সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: খবর বলছে, সবচেয়ে বেশি মাল্টিপ্লেক্স দখল করে রেখেছিল আশুতোষ গোয়াড়িকরের ‘মহেঞ্জো দারো’। সেই তুলনায় ‘রুস্তম’ পিছিয়ে ছিল বেশ কিছুটা। অন্তত গোটা পঞ্চাশ কম তো বটেই!
তার পরেও বক্স অফিসে শেষ হাসিটা হাসলেন অক্ষয় কুমারই! মুক্তি পাওয়ার দ্বিতীয় দিনেও বক্স অফিস কালেকশনের দিক থেকে এগিয়ে রইল ‘রুস্তম’-ই!
হিসেব অনুযায়ী, মুক্তির প্রথম দিনেও বক্স অফিস শাসন করেছিল অক্ষয় কুমারের স্টারডম। প্রথম দিনেই ১৪.১১ কোটি টাকা ঘরে তুলেছে ‘রুস্তম’। দ্বিতীয় দিনে টাকার অঙ্কটা ছিল ১৮ কোটি! বলিউডের ছায়াছবি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এভাবে চলতে থাকলে হেসে-খেলে একশো কোটির ঘরে ঢুকে পড়বে এই ছবি।
অন্য দিকে, ‘মহেঞ্জো দারো’ বেশ খারাপ ব্যবসা দিয়েছে এবং দিয়ে চলেছে। মুক্তির দিন মেরে-কেটে এই ছবি তুলতে পেরেছে ৮.৮ কোটি টাকা। দ্বিতীয় দিন কোনও মতে ১০ কোটির কাছাকাছি।
অবশ্য, বক্স অফিসে হাওয়া বদলাতে খুব একটা সময় লাগে না। এর আগে যখন একই সঙ্গে মুক্তি পেয়েছিল ‘দিলওয়ালে’ আর ‘বাজিরাও মস্তানি’, তখন প্রথম দিকে বক্স অফিসে লাভের মুখ দেখেছিল ‘দিলওয়ালে’। দিন সাতেকের মধ্যেই ছবিটা পুরো একশো আশি ডিগ্রি ঘুরে যায়। বাজিমাত করে বেরিয়ে যায় ‘বাজিরাও মস্তানি’। ‘রুস্তম’ বনাম ‘মহেঞ্জো দারো’-র দ্বন্দ্বেও সেরকম কিছু হতে পারে কি না, বলা মুশকিল!
নিন্দুকরা শুধু ভাবছেন একটাই কথা। হৃতিক রোশন আর টুইঙ্কল খান্নার টুইট-রিটুইট আর কী! হৃতিক অক্ষয় কুমারকে টুইট করে শুভেচ্ছা জানালে উত্তর দিয়েছিলেন টুইঙ্কল। লিখেছিলেন, দুটো ছবিই ভাল চলুক, তাহলে যৌথ ভাবে সাফল্য উদযাপন করা যাবে। শেষ পর্যন্ত কি আর তা সম্ভব হবে?