সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী মাসেই মুক্তি পাচ্ছে ‘পরিণীতা’। প্রচারের কাজে বেজায় ব্যস্ত আপাতত পরিচালক রাজ চক্রবর্তী। তার মাঝেই শোনা গেল তাঁর পরবর্তী ছবির কথা। অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবার রাজের ছবির প্রেক্ষাপট। নাম ‘আম্মা’।
[আরও পড়ুন: ‘দরকার হলেই ফোন করুন’, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির জোর প্রচার সাংসদ মিমির]
রাজ অবশ্য এইপ্রথম রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের ভিত্তিতে ছবি তৈরি করছেন না। কেরিয়ার শুরুর গোড়ার দিকে টেলিভিশনে কাজ করার সময়ে তৎকালীন রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে টেলিফিল্ম বানিয়েছিলেন গোটাকয়েক। তারপর ১৪ বছর গড়ালেও রাজের কথায় সামাজিক তথা রাজনৈতিক পরিস্থিতি খুব একটা বদলায়নি। মানুষে মানুষে হানাহানি, হিংসা, ধর্ম-বর্ণ ভেদাভেদ, রক্তারক্তি দিন দিন ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তাই এই সময়ের কথা মাথায় রেখেই শুরু করতে চলেছেন তাঁর আগামী ছবির কাজ। আদ্যোপান্ত টেলিফিল্ম কনসেপ্টে শুট করা হবে ‘আম্মা’। পলিটিক্যাল ড্রামা। ‘আম্মা’ নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে যে রাজনৈতিক পরিস্থিতির সঙ্গে ধর্মের কথাও থাকছে ছবিতে। তবে টেলিফিল্ম ছাড়াও রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বাস্তব ঘটনা অবলম্বনে ২০১৩ সালে বরুণ বিশ্বাসের কাহিনি নিয়ে তৈরি করেছিলেন ‘প্রলয়’।
“আমি পার্নোকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে কাস্ট করেছি মাত্র। এছাড়াও আমি প্রথমে একজন পরিচালক, তারপর বাকি সবকিছু। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে আমার তরফ থেকে সমস্যা নেই।”
‘আম্মা’র বিষয়বস্তু কী? সীমান্ত অঞ্চলের এক ঘটনার কথা তুলে ধরবেন রাজ চক্রবর্তী এই ছবিতে। যেখানে জাত, ধর্ম নিয়ে অশান্তি নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার। ধর্ম নিয়ে হানাহানির জন্য খুন, জখম এখানে প্রায়ই ঘটে থাকে। এরকমই এক অস্থির এলাকায় এক বয়স্ক মহিলার বাড়িতে আশ্রয় নেয় তিনটি মানুষ। অন্যদিকে, সেই বয়স্ক মহিলারই বাড়িতে তাঁকে দেখাশোনার জন্য থাকে একটি মেয়ে। এই পাঁচটি চরিত্রকে ঘিরেই এগিয়েছে ‘আম্মা’র গল্প। জটিল পরিস্থিতিতে এই পাঁচটি মানুষই নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রত্যেকেরই একটা অতীত রয়েছে। যার সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে বর্তমান। পলিটিক্যাল ড্রামা, তাই গল্পের প্লটে ‘টেনশন’ থাকবে, এমনটাই আশা করা যায়। দাঙ্গা, হিংসার সঙ্গে এই ছবি উত্তরণেরও গল্প বলবে। এমনটাই জানালেন রাজ।
[আরও পড়ুন:‘কাজ পেতে রাজনীতিতে যোগ দেওয়া বোকামি’, অকপট পার্নো মিত্র]
কাহিনির বয়স্ক চরিত্রটির নাম ‘আম্মা’। তিনিই মূল চরিত্র। ‘আম্মার ভূমিকায় দেখা যাবে স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে। যিনি এই প্রথম রাজের সঙ্গে কাজ করছেন। এবং ছবির চমক পার্নো মিত্র। যিনি সদ্য গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। তা ছবির কাহিনি এবং কাস্টিং সবকিছুর সঙ্গেই একটা রাজনৈতিক মিশেল রয়েছে, এতে পরিচালকের রাজনৈতিক অবস্থানে অর্থাৎ রাজ চক্রবর্তীকে তৃণমূলের কোনও অনুষ্ঠানে প্রায়ই দেখা যায়, এতে কোনও সমস্যা হবে না? পরিচালক রাজের সাফ উত্তর, “আমি পার্নোকে একজন অভিনেত্রী হিসেবে কাস্ট করেছি মাত্র। এছাড়াও আমি প্রথমে একজন পরিচালক, তারপর বাকি সবকিছু। তাই বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে আমার তরফ থেকে কোনওরকম সমস্যা নেই।” শুটিং শুরু হবে চলতি বছরের সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি। ‘আম্মা’র প্রযোজক পরিচালক রাজ নিজেই। চিত্রনাট্য লিখছেন পদ্মনাভ দাশগুপ্ত। ক্যামেরার নেপথ্যে সৌমিক হালদার। সবশেষে বলে দিই, এই নতুন ছবিতে কিন্তু কাহিনির শেষে এক মোক্ষম টুইস্ট রেখেছেন রাজ।