৯ আশ্বিন  ১৪৩০  বুধবার ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

যাদবপুরের পথে হেঁটেই প্রেসিডেন্সিতে খোলা আকাশের নিচে প্রদর্শিত হবে ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্র

Published by: Bishakha Pal |    Posted: August 27, 2019 5:53 pm|    Updated: August 27, 2019 7:58 pm

Presidency University has planned to screen Ram Ke Naam documentary

রিংকি দাস ভট্টাচার্য: ‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্র দেখানো নিয়ে জট কাটল না প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রছাত্রীদের হাজার অনুরোধ সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তথ্যচিত্রটি দেখানোর অনুমতি দিল না। কিন্তু জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত এই তথ্যচিত্রটি দেখতে অনড় পড়ুয়ারা। তাই তাদের দাবি, যদি প্রেক্ষাগৃহে তথ্যচিত্রটি দেখানোর অনুমতি একান্তই দিতে না পারে কর্তৃপক্ষ, তাহলে তারা ওপেন থিয়েটারে সেটি দেখতে চান। এনিয়ে ফের বিভ্রাট শুরু হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে।

প্রেসিডেন্সির পড়ুয়ারা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মতে প্রেক্ষাগৃহে কোনও রাজনৈতিক তথ্যচিত্র দেখানো যাবে না। তাই উদ্যোক্তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, খোলা জায়গাতেই দেখানো হবে ‘রাম কে নাম’। তা বুধবারও হতে পারে, বৃহস্পতিবারও হতে পারে। কিন্তু ‘রাম কে নাম’ দেখানো হবেই বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।

[ আরও পড়ুন: জানেন গত ৩ বছরে বিনা টিকিটের যাত্রীদের থেকে কত জরিমানা নিয়েছে রেল? ]

সোমবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ঠিক এভাবেই দেখানো হয়েছিল এই তথ্যচিত্রটি। তবে তার আগে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছিল এবিভিপি। কিন্তু বেঁকে বসে অন্য ছাত্রছাত্রীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি সব ছাত্র সংগঠন একযোগে জানায়, এমন কোনও হুঁশিয়ারির কাছে তারা মাথা নত করতে রাজি ছিল না। উদ্যোক্তাদের তরফে স্পষ্ট বলা হয়, সিদ্ধান্ত হয়েছিল সোমবার সন্ধে ৬টায় ওয়ার্ল্ড ভিউতে দেখানো হবে ‘রাম কে নাম’। শেষে খোলা আকাশের নিচে দেখানো হয়েছিল তথ্যচিত্রটি। এবার এই পথেই হাঁটতে চাইছে প্রেসিডেন্সিও।

‘রাম কে নাম’ তথ্যচিত্রটি বাবরি মসজিদ ধ্বংস ও সেই জায়গায় রামের মন্দির প্রতিষ্ঠার প্রসঙ্গ নিয়ে তৈরি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে হিন্দু পরিষদের ক্যাম্পেনের কথাও তুলে ধরা হয়েছে। ১৯৯০ সালে আডবানীর রথযাত্রার কথাও বর্ণনা করা রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদের একটি ভিডিও-ও রয়েছে সেখানে। ১৯৪৯ সালে মন্দিরের একটি ঘটনাও তুলে ধরা হয়েছে ভিডিওয়। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতে, মসজিদের মধ্যে হঠাৎই রামের মূর্তি দেখা গিয়েছিল। রাম আকাশ থেকে নেমে এসে মসজিদে উপস্থিত হয়েছিলেন।

তথ্যচিত্রে মুসলিম বাসিন্দাদের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারও রয়েছে। এছাড়া বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সদস্য পটবর্ধনের একটি সাক্ষাৎকারও রয়েছে যেখানে বলা হয়েছে, দরকার হলে তাঁরা জোর করে অযোধ্যা ছিনিয়ে নেবেন। আবার এও দেখানো হয়েছে, যারা রাম মন্দির নিয়ে উত্তেজনা সৃষ্টি করছে অযোধ্যায়, তারা রামের জন্মের তারিখও ঠিকমতো জানে না। এছাড়া তথ্যচিত্রে যেমন আটের দশকের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কথা তুলে ধরা হয়েছে, তেমনই নাথুরাম গডসের হাতে মহাত্মা গান্ধীর মৃত্যু সংক্রান্ত ক্লিপিংসও দেখানো হয়েছে।

[ আরও পড়ুন: নির্বাচনের মুখে ফাঁপরে শরদ পাওয়ার, আর্থিক দুর্নীতিতে নাম জড়াল এনসিপি সুপ্রিমোর ]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে