Advertisement
Advertisement

Breaking News

অভিনেতা নয়, ‘গাল্লি বয়’ ছবির এম সি শের এটাই হতে চেয়েছিলেন!

নিজের জীবনের গল্প শোনালেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী।

Siddhant Chaturvedi's Life Story
Published by: Bishakha Pal
  • Posted:March 5, 2019 7:05 pm
  • Updated:March 5, 2019 7:05 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘শের আয়া শের’। এই ব়্যাপের মধ্যে দিয়েই ‘গাল্লি বয়’ ছবিতে পরিচয় ঘটেছিল এম সি শের। ছবিতে নিজের গানে বাস্তব জীবনকে ফুটিয়ে তুলেছিল এই এম সি শের চরিত্রটি। ব়্যাপের দুনিয়া তাকে চিনত শের নামে। এই চরিত্রে অভিনয় করেই রাতারাতি বিখ্যাত হয়ে গিয়েছেন সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী। পর্দার এম সি শের। আর হবেন নাই বা কেন? রণবীর সিংয়ের মতো এক জাঁদরেল অভিনেতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে অভিনয় করে গিয়েছেন তিনি। তাঁর বডি ল্যাঙ্গুয়েজে মজেছে দর্শক। এহেন একজন অভিনেতার লক্ষ্য কিন্তু অভিনয় করা ছিল না। জীবনে অন্য কিছু হতে চেয়েছিলেন তিনি।

সিদ্ধান্ত চতুর্বেদী। তাঁর বাবা সিনেমার পোকা। তাই প্রতি শুক্রবার সিনেমা মুক্তি পেলেই কাছের থিয়েটার ছিল তাঁদের অবশ্য গন্তব্য। সলমন খানের গানের খুব বড় ভক্ত সিদ্ধান্তের বাবা। বাড়িতে প্রায়ই তাই বাজে ভাইজানের গান। বাবার দেখাদেখি সিনেমার পোকা হয়ে ওঠেন সিদ্ধান্তও। তবে সলমন নয়, তাঁর পছন্দ শাহরুখ খানকে। শাহরুখের মতো একটা ‘COOL’ নেকলেসও কেনেন তিনি। সাহিত্য ও শিল্পের উপর সিদ্ধান্তের ঝোঁক ছোটবেলা থেকেই। জীবনের প্রথম কবিতা তিনি লেখেন নবম শ্রেণির একটি মেয়ের জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত মেয়েটি তাঁর প্রস্তাব ফিরিয়ে দেয়। কিন্তু প্রেমে ধাক্কা খেয়ে মোটেই ভেঙে পড়েননি সিদ্ধান্ত। কবিতা লেখা তিনি থামেননি। কিন্তু তাই বলে জীবনে কখনও অভিনেতা হবেন, এমন ভাবেননি সিদ্ধান্ত। তিনি চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে চেয়েছিলেন।

Advertisement

শিবরাত্রিতে উন্মোচিত পর্দা, রহস্যভেদ ‘ব্রহ্মাস্ত্র’ ছবির গল্প ও চরিত্রের ]

Advertisement

সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, পড়াশোনায় তিনি কোনওদিন ঢিলেমি দেননি। কিন্তু কলেজে গিয়েই লক্ষ্য টলে যায় তাঁর। নাটকের দলে নাম লেখান তিনি। নাটক ক্রমশ তাঁর ভাল লাগতে শুরু করে। কিন্তু উপায় নেই। চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হতে হলে তাঁকে পড়াশোনায় নজর দিতে হবে। তাই মন দিয়ে পড়াশোনা করতেন। পরীক্ষাও দেন। ব়্যাঙ্ক থেকে মাত্র ১৫ নম্বর কম ছিল তাঁর। কিন্তু সেই নম্বর কাজে লাগেনি।

ফাইনাল পরীক্ষার আগে নিজের অভিনেতা হওয়ার ইচ্ছার কথা বাবাকে জানান সিদ্ধান্ত। ছেলের ইচ্ছাকে মান্যতা দিয়েছিলেন বাবা। অডিশনে যেতে শুরু করেন সিদ্ধান্ত। প্রথম অডিশনে তিনি শিখেছিলেন কীভাবে ক্যামেরার মুখোমুখি হতে হয়। তারপর একের পর এক অডিশন চলতে থাকে। সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন, সবসময় তাঁর বাবা তাঁর পাশে ছিলেন। ‘বাবা-ই আমার আসল এম সি শের। উনি আমাকে খাবার দিয়েছেন, মাথার উপর ছাদ দিয়েছেন যাতে আমি ঠিকমতো জীবনযাপন করতে পারি। উনি আমায় স্বপ্ন দেখার ও সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাই চার বছর পর আমি এখানে।’ বলেন অভিনেতা।

জোয়া আখতারের সঙ্গে সিদ্ধান্তের দেখা একটি সাকসেস পার্টিতে। সেখানে পরিচালকের সঙ্গে তিনি ‘গল্লা গুড়িয়া’ নাচেন। এরপরই জোয়া তাঁকে ‘গাল্লি বয়’ ছবির অডিশনের কথা বলেন। অভিনেতা জানিয়েছেন, ছবির সাফল্যের পর অমিতাভ তাঁকে চিঠি লিখেছিলেন। সেই চিঠি তিনি বাবাকে দেন। সেই মুহূর্তটা ছিল সিদ্ধান্তের জীবনের সেরা মুহূর্ত। কারণ, তাঁর বাবা অমিতাভের খুব বড় একজন ভক্ত।

পর্দায় ফের সন্ত্রাস দমনে অক্ষয়, দেখুন ‘সূর্যবংশী’র প্রথম ঝলক ]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ