Advertisement
Advertisement

মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর হল অভিনেত্রীর শেষকৃত্য, এল না ছেলে

মৃত্যুর পরও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ল না 'পাকিজা' খ্যাত অভিনেত্রীর৷

Pakeezah actress Geeta Kapoor cremated by daughter
Published by: Sangbad Pratidin Digital
  • Posted:May 28, 2018 9:08 pm
  • Updated:May 28, 2018 9:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আজ যিনি সাফল্যের শিখরে, কাল তাঁর কী পরিণতি হবে, তা বলা কঠিন৷ তেমনটাই এই জনপ্রিয় অভিনেত্রীর ক্ষেত্রেও যে হবে, কে ভেবেছিল! মৃত্যুশয্যায় মনকষ্ট তো পেলেনই, মৃত্যুর পরও দুর্ভাগ্য পিছু ছাড়ল না তাঁর৷ তিনি প্রয়াত বলিউড অভিনেত্রী গীতা কাপুর৷ যাঁর জীবনের শেষ অধ্যায়টা চোখের জলেই লেখা রইল৷

অসুস্থ হয়ে বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন৷ শনিবার অনেক কষ্ট নিয়ে পরলোক গমন করলেন৷ জীবনের শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত ছেলে রাজা কাপুরের মুখটি একবারের জন্য দেখবেন বলে অপেক্ষা করেছিলেন৷ কিন্তু মৃত্যুপথযাত্রী মায়ের জন্য তো নয়ই, তাঁর শেষকৃত্যেও পৌঁছাল না গুণধর ছেলে৷ নামকে সার্থক প্রমাণ করে নিজ দম্ভেই রইল রাজা৷ মায়ের প্রতি প্রায় একইরকম উদাসীন মেয়ে আরাধ্যাও৷ তবে খানিকটা মানবিকতা দেখিয়ে মায়ের শেষকৃত্যটুকু সম্পন্ন করলেন তিনিই৷ তাও আবার তাঁর মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর৷

Advertisement

[চিকিৎসা ব্যবস্থার বাস্তব চালচিত্র পর্দায় ফুটিয়ে তুলবে ‘কিন্তু গল্প নয়’]

এক সময় বলিউড দাপিয়ে বেড়িয়েছেন তিনি৷ ‘পাকিজা’র মতো সিনেমায় অভিনয় করেছেন রাজ কুমারের স্ত্রীর চরিত্রে৷ তাঁর নামের পাশে রয়েছে বলিউডের প্রায় শ’খানেক সিনেমা৷ অথচ বছর খানেক আগে থেকে তাঁর ঠিকানা হয়েছিল মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতাল৷ চিকিৎসার টাকা নেই, নেই ফেরার কোনও আস্তানা৷ আর অভিনেত্রীর এই অবস্থার জন্য দায়ী ছিল তাঁরই ছেলে রাজাই৷ যিনি নিজেই মাকে হাসপাতালে ফেলে রেখে গিয়েছিল৷ শারীরিক অবস্থা বেশ খারাপ ছিল অভিনেত্রীর৷ ডাক্তাররা অগ্রিম কিছু টাকা জমা রাখতে বলেছিলেন চিকিৎসার জন্য৷ সেই টাকা এটিএম থেকে তুলতে যাওয়ার নাম করে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যায় ছেলে রাজা৷ তারপর থেকেই সে বেপাত্তা৷ একপ্রকার বাধ্য হয়েই বর্ষীয়ান অভিনেত্রীর চিকিৎসা শুরু করেছিলেন হাসপাতালের ডাক্তাররা৷ বিষয়টি জানাজানি হতে বৃদ্ধ অভিনেত্রীর সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন সিবিএফসি সদস্য অশোক পণ্ডিত ও প্রযোজক রমেশ তুরানি৷ তাঁরা দু’জনে মিলেই হাসপাতালের প্রায় দেড় লক্ষ টাকা বিল মিটিয়েছিলেন৷

Advertisement

খানিকটা সুস্থ হয়ে গীতাদেবী জানিয়েছিলেন, ছেলে তাঁর উপর দিনের পর দিন কীভাবে অত্যাচার চালাত৷ বারবার তাঁকে বৃদ্ধাশ্রমে যাওয়ার জন্য জোর করা হত৷ এর জন্য মারধরও করা হত৷ চারদিনে একবার খেতে দেওয়া হত৷ দিনের পর দিন ঘরে বন্দি করে রাখা হত৷ এত অত্যাচারের ধকল যখন বৃদ্ধ অভিনেত্রীর দেহ সইতে পারেনি, তখন বাধ্য হয়েই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে আসে ছেলে৷

[২০ বছরের দাম্পত্যে ইতি, বিয়ে ভাঙল অর্জুন রামপালের]

তাঁর প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে অশোক পণ্ডিত বলেন, “রবিবার রাতে মেয়ে আরাধ্যা তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন৷ মায়ের কাজে তিনি কারও উপস্থিতি চাননি৷ তাই তেমন কেউই হাজির ছিলেন না৷ এদিকে তাঁর ছেলের কোনও পাত্তা নেই৷”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ