সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একই সেন্সর বোর্ডের দুই রূপ। একদিকে পরিচালক রঞ্জন ঘোষের ‘রংবেরঙের কড়ি’ বিনা কাটেই পেল ছাড়পত্র, অন্যদিকে সেই ছাড়পত্র পেতেই পরিচালক সুমন ঘোষকে অমর্ত্য সেনকে নিয়ে তৈরি তথ্যচিত্র থেকে ‘গুজরাট’ শব্দটি বাদ দিতেই হল। এই শর্তেই সেন্সরের মহার্ঘ শংসাপত্রটি পেল ‘দ্য আর্গুমেনটেটিভ ইন্ডিয়ান’।
[রাম-সীতার নাম অক্ষত রেখেই সেন্সরের ছাড়পত্র পেল ‘রংবেরঙের কড়ি’]
গত বছর থেকেই লড়াইটি চালিয়ে যাচ্ছেন পরিচালক সুমন ঘোষ। জুলাই মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল তথ্যচিত্রটির। কিন্তু আটকে যায় সিবিএফসির ফাঁসে। গরু, হিন্দুত্ব, গুজরাট ও হিন্দু -চারটি শব্দকে ‘মিউট’ করতে বা ‘বিপ’ দিয়ে ঢাকার নির্দেশ দিয়েছিল সংস্কারি পহেলাজ নিহালনির সেন্সর বোর্ড। এরপর গঙ্গা দিয়ে অনেক জল বয়ে যায়। পহেলাজের বিদায় হয়ে আসেন প্রসূন জোশী। একটু হলেও আশার আলো জেগেছিল পরিচালকের মনে। এবার হয়তো ছাড়পত্র মিলবে। কিছুটা সুরাহা হয়েছিল। গরু, হিন্দুত্ব, হিন্দু শব্দ বাদ গিয়েছিল। সিদ্ধান্ত আটকে ছিল মাত্র একটি শব্দের জন্য ‘গুজরাট’। যা নোবেলজয়ী বাঙালি ২০০২ সালে গোষ্ঠী সংঘর্ষ বোঝাতে নিউ ইয়র্কের কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যবহার করেছিলেন।
[বাড়ছে জটিলতা, রাজস্থানের পর এবার গুজরাটেও নিষিদ্ধ ‘পদ্মাবত’]
শোনা গিয়েছিল, তথ্যচিত্রটি দেখে নাকি পছন্দ হয়েছিল প্রসূন জোশীর। আশা করা হয়েছিল হয়তো বিনা কাটে এবার মুক্তি পাবে ‘দ্য আর্গুমেনটেটিভ ইন্ডিয়ান’। সে আশা পূরণ হল না। সময়ের কাছে ধৈর্য হারালেন পরিচালক। ‘গুজরাট’ শব্দটি মিউট করার জন্য সম্মত হলেন। তারপরই মিলল শংসাপত্র। সিবিএফসির এ ভূমিকায় অসন্তুষ্ট পরিচালক। অর্মত্য সেনের মতো মানুষের জীবন কাহিনি নিয়ে যা হল তাতে বেশ আশাহত তিনি। অবশ্য সুমনের সিদ্ধান্তে নোবেলজয়ীরও সমর্থন রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি। তবে সেন্সরের এই দ্বিচারিতায় শহরের বিশেষজ্ঞ মহলও বেশ অসন্তুষ্ট।
[ফর্সা হওয়ার ক্রিমের বিজ্ঞাপনে না, কোটি টাকার অফার ফেরালেন সুশান্ত]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2024 Pratidin Prakashani Pvt. Ltd. All rights reserved.