Advertisement
Advertisement

Breaking News

‘পদ্মাবত’ মুক্তিতে দেশ টুকরো হবে, সুপ্রিম রায়েও হুমকি আমুর

সুপ্রিম কোর্টেররও উপরে বিজেপি নেতা, উঠছে প্রশ্ন।

Padmaavat release will sow seed of partition: Suraj Pal Amu
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:January 18, 2018 9:09 am
  • Updated:January 18, 2018 9:09 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সেন্সর রাজি। সুপ্রিম কোর্ট রাজি। কিন্তু রাজি নন সুরজ পাল আমু। সারা দেশে ‘পদ্মাবত’ মুক্তিতে যখন খোলা ছাড়পত্র দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত তখনও হুঁশিয়ারি জারি এই বিজেপি নেতার। এ ছবি মুক্তি পেলে দেশ ভেঙে টুকরো হবে বলেই জানিয়ে দিলেন তিনি।

[ সব রাজ্যেই মুক্তি পাবে ‘পদ্মাবত’, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট ]

Advertisement

সেন্সরের ছাড়পত্র পাওয়ার পরও কেন বিভিন্ন রাজ্যে নিষিদ্ধ করা হয়েছে ‘পদ্মাবত’? এই প্রশ্নে বুধবারই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল ছবির প্রযোজকরা। বৃহস্পতিবারই দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়ে দিল, দেশের কোনও রাজ্যেই ‘পদ্মাবত’ নিষিদ্ধ হতে পারে না। যে রাজ্যগুলি ছবি নিষিদ্ধ করেছে সেখানেও নিষেধাজ্ঞা বজায় থাকবে না। উপরন্তু নতুন করে কোনও রাজ্যও নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারবে না। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কোনওভাবেই শিল্পের স্বাধীনতায় রাজ্য হস্তক্ষেপ করতে পারে না। বস্তুত প্রযোজকদের তরফে আইনজীবী হরিশ সালভে একই মর্মে সওয়াল করেন। তিনিও জানিয়েছিলেন, ছবির বিষয়বস্তুতে পরিমার্জন-সংশোধনের জন্য সেন্সর বোর্ড আছে। বোর্ড তার দায়িত্ব পালন করেছে। তারপরেও রাজ্য কী করে ছবির বিষয়বস্তুতে হাত দিচ্ছে? সেই একই সুরে রায় সুপ্রিম কোর্টেরও। এদিন সেই রায় ঘোষণার পরও অবশ্য নিজের পুরনো অবস্থান থেকে সরলেন না আমু। একদা অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের নাক কাটার হুমকি দিয়ে খবরের শিরোনামে এসেছিলেন তিনি। এদিন রায় ঘোষণার পর তাঁর সাফ কথা, “আজ সুপ্রিম কোর্টে দেশের কোটি লোকের, বিশেষত কোটি কোটি হিন্দুর ভাবনা নিয়ে ছিনিমিনি খেলল। সুপ্রিম কোর্টকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু এই রায় মেনে নেওয়া যায় না। যদি ফাঁসি হয় হোক, তবু আমাদের সংঘর্ষ জারি থাকবে। পদ্মাবত যদি দেশে মুক্তি পায় তবে দেশ ভেঙে টুকরো হবে।”

Advertisement

এদিকে কর্ণি সেনাও ‘পদ্মাবত’ মুক্তির বিরুদ্ধে। সেন্সর ছাড়পত্র পাওয়ার পরও ‘পদ্মাবত’ রুখতে জহরব্রত পালনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। ছবি মুক্তির আগের দিন চিতোরগড় দুর্গের আশেপাশে বিক্ষোভের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এদিকে মধ্যপ্রদেশে একটি স্কুলের অনুষ্ঠানে ঘুমর গানটি বাজায়, ভাঙচুর চালায় কর্ণি সেনা। সাফাই দিয়ে সে রাজ্যের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানান, যেহেতু ছবিটি নিষিদ্ধ, তাই ছবির গান না চালানোই উচিত। আর তা নিয়ে যদি কোথাও গণ্ডগোল বাধে তবে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিতে পারে না প্রশাসন।

[ বিমানবন্দরে চূড়ান্ত হেনস্তার শিকার, চোখে জল এই পাক অভিনেত্রীর ]

এই যখন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মনোভাব তখন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহুকে স্বাগত জানানো হল ঘুমর গানেই। তাও মোদির রাজ্যে, আমেদাবাদে। যেখানে বিজেপি নেতাদের এত হম্বিতম্বি সেখানে এই গানেই কেন স্বাগত জানানো হল। প্রশ্নগুলো থেকেই যায়। কিন্তু কোথাও উত্তর মেলে না।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ