Advertisement
Advertisement

Breaking News

সন্তানদের অবহেলায় হাসপাতালে নিঃসঙ্গ এই বলিউড অভিনেত্রী

যাঁর নামের পাশে রয়েছে ‘পাকিজা’র মতো সিনেমা, আজ তাঁর হাসপাতালের বিল মেটানোর টাকা নেই...

Heartbreaking! Pakeezah actress Geeta Kapoor abandoned by children at hospital
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 29, 2017 12:11 pm
  • Updated:May 29, 2017 12:11 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চোখ দেখে রুপোলি পর্দার রূপকথা৷ মন দেখে স্বপ্ন৷ স্বপ্ন এমন এক জীবনের যেখানে নেই কোনও দুঃখ, নেই জ্বালা, নেই ব্যাথা৷ ব্যস মধুরেণ সমাপয়েৎ৷ কিন্তু স্বপ্নের এই বুদবুদকে তো একদিন বাস্তবের রুক্ষ মাটিতে পড়তে হয়৷ ভেঙে খান খান হয়ে যায় গ্ল্যামারের রঙিন চশমা৷ হাতে থেকে যায় কেবল আপনজনের অবহেলা আর বিশ্বাসঘাতকতার জ্বালা৷ বার্ধক্যের চামড়ায যখন ভাজ পড়ে, তখন বেঁচে থাকাও যেন অভিশাপের মতো ঠেকে৷ এই আপ্ত বাক্যটি কঠিন সত্যি হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্ষীয়ান অভিনেত্রী গীতা কাপুরের জীবনে৷

এক সময় বলিউড দাপিয়ে বেড়িয়েছে এই ঘোলাটে হয়ে যাওয়া চোখ জোড়াই৷ ‘পাকিজা’র মতো সিনেমায় দাপটের সঙ্গে অভিনয় করেছেন রাজ কুমারের স্ত্রীর চরিত্রে৷ নামের পাশে রয়েছে বলিউডের প্রায় শ’খানেক সিনেমা৷ অথচ আজ তাঁরই ঠিকানা মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতাল৷ চিকিৎসার টাকা নেই, নেই ফেরার কোনও আস্তানা৷ আর অভিনেত্রীর এই অবস্থার জন্য দায়ী তাঁরই ছেলে৷ নিজের মাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে যেতে যার বিবেকে এতটুকু দংশন হয়নি বোধহয়৷

Advertisement

[বেঙ্গালুরুর রাস্তায় বিষাক্ত ‘তুষারপাত’!]

Advertisement

গত একমাস ধরে এভাবেই হাসপাতালে পড়েছিলেন গীতা দেবী৷ ছেলে রাজা কাপুর তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিল৷ শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল অভিনেত্রীর৷ ডাক্তাররা অগ্রিম কিছু টাকা জমা রাখতে বলেছিলেন চিকিৎসার জন্য৷ সেই টাকা এটিএম থেকে তুলতে যাওয়ার নাম করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় ছেলে রাজা৷ এর পর থেকে তাঁর আর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি৷ গীতাদেবীর মেয়ে পূজার সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ৷ কিন্তু কোনও সাড়া মেলেনি৷ বাধ্য হয়ে বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর চিকিৎসা শুরু করেন হাসপাতালের ডাক্তাররা৷ কারণ তাঁর অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না৷

একটু সুস্থ হতেই গীতাদেবী খুলে বলেন সবকিছু৷ কীভাবে ছেলে রাজা তাঁর উপর দিনের পর দিন অত্যাচার চালাত৷ বারবার তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার জন্য জোর করা হত৷ এর জন্য মারধরও করা হত৷ চারদিনে একবার খেতে দেওয়া হত৷ দিনের পর দিন ঘরে বন্দি করে রাখা হত৷ এত অত্যাচারের ধকল যখন বৃদ্ধ অভিনেত্রীর দেহ সইতে পারেনি, তখন বাধ্য হয়েই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ছেলে৷ তবে মা’কে সুস্থ করতে নয়, তাঁর দায় কাঁধ থেকে নামিয়ে পালিয়ে যেতে৷

[এবার সাধক কবির চরিত্রে দেখা মিলবে মিঠুন চক্রবর্তীর]

হাসপাতালের ডাক্তাররা জানিয়েছিলেন, নিজেকে সেনা অফিসার বলে পরিচয় দিয়েছিল রাজা৷ পরে গীতাদেবীর কাছ থেকে পুরো ঘটনা জানতে পারেন তাঁরা৷ বিষয়টি জানাজানি হতে বৃদ্ধ অভিনেত্রীর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন সিবিএফসি সদস্য অশোক পণ্ডিত ও প্রযোজক রমেশ তুরানি৷ তাঁরা দু’জনে মিলেই হাসপাতালের প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বিল মেটান৷ আপাতত অনেকটাই সুস্থ অভিনেত্রী৷ শরীরের কষ্ট তাঁর লাঘব হয়েছে, কিন্তু মনের ক্ষত এখনও দগদগে৷ যা হয়তো কোনওদিনও সেরে উঠবে না৷

[সন্ত্রাস আর ক্রিকেট একসঙ্গে চলতে পারে না, জানিয়ে দিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ