Advertisement
Advertisement

‘শ্রীকান্তদার ডিভোর্সের জন্য আমি দায়ী নই’

প্রযোজকের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে গুজবের জবাবে বিস্ফোরক নুসরত জাহান।

Not responsible for Shrikant Mohta’s divorce: Nusrat Jahan
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 29, 2018 2:26 pm
  • Updated:July 30, 2019 4:26 pm

ইন্দ্রনীল রায়: হোয়াটসঅ্যাপ করলেই প্রেম হয়ে যায় না। আর শুধু কী প্রেমিকের সঙ্গেই হোয়াটসঅ্যাপ হয়? বন্ধুর সঙ্গে হয় না? টলিউডের প্রখ্যাত প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে অভিনেত্রী নুসরত জাহানের(পড়ুন গুজব)। দুজনে নাকি ঘণ্টার পর ঘণ্টা হোয়াটসঅ্যাপ করে সময় কাটান। এসভিএফের অফিসে গিয়ে শ্রীকান্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় মাতেন নায়িকা। এর জেরেই নাকি ভাঙতে চলেছে শ্রীকান্ত-সরিতার ২২ বছরের বিবাহিত জীবন। কানাঘুষোয় এহেন খবর শুনে বেজায় চটেছেন নুসরত। নিন্দুকদের উদ্দেশ্যে উগরে দিলেন ক্ষোভ।

‘পদ্মাবত’-এর পালটা, বনশালির মা লীলাকে নিয়ে ছবি বানাবে কর্ণি সেনা ]

কী বললেন নুসরত? জানালেন,

Advertisement

‘শ্রীকান্তদার সঙ্গে আমাকে জড়িয়ে যারা গুজব রটাচ্ছে, তারা এটা জেনে রাখুক, শ্রীকান্তদার পাশ থেকে সরে আসব না। বন্ধু হিসেবে সবসময় পাশে থাকব। যেমন আগেও ছিলাম। শ্রীকান্তদার স্ত্রী সরিতা লাভলি লেডি। ওঁদের দুজনের সঙ্গেই আমার ব্যক্তিগত বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমাদের মধ্যে প্রায়ই গার্লি টক হয়। কখনও শ্রীকান্তদা সেখানে মাথা গলায় না। ইন্ডাস্ট্রির  অনেকই এ কথা জানে। বিভিন্ন সময় নানাভাবে সেই সম্পর্কে ফাটল ধরাতে চেষ্টা হয়েছে। কিন্তু আমি সজাগ থাকায় ব্যাপারটা বেশিদূর গড়ায়নি। আজ বলা হচ্ছে আমার জন্য নাকি ওরা আলাদা হয়ে যাচ্ছে। তুমি আমাকে যা খুশি তাই বলতে পারো। তবে শ্রীকান্ত-সরিতার ডিভোর্সের জন্য আমি দায়ী নই। এই অন্যায় অভিযোগের দায় আমি কিছুতেই মেনে নেব না। যারা এসব ছড়াচ্ছে, তারা কী ভাবছে? এই গসিপের আঁচ পেয়ে আমি ওদের দু’জনের থেকে দূরে সরে যাব? এজন্মে সেটা হবে না। আমি বন্ধু হিসেবে এই টাফ ফেজে তাদের পাশেই থাকব। কেন ওঁরা ২২ বছরের বিয়ে ভেঙে বেরিয়ে আসতে চাইছেন জানি না। বিষয়টি ওদের ব্যক্তিগত। এনিয়ে শ্রীকান্তদার সঙ্গে আমার কোনও কথা হয়নি। আসলে ‘লাভওয়ালা অ্যাঙ্গল’ আমাদের কথাবার্তায় কখনওই থাকে না। তারপরেও যারা চেষ্টা করে আমার গায়ে কালি লাগাতে চাইছে। তারা তো বেচারা।

Advertisement

JAHAN-WEB

মজার বিষয় হল, শ্রীকান্ত-সরিতার ডিভোর্সের কারণ হিসেবে আমাকে দেখিয়েও তারা ক্ষান্ত হয়নি। নিন্দুকদের কেউ কেউ নাকি শ্রীকান্তদার সঙ্গে আমার বিয়ের দিনও ঠিক করে ফেলেছে। সে খবরও পেয়েছি। এদের কী কোনও বোধ নেই? সব্বাইকে নিজেদের ছাঁচে ফেলে ভাবতে শুরু করেছে। আমার ব্যাকগ্রাউন্ডটা একবার জেনে নিক। কোন পরিবার থেকে আমি এসেছি। আমার বাবা মায়ের দীর্ঘ বিবাহিত জীবন। শৈশব থেকেই বিয়েকে খুব পবিত্র সম্পর্ক হিসেবে ভাবতে শিখেছি। অন্য কারও ঘর ভাঙার শিক্ষা বাবা মা আমাকে দেয়নি। আজ এসব খবরে আমার পরিবারে আমাকে কৈফিয়ৎ দিতে হচ্ছে। এছাড়া শ্রীকান্তদার ফ্যামিলি রয়েছে। ওঁর ছেলেরা যথেষ্ট বড়। এই কুৎসা যারা রটিয়েছে তাদের অনেককেই শ্রীকান্তদা একদিন নিজের হাতে তৈরি করেছেন। তারা এখন পালটি খেয়েছে। তারা কী ভেবেছিল স্বার্থপরের মতো আমি পালটি খাব? ডিভোর্সের প্রসঙ্গ তুলে শ্রীকান্তদার বদনাম করব? যেই দেখল আমি ওঁদের পাশেই থাকলাম, তখন নাম না করেও ডিভোর্সের দায়ভার আমার ঘাড়েই চাপানোর চেষ্টা হচ্ছে। তাদের তো এটাও জানা উচিত, ৬ বছর ধরে একজনের সঙ্গে আমার সম্পর্ক রয়েছে। শ্রীকান্তদা,সরিতার সঙ্গে কতদিন আমরা দু’জনে অড্ডা দিয়েছি। পার্টি করেছি।

[ তেলুগু সিনেমায় আগ্রহ নেই তমন্নার! ‘বাহুবলী’র নায়িকাকে জুতো ছুড়ে ‘শাস্তি ’]

আজকে বলছে আমি নাকি কাজ পাওয়ার জন্য এসভিএফ অফিসে গিয়ে বসে থাকি। আরে সেখানে তো ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই যায়। প্রেমই যদি করব তাহলে আমাদের দু’জনেরই বাড়ি আছে, অন্য জায়গা আছে শহরে, সেখানেই করব। আর হোয়াটসঅ্যাপে কী প্রেম হয় ? হোয়াটসঅ্যাপে তো বন্ধুর সঙ্গেও কথা বলি। তাই বলে সবার সঙ্গেই প্রেমের সম্পর্! বন্ধু বলে কোনও শব্দ কী তাদের ডিকশনারিতে নেই? এসভিএফে গিয়ে ছবি পাই মানে? আমার কটা ছবির প্রযোজক এসভিএফ? যারা এসব রটাচ্ছে তারা মানসিকভাবে অসুস্থ। ওদের বলব প্লিজ গ্রো আপ। দে নিড টু ভিজিট এ ডক্টর। দুঃখের বিষয় এইসব রটনাকারীদের ফাঁদে পা দিচ্ছে বেশ কিছু মিডিয়া।’

পুরো সাক্ষাৎকারটি পড়তে ক্লিক করুন এখানে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ