Advertisement
Advertisement
Aporajeyo Review

Aporajeyo Review: শুভঙ্কর সান্যাল হয়ে ফের ‘শত্রু’ দমনে রঞ্জিত মল্লিক, কেমন হল ‘অপরাজেয়’? পড়ুন রিভিউ

শুভঙ্কর সান্যালকে ঘিরেই ছবির সমস্ত ঘটনা।

Here is the review of Ranjit Mallick starrer Aporajeyo | Sangbad Pratidin
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:June 10, 2023 4:29 pm
  • Updated:June 10, 2023 4:29 pm

নির্মল ধর: ‘অপরাজেয়’ সিনেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু একজনই, তিনি শুভঙ্কর সান্যাল ওরফে রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick)। তাঁর ইমেজ মাথায় রেখেই সাজানো গোটা চিত্রনাট্য। পোড় খাওয়া অভিনেতা নিজের মেজাজ ছবিতে বজায় রেখেছেন। এ সিনেমা শুধু তাঁর জন্যই দেখা যায়।

Aporajeyo-3

Advertisement

শুভঙ্কর সান্যালকে ঘিরেই ছবির সব ঘটনা, নাটক তৈরি, বাকিরা সকলেই রয়েছেন তাঁর সঙ্গী-সাথী হয়ে! অভিনেতা ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, প্রয়াত মৃণাল মুখোপাধ্যায়, স্ত্রীর ভূমিকায় লাবণী সরকার এবং তাঁদের প্রবাসী ছেলে, ছেলের বউ, নাতি (সকলেই নতুন মুখ!) সব্বাই শুভঙ্কর সান্যাল নামের সত্যবাদী, পরোপকারী উকিলের চরিত্রটিকে বিশ্বস্ত করে তোলার সহযোগী হয়েছেন মাত্র। শুভঙ্করের সঙ্গে একবার মোলাকাতেই পাড়ার নামী গুন্ডা সুমিত “ভাল মানুষ” হয়ে যায়। আবার প্রয়োজনে মধ্যবয়স্ক শুভঙ্কর (রঞ্জিত মল্লিক) হাত পা চালিয়ে দিতেও পারেন। মাঝে মাঝে তাঁকে দেখে পুরনো দিনের ‘শত্রু’ সিনেমাটির কথা মনে পড়ছিল। ছবিতে শুভঙ্কর ও রঞ্জন (মৃণাল) দু’জনেরই প্রবাসী ছেলে এদেশে ফিরতে চায় না, বিদেশেই সুখ ও আরমে থাকতে পছন্দ করে। এমন পরিস্থিতিতেই মৃণালের চরিত্র অসুস্থ হয়ে পড়ে। শুভঙ্কর তাঁর কাছেও ত্রাতা হয়ে উপস্থিত।

Advertisement

[আরও পড়ুন: উফ কী গরম! স্তনযুগলের মাঝে যেন জমে বিন্দু বিন্দু ঘাম, মধুমিতার উষ্ণতায় কাত নেটপাড়া]

শ্রীমতী সুমনা কাঞ্জিলাল মোজোটেল এন্টারটেনমেন্টস এবং দিব্যা ফিল্মস উপস্থাপনায় তৈরি ‘অপরাজেয়’ (Aporajeyo)। প্রযোজনার পাশাপাশি ছবির গল্প লিখেছেন শ্যাম দাগা। বাণিজ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকেই গোটা সিনেমা তৈরি করেছেন পরিচালক নেহাল দত্ত। কিছু ফিল গুড মুহূর্তও উপহার দিতে চেয়েছেন দর্শকদের। তবে এখনকার সামাজিক কাঠামোয় অনেক পরিবর্তন এসেছে। সাংসারিক কাঠামোও পালটে গিয়েছে। চিত্রনাট্য লেখার ক্ষেত্রে সেটাও মাথায় রাখতে ভাল হতো। এমনিতে পরিচালক অনেক জায়গায় কন্টিনিউটি বজায় রাখতে পারেননি, ফোনে রঞ্জনের হাসপাতালে যাবার খবর পেয়ে কোন হাসপাতাল না জেনেই ঠিক হাসপাতালে উপস্থিত হন শুভঙ্কর! লন্ডনের রাস্তা আর কিছু স্টক শট দিয়ে প্রবাসের পরিবেশ তৈরির ব্যাপারটাও খুবই অস্বস্তি লাগে।

যাই হোক, পরিচালক নেহাল দত্ত ব্যবসার জন্যই সিনেমাটি বানিয়েছেন, কিন্তু মজা হচ্ছে তিনি গল্পে কোনও রোম্যান্টিক নায়ক- নায়িকা রাখেননি, নাচ-গানও নেই। হ্যাঁ, সিনেমার শেষে একটি গান আছে। রূপঙ্করের গাওয়া “যদি পারিস এখানে আয়…”। ভালই গেয়েছেন। এই গানটিকে কিন্তু ছবির অন্য কোনও জায়গায় থাকলে আরো ভাল হতো। অভিনয় নিয়ে রঞ্জিত মল্লিকের কথা আগেই বলেছি। তিনি একাই চিত্রনাট্যের ভার বহন করেছেন। লাবণী, ফাল্গুনী, মৃণাল তাঁদের কাজে কোনও ত্রুটি রাখেননি। তবে একটা আশঙ্কা, দর্শকের ভাবনায় যে বদল এসেছে, তাঁরা কি সিনেমা হলে ভিড় জমাবেন?

সিনেমা – অপরাজেয়
অভিনয়ে – রঞ্জিত মল্লিক, ফাল্গুনী চট্টোপাধ্যায়, মৃণাল মুখোপাধ্যায়, লাবণী সরকার প্রমুখ
পরিচালক – নেহাল দত্ত

[আরও পড়ুন: ‘বলিউড নিজের কবর নিজেই খুঁড়ছে’! শাহিদ কাপুরকে খোঁচা দিয়ে বিস্ফোরক বিবেক অগ্নিহোত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ