Advertisement
Advertisement

Breaking News

Cargo Netflix

‘কার্গো’ ফিল্ম রিভিউ: ভবিষ্যতের পুষ্পক যানে ২ রাক্ষসের কাহিনি বিশ্বাসযোগ্য হল কই!

কেমন অভিনয় করলেন বিক্রান্ত? সিনেমা দেখার আগেই জেনে নিন।

Vikrant Massey, Shweta Tripathi starrer Netfix film Cargo Review
Published by: Suparna Majumder
  • Posted:September 9, 2020 5:05 pm
  • Updated:September 9, 2020 5:05 pm

সুপর্ণা মজুমদার: যেখানে বসে প্রতিবেদনটি পড়তে শুরু করছেন, দয়া করে সেখানেই বসে থাকুন। মনের কল্পনাকে সিট বেল্টের মতো কিছু একটা দিয়ে বেঁধে রাখুন। কারণ সময়ের এই ভারচুয়াল সফরের ‘কার্গো’তে (Cargo) চড়ে বসলে আপনার অতীত-বর্তমান-ভবিষ্যৎ মিলে মিশে একাকার হয়ে যেতে চলেছে।

ভারতীয় চলচ্চিত্রে মহাকাশের রহস্য নিয়ে ছবি বড্ড কম। প্রধান কারণ বাজেট। ২০১৮ সালে জয়রাম রবির তামিল ছবি ‘টিক টিক টিক’ বাদে সাম্প্রতিক অতীতে তেমন কোনও স্পেস ফিল্মের নাম মগজাস্ত্রে বহু শান দিলেও মনে আসে না। পরিচালক আরতি কাদভের (Arati Kadav) ‘কার্গো’ তৈরির ক্ষেত্রেও আর্থিক টানাপোড়েন ছিল। ২০১৭ সালেই চিত্রনাট্য লিখে ফেলেছিলেন আরতি। অর্থের কারণে ছবির কাজ আটকে গেলে ত্রাতা হন অনুরাগ কশ্যপ (Anurag Kashyap) এবং বিক্রমাদিত্য মোটওয়ানে। তৎকালীন ফ্যান্টম ফিল্মের ব্যানারে প্রযোজনায় অংশীদার হন। তারপরই সম্পূর্ণ হয় ‘কার্গো’ নির্মাণ কাজ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: বন্ধ হোক কঙ্গনার বাংলো ভাঙার কাজ, BMC-কে নির্দেশ বম্বে হাই কোর্টের]

শুক্রবারের বদলে বুধবারই নেটফ্লিক্সে (Netflix) মুক্তি পেয়েছে ১ ঘণ্টা ৫৩ মিনিটের সিনেমাটি। ছবিতে ২০২৭ সালে মহাকাশের পুষ্পক যানের কাহিনি দেখানো হয়েছে। মৃত্যুর পর সেখানেই নবজীবন পেতে যান মানুষ। আর তাঁদের সমস্ত স্মৃতি মুছে, শারীরিকভাবে পুনর্গঠন করে আবার জন্ম নেওয়ার উপযোগী করে তোলে প্রহস্থ (Vikrant Massey)। রাক্ষস প্রহস্থ। পৌরাণিক কাহিনির মতো ভয়ংকর নয় বরং সিধেসাধা আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতোই দেখতে। একেবারে কর্তব্যনিষ্ঠ মধ্যবিত্তের মতো কাজের প্রতি অবিচল। তার এই শান্ত জীবনে কৌতূহলের বীজ বপন করে সহকারী যুভিষ্কা (Shweta Tripathi)।

Advertisement

 

হলিউডের ‘ইন্টারস্টেলার’ কিংবা ‘মার্শিয়ান’-এর প্রতাশ্যা নিয়ে যদি কেউ এ ছবি দেখতে শুরু করেন তাহলে ভুল করবেন। কারণ নিজের ছবির বিষয়বস্তুকে মহাকাশে পৌঁছে দিলেও তাতে দর্শনের ইঞ্জেকশন পুশ করেছেন পরিচালক। বিক্রান্ত মেসি-শ্বেতা ত্রিপাঠির মতো অভিনেতা-অভিনেত্রীও চিত্রনাট্যের সীমাবদ্ধতায় হারিয়ে গিয়েছেন। নীতিজ্ঞর চরিত্রে ভাবলেশহীন মারাঠি অভিনেতা নান্দু মাধব। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও মন্দাকিনীর চরিত্রে প্রাণ দিয়েছেন কঙ্কনা সেনশর্মা (Konkana Sen Sharma)।

পৌরাণিক কাহিনি, হলিউডের সুপারহিরো সিনেমা এবং সায়েন্স ফিকশন ফিল্ম, টাইম মেশিনের কনসেপ্ট মিলিয়ে মিশিয়ে একটি অ্যাবস্ট্রাক্ট পেইন্টিং হয়তো তৈরি করতে চেয়েছিলেন পরিচালক। তবে তা কেবলমাত্র বিভিন্ন সিনেমার অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে গিয়েছে। ভিএফএক্স টিমের প্রচেষ্টা ভাল। বাইরে থেকে যখনই মহাকাশের পুষ্পক যানকে দেখানো হয়েছে তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়েছে। দৃশ্যটি বড়পর্দায় দেখা গেলে বোধহয় আরও ভালো লাগত। তা এখন সম্ভব নয়। তবে এতকিছুর মধ্যেও প্রেম, ভালবাসা, সম্পর্কের কচকচানি, যৌনতা, হিংসার বাইরে গিয়ে নতুন কিছু করার চেষ্টা পরিচালক করেছেন, তার জন্য প্রশংসা অবশ্যই প্রাপ্য।   

[আরও পড়ুন: মেয়ে বলেই সুশান্ত মৃত্যুতে ‘বলির পাঁঠা’! রিয়ার গ্রেপ্তারিতে পুরুষতন্ত্র গুঁড়িয়ে দেওয়ার দাবি তারকাদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ