Advertisement
Advertisement

Breaking News

আধুনিক অমর প্রেমের গল্প নিয়ে ফিরে এলেন হরনাথ চক্রবর্তী

ভূমিকম্পের ধ্বংসের অভিঘাত এত বিশ্বাসযোগ্য ভাবে এই প্রথম দেখাবে বাংলা ছবি!

Haranath Chakraborty Backs With Modern Love Story Amar Prem
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:November 18, 2016 10:32 am
  • Updated:November 18, 2016 1:42 pm

নির্মল ধর: একবারেই অজানা-অপরিচিত কোনও এক ঊর্মিলা মাঝি নামের গল্পকারকে আবিষ্কার করলেন পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তী৷ আসলে ঊর্মিলা তাঁর গল্পের আইডিয়াটি দিয়েছিলেন ইরস কোম্পানির সোহিনী মুখোপাধ্যায়৷ ইরস-এর লোকজনই হরনাথকে অ্যাপ্রোচ করেন৷ অনেকদিন ছবির জগৎ থেকে সরে আছেন হরনাথ৷ সেই ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’ থেকে একের পর এক হিট ছবির পরিচালক আজকের পরিবেশে কেমন যেন ‘মিসফিট’ হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন৷ প্রসেনজিৎকে নায়ক নিয়ে তাঁর আগের ছবি ‘চলো পাল্টাই’-ও দর্শকের হৃদয়ভেদ করতে পারেনি, যদিও বিষয়ভাবনায় অন্যরকম দায়বদ্ধতার পরিচয় রেখেছিলেন৷
প্রোডাকশন কোম্পানির কাছ থেকে ডাক পেয়ে এবং গল্পটা শুনে থেকেই আবার ছবি বানানোর সাড়া পান৷ চিত্রনাট্য লেখান প্রমিত ও অংশুমান নামের দু’জন তরুণকে দিয়ে৷ হরনাথের কথায়– ‘চিত্রনাট্যই তো ছবির খড়ের কাঠামো৷ সেটা ঠিকমতো বানানো না হলে ছবির ঠাকুর গড়াই যায় না৷ আমার অভিজ্ঞতার কিছু ইন-পুটও অবশ্য ওঁদের দিয়েছি৷ ছবির ক্লাইমেক্স সিনের আইডিয়াটা আমার’৷ এতদিন নীরব থাকার পর ঊর্মিলার গল্পে কী পেলেন যে এই গল্পটাই পছন্দ হল? হরনাথের কথায়– ‘ছবিটা প্রেম নিয়ে, আজকের তরুণ-তরুণীর প্রেম! কিন্তু গল্পে কতগুলি সুন্দর টুইস্ট ও টার্ন আছে৷ পূর্বজন্মের একটা ব্যাপার আছে৷ না, গ্যাদগেদে নাটুকে কিছু নয়৷ টুইস্টগুলি বেশ মজার৷ আছে ভূমিকম্পের পরিবেশ৷ এই যে কিছুদিন আগে নেপালে এক ভয়ংকর ভূমিকম্প হয়ে গেল! সেটাকে মাথায় রেখেই আমার গল্পের পটভূমি করেছি দার্জিলিং৷”
সেখানে ট্রেকিং করতে গিয়েই নায়ক রুদ্র ভূমিকম্পের থাবায় পড়ে৷ ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে আহত রুদ্রকে উদ্ধার করার সময় সামরিক বাহিনী উদ্ধার করে আরও এক তরুণীর দেহ যার হাতে ধরা ছিল রুদ্রর হাত৷ ঘটনার আকস্মিকতায় সেই তরুণী স্মৃতিভ্রষ্ট৷ সে কিছুই মনে করতে পারে না– অতীত, বর্তমান কোনওটাই নয়৷ তবে রুদ্র এটুকু মনে করতে পারে যে কে যেন দুর্ঘটনার শেষ মুহূর্তে তাঁকে হাত ধরে টেনেছিল৷ সেও মেয়েটিকে চেনে না৷ রুদ্রর বর্তমান প্রেমিকা রিয়া এই ঘটনায় চমকে যায়৷ ভুল বোঝাবুঝি হয় দু’জনার মধ্যে৷

amarprem1_web
যেহেতু কমার্শিয়াল ফরম্যাটের গল্প সুতরাং নায়ক-নায়িকার ভুল বোঝাবুঝি মেটাতেই হবে! মিটিয়েছেনও৷ এই রহস্যময়ীর চরিত্র এবং একজন নেগেটিভ চরিত্রের শিল্পী অগ্নি– এঁদের নিয়েই নাটকের কিছু প্যাঁচ থাকছে৷ সেটা হরনাথের কথায় ছবির ইউএসপি৷ আর ছবির বড় সেলিং পয়েন্ট হবে টেকনিক্যাল কিছু কাজ৷ ড্রোন ক্যামেরাও ব্যবহার করেছেন দার্জিলিং-এর লোকেশনে৷ আসল ভূমিকম্প দেখানোর জন্য তিনি নেপালের ঘটনার কিছু রিয়্যাল ফুটেজ যেমন ব্যবহার করছেন, তেমনি কম্পিউটার গ্রাফিক্সের সাহায্য নিয়ে বাংলা বাণিজ্যিক সিনেমায় প্রথম এমন ‘ধ্বংসে’র ছবি দেখাচ্ছেন বিশ্বস্ত ভঙ্গিতে৷
বয়সে অভিজ্ঞ ও প্রবীণ হয়েও হরনাথ চক্রবর্তী আস্থা রেখেছেন নতুন প্রজন্মের উপর, দুই চিত্রনাট্যকার প্রমিত-অংশুমান যেমন তরুণ, ছবির সঙ্গীত পরিচালক দেব সেনকেও অনেকটাই ‘নতুন’ বলা যায়৷ হরনাথ বললেন, ‘পুরনো দিনের ফ্লেভারের সঙ্গে আজকের টিউনকে পাঞ্চ করে সত্যিই এক অভিনব সুর দিয়েছেন দেব৷’ জানা গেল একটা সাপুড়ে গানও আছে৷ একবারেই অন্য এক ঘরানার৷
তাঁর সব থেকে সাহসী কাজ হল তিনটি প্রধান চরিত্রেই প্রায় অজানা নতুন শিল্পী নেওয়া৷ এঁরা হলেন গৌরব (রুদ্র), মেঘনা (রিয়া) এবং সৌরভ চক্রবর্তী (অগ্নি)৷ এঁদের নিয়ে কাজের প্রসঙ্গে হরনাথের মত– ‘দুর্দান্ত কাজ করেছে এটা শুধু বলছি৷ বাকিটা দর্শকের উপর৷ একটা সময় সকলেই নতুন থাকে! কাজ করতে করতে সিজনড হয়৷’ এঁদের তিনজন সম্পর্কেই হরনাথ বললেন– ‘দে শুড গো টু প্লেসেস!’
এক সময় দক্ষিণী ছবির কপি করেছেন এই হরনাথ, হিটও দিয়েছেন পরপর৷ প্রসঙ্গটা তুলতেই বললেন, ‘আমরা যেসব দক্ষিণী গল্প নিয়ে ছবি করেছি সেগুলিকে বাংলার জল-হাওয়ার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করেছি৷ এখনকার মতো কপি-পেস্ট নয়৷ দক্ষিণী নায়কের বাঁ চোখ দিয়ে জল পড়লে, বাংলাতেও সেটাই করা হয়৷ ওখানে ছেলে-মেয়ের বিয়ে হয় দিনের বেলা৷ বাংলাতেও তেমনটি করা হচ্ছে৷ সেটা কখনও আমি করিনি৷
বাংলার রুচি-সংস্কৃতির সঙ্গে মিলিয়েছি ঘটনা ও চরিত্রকে৷ এখন তো আসল ছবিতে নায়ক নীল জামা পরলে, বাংলার নায়ককেও সেটাই পরানো হয়৷ এটা চলে না, চলছে না৷’ এবং সেই কারণেই হরনাথের আবার নিটোল গল্পে ফিরে তৈরি ‘অমর প্রেম’৷

Advertisement

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ