সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল ‘রকি’র মেজাজে। নায়কের খোলসে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে খোলস শরীর থেকে খসতে শুরু করে। বেরিয়ে পড়ে খলনায়কের চেহারা। সে চেহারার সত্যও দর্শকদের ভালবাসা পেতে থাকে। আর তিনি হয়ে ওঠেন বলিউডের ভাই। মুন্না ভাই। বলিউডের এমন বাসিন্দা, যাঁর কাহিনি যে কোনও ব্লকবাস্টারের গল্পকেও হার মানায়। ‘বাস্তব’-এর সঞ্জয় দত্তের জীবনকেই পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি। মুখ্য ভূমিকায় রণবীর কাপুর। দিনক্ষণ আগেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছিল। নির্দিষ্ট সময়েই প্রকাশ্যে এল ‘সঞ্জু’র টিজার।
[অমিতাভের কাঠুয়া প্রতিক্রিয়ার সমালোচনা করে পালটা কটাক্ষের শিকার পূজা ভাট]
সিনেমার আভিজাত্য তাঁর পরিবার সূত্রেই পাওয়া। বাবা সুনীল দত্ত ও মা নার্গিসের সমস্ত গুণ বিদ্যমান ছিল সঞ্জয়ের উপর। বলিউডে তাই সুযোগ পেতেও অসুবিধা হয়নি। কিন্তু প্রথম সিনেমার মুক্তির আগেই সঞ্জয়ের জীবনের প্রথম দুর্ঘটনাটিও ঘটে। মা নার্গিসকে হারান সঞ্জু। শোক সামলে বলিউডে পরিচিত পান। খ্যাতির শিখরে পৌঁছতে সময় লাগেনি। এরই মধ্যে আবার জড়িয়ে পড়েন একাধিক সম্পর্কে। হয়ে পড়েন মাদকাসক্ত। ১৯৮৭ সালে রিচা শর্মার সঙ্গে সম্পর্ক পরিণতি পায়। এরই মাঝে মুম্বই বিস্ফোরণের ধাক্কা। তা সামলে উঠতে না উঠতেই ৯৬ সালে ব্রেন টিউমারে মৃত্যু হয় রিচার। আরও একটা বড় ধাক্কা সঞ্জয়ের জীবনে। এরপরও মেয়ে ত্রিশলার কাস্টডি নিয়ে প্রচুর টানাপোড়েন চলতে থাকে। ১৯৯৮ সালে রিয়া পিল্লাইকে বিয়ে করেছিলেন। কিন্তু সে সম্পর্কও টেকেনি। শেষে ২০০৮ সালে মান্যতার সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। তারপর আসে ১৩ সালের মার্চ মাসের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। ইউএপিএ আইনে দোষী সাব্যস্ত হন। পাঁচ বছরের জেল হেফাজতের সাজা শোনানো হয়। ১৮ মাস জেলে থাকার সুবাদে সাজা কিছুটা কম হয়। ভাল ব্যবহারে জেলের মেয়াদ আরও কিছু কমে। শেষে ২০১৬ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তির স্বাদ পান সঞ্জয়। ফের বলিউডে নিজের ‘ভূমি’ চেনান দর্শকদের।
সঞ্জয়ের জীবনের এমন বৈচিত্রকেই পর্দায় তুলে ধরেছেন পরিচালক রাজকুমার হিরানি ও প্রযোজক বিধু বিনোদ চোপড়া। টিজারে বেশ হালকা মেজাজেই তুলে ধরা হয়েছে সঞ্জয়ের জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত। যাতে মিশ্র প্রতিক্রিয়া মিলেছে। এবার ট্রেলারের অপেক্ষা। যাতে অনুষ্কা, সোনম, দিয়া মির্জা, মণীষা কৈরালাদের দেখা পওয়ার সম্ভাবনা প্রবল।
[দাদাসাহেব ফালকে পেয়ে আপ্লুত রণবীর, শাহিদ ক্রেডিট দিলেন স্ত্রী মীরাকে]