সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিতর্ক যেন পিছুই ছাড়ছে না ‘ইন্দু সরকার’ ছবির। পরিচালক মধুর ভান্ডারকরের এই রাজনৈতিক ছবির প্রেক্ষাপট থেকেই শুরু যত বিপত্তির। ভারতীয় রাজনীতির অন্যতম কালো অধ্যায় জরুরি অবস্থা। ইতিমধ্যেই ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে সেই সময় ক্ষমতায় থাকা শাসকদল। এতও কিছুর পরেও হাল ছাড়েননি মধুর ভান্ডারকর। কিন্তু এবার কার্যত হতাশা শোনা গেল তাঁর গলায়। ছবির বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দৃশ্যে কাঁচি চালিয়েছে সেন্সর বোর্ড। ছবির সেই দৃশ্য বদলে ফেলার আদেশ দিয়েছে সিবিএফসি।
[এবার বাংলা ছবিতেও সানির জাদু, কীভাবে জানেন?]
প্রথম থেকেই কংগ্রেসের তরফ থেকে এই ছবিকে ব্যান করে দেওয়ার অনুরোধ করা হয় সেন্সর বোর্ডের কাছে। তাদের দাবি, সেই সময়ের শুধুমাত্র খারাপ দিকগুলিই তুলে আনা হয়েছে ছবিতে। সে বিযয়ে কর্ণপাত না করলেও সেন্সর বোর্ডের এহেন আচরণে চমকে গেছেন পরিচালক। ছবিতে সে সময়ের বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের নাম উল্লেখ রয়েছে এই ছবিতে। অটল বিহারি বাজপেয়ী, মোরারজি দেশাইয়ের মতো সেই সব নেতাদের নাম পরিবর্তন করার নির্দেশ দিয়েছে সিবিএফসি। এমনকী বেশ কিছু বিশেষ রাজনৈতিক শব্দ ও রাজনৈতিক দলের নামও বাদ দিতে বলা হয়েছে পরিচালককে। সত্তরের জরুরি অবস্থায় কংগ্রেসের ব়্যালিতে গান গাইতে চাননি কিশোর কুমার। চিত্রনাট্যের খাতিরে সেই দৃশ্যও উঠে আসে ‘ইন্দু সরকার’-এ। কিন্তু এখানেও আপত্তি সেন্সর বোর্ডের। আইবি, পিএম থেকে শুরু করে ছবির এক গুরুত্বপূর্ণ সংলাপও কেটে বাদ দিতে চেয়েছে তারা। কি ভিত্তিতে এইসব শব্দ, সংলাপ ও ঘটনা বাদ দিতে বলেছে সেন্সর বোর্ড, সেই নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন পরিচালক মধুর ভান্ডারকর।
[পাক সহকর্মীদের মিস করছেন, প্রকাশ্যে কেঁদে ফেললেন শ্রীদেবী]
শুধুই কাঁচি চালানোই নয়, ছবির সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে দু’টি নির্দেশিকাও। তবে হাল ছাড়ছেন না মধুর। বাকপ্রকাশের স্বাধীনতা আমাদের মৌলিক অধিকার, তাতে হস্তক্ষেপ করতে পারেনা সেন্সর বোর্ড, এই দাবিই করেছেন পরিচালক। সেন্সর বোর্ডের উপর আর ভরসা না করে ‘ইন্দু সরকার’ নিয়ে এবার রিভিউ কমিটির দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। আপাতত তাঁদের হাতেই নির্ভর করছ্ ‘ইন্দু সরকার’-এর ভবিষ্যৎ।