sangbad Pratidin
Published by: Akash Misra
  • Posted:March 31, 2022 7:49 pm
  • Updated:April 1, 2022 2:00 pm

কৃষ্ণকুমার দাস: ঊনবিংশ শতাব্দীর ‘বায়োস্কোপ’-এর অনুভূতি এবার ফুটপাতের রেলিংয়ে। চলন্ত গাড়ির জানলা দিয়ে বাইরে চোখ রাখলেই পর পর রঙিন ছায়াছবির দৃশ্য ও কিংবদন্তি চরিত্রগুলি এসে হাজির হচ্ছে। ফুটে উঠছে নানা কাহিনি, বাংলার অসংখ্য মনীষীর জীবন কথা। ছোট গোল খোপে চোখ রাখা আর পিছন থেকে ‘দেখো দেখো..’ বলে সুরেলা গান নেই বায়োস্কোপ চালকের। নিউটাউনের ১৭ কিমি দীর্ঘ রাস্তার দু’পাশের ইস্পাতের রেলিংয়ে রঙিন অবয়বে ফুটে উঠছে ফরাসি শিল্পকলার ‘ফেন্স আর্ট’।

কষ্ট করে কাউকেই গাড়ি থেকে নামতে হবে না, হাঁটতেও হবে না। স্রেফ চলন্ত গাড়ি থেকে বাইরে চোখ রাখলেই স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াই, ত্যাগ, শহিদের স্মৃতিকথা থেকে শুরু করে বাংলার নবজাগরণ ও শিক্ষা, সংস্কৃতির অজস্র দৃশ্য পর পর চলে আসবে। গান্ধীজি, নেতাজি থেকে স্বয়ং রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, রামমোহন, বিদ্যাসাগরের কর্মকাণ্ডের নানা মুহূর্ত দেখা যাবে রাস্তার রেলিংয়ের চওড়া ইস্পাতের পাতে। এখানেই শেষ নয়, ধূসর রঙের জমিতে রঙিন অবয়বে হাজির ‘হীরক রাজার দেশে’র স্রষ্টা সত্যজিৎ রায় এবং তাঁর নানা বর্ণময় চরিত্রের সৃষ্টি। রোড গ্র‌াফিক্সে অভিনব এমন ভাবনার স্রষ্টা এনকেডিএর চেয়ারম্যান তথা হিডকোর ম্যানেজিং ডিরেক্টর দেবাশিস সেন। তাঁর কথায়, “গতানুগতিক রেলিং ছেড়ে অন্যপথে হেঁটে নতুনত্বের সন্ধানে এবার ‘ফেন্স আর্ট’ শুরু হল। তবে সরাসরি সামনে দাঁড়িয়ে এই আর্ট দেখা যাবে না। তির্যক পথে আসতে, কোনাকুনি ৪৫ ডিগ্রি দৃষ্টিকোণ থেকেই এই শিল্পকলা খুঁজে পাবেন নিউটাউনের রাস্তায়।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ঋতুপর্ণার কাছে ক্ষমা চাইল বিমান সংস্থা! ‘সবার হয়ে প্রতিবাদ করেছি!’ মন্তব্য অভিনেত্রীর ]

সল্টলেক থেকে বিশ্ববাংলা সরণি ধরে নিউটাউনে ঢুকতে সেন্ট্রাল ব্রিজ পার হলে বাঁদিক থেকে আপাতত শুরু হয়েছে এই ফেন্স আর্ট। চিত্রশৈলীর দায়িত্বে দুই তরুণ আর্কিটেক্ট অয়ন রায় ও সৌম্যজিৎ দাস। ছয় ইঞ্চি দূরত্বে ৫০ মিমি চওড়া ও ২৫ মিমি পুরু ইস্পাতের বিশেষ পাত দিয়ে রেলিংয়ে ধূসর রং করা হয়েছে। কলকাতার রাস্তায় বা নিউটাউনে অধিকাংশ লোহার রেলিং নির্মাণ করা হয়েছে, কিন্তু এই আর্টের জন্য ইস্পাতের ‘বার’ নিয়ে আসা হচ্ছে। অয়নের কথায়, “১২টি পাতে বিশেষ ল্যাটেক্স ব্যবহার করে স্কেচ প্যাড সফটওয়ার দিয়ে এক—একটি মোটিফ ফুটিয়ে তোলা হচ্ছে।” সোজা গিয়ে প্রথম দফায় এমন রেলিং শেষ হবে টাটা ক্যানসার হাসপাতাল পর্যন্ত। ইতিমধ্যে এক কিমি রেলিংয়ে নেতাজি থেকে সত্যজিৎ রায় এবং তাঁর সৃষ্টি লালমোহন গাঙ্গুলির ফেন্স আর্ট সম্পূর্ণ। বিশ্ববাংলা বাণিজ্য সম্মেলনের অতিথিরা এই অংশ দেখে চমৎকৃত হবেন বলে মনে করছেন হিডকোর কর্তারা। দুর্গাপুজোর আগেই আপ-ডাউন মিলিয়ে প্রায় ১৭ কিমি দীর্ঘ রাস্তার দু’পাশের বাঁশের ফেন্সিং তুলে ‘রোড গ্রাফিক্স’ সম্পূর্ণ হবে বলে আশাবাদী দেবাশিস সেনও।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বিছানায় জাপটে ধরে ঐন্দ্রিলাকে একডজন চুমু! অঙ্কুশের সারপ্রাইজে নাজেহাল নায়িকা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ