Advertisement
Advertisement
ফেলুনাথের মার্কশিট

বিয়ের ভয়ে বাড়ি ছেড়ে পালালেন সৌরভ! ‘ফেলুনাথের মার্কশিট’-এ জমল মজা

জি বাংলা সিনেমা অরিজিন্যালসে মুক্তি পেল ‘ফেলুনাথের মার্কশিট’

Sourav Das’s new film ‘Felunather Marksheet’ released
Published by: Sandipta Bhanja
  • Posted:August 25, 2019 6:55 pm
  • Updated:August 25, 2019 6:56 pm

সোমনাথ লাহা: ২৩ বছরের মধ্যে বিয়ে না দিলে সে সন্ন্যাস গ্রহণ করতে পারে। এ হল ‘ফেলুনাথের মার্কশিট’। শিক্ষাক্ষেত্রে তুল্যমূল্যের বিচার নির্ধারিত হয় প্রাপ্ত নম্বরের হাত ধরে। আর তাই প্রাপ্ত নম্বর সংকলিত মার্কশিট জীবনে চলার পথে তথা কর্মক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে দাঁড়ায় প্রতিটি মানুষের ক্ষেত্রে। কিন্তু সেই মার্কশিটই যদি একজনের জীবনকে এনে ফেলে তার চেনা ছকের বাইরে। তাহলে কী হবে? এহেন বিষয় ভাবনাকে কেন্দ্র করেই জি বাংলা সিনেমা অরিজিন্যালসের নতুন ছবি ‘ফেলুনাথের মার্কশিট’।

[আরও পড়ুন: ‘পার্সেল’-এর প্রথম ঝলকে অন্য রূপে ধরা দিলেন ঋতুপর্ণা]

তবে ফেলুনাথ নাম শুনে আবার দর্শকরা যেন সেই আইকনিক চরিত্রের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলবেন না। এটি সম্পূর্ণ আলাদা এক কাহিনি। অপেরা মুভিজ প্রযোজিত এই ছবির পরিচালক রাজদীপ ঘোষ। প্রসঙ্গত কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের সহকারী রাজদীপ ইতিমধ্যেই জি বাংলা সিনেমা অরিজিন্যালসের সৌজন্যে পরিচালকের আসনে বসেই ‘শুভ শারদীয়া’, গুপী গাএন’, ‘বাঞ্ছারামের বাগানবাড়ি’-র মতো ছবি উপহার দিয়েছেন দর্শকদের। ‘ফেলুনাথের মার্কশিট’-এর প্রযোজনার দায়িত্বভারটি সামলেছেন সুপর্ণকান্তি করাতি।

Advertisement

Advertisement

ছবিতে মুখ্য চরিত্রে রয়েছেন ছোট পর্দার অন্যতম দুই পরিচিত অভিনেতা-অভিনেত্রী সৌরভ দাস ও তন্বী লাহা রায়। ছবির কাহিনি আবর্তিত হয়েছে শহর কলকাতার সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে সিদ্ধার্থ ওরফে সিধুকে (সৌরভ) কেন্দ্র করে। বড়বাজারে তাদের পারিবারিক হোসিয়ারির ব্যবসা রয়েছে। দোকানের নাম ‘ঘোষ অ্যান্ড সন্স’। এই ঘোষ বাড়ির একটা ট্রেন্ড রয়েছে। এই বাড়ির ছেলেরা পরীক্ষায় বারবার ফেল করে। আর বাড়ির ছেলেদের খুব তাড়াতাড়ি বিয়ে দিয়ে দেওয়া হয়, যাতে তারা পারিবারিক ব্যবসার কাজে হাত লাগাতে পারে। এমতাবস্থায় এই বাড়ির ছেলে সিধু গ্র‌্যাজুয়েশনে ফেল করায় তার বাবা বীরেশ্বর ঠিক করে সুপাত্রী দেখে সিধুর বিয়ে দিয়ে তার হাতে পারিবারিক ব্যবসার দায়িত্বভার তুলে দেবেন। অবশ্য এর পিছনে একটি কারণও রয়েছে। কারণ ঘোষ বাড়ির পারিবারিক জ্যোতিষী বলেছেন যে সিধুকে ২৩ বছরের মধ্যে বিয়ে না দিলে সে সন্ন্যাস গ্রহণ করতে পারে। জ্যোতিষীর এই বিধান ও বাবার সিদ্ধান্তকে মন থেকে মেনে নিতে নারাজ সিধু। বাড়ি থেকে পালিয়ে আশ্রয় নেয় নারায়ণপুর গ্রামে। নিজের মধ্যে সে খুঁজে পায় সন্ন্যাসী ফেলুনাথকে। অচিরেই নিজের আসল পরিচয় অর্থাৎ সিদ্ধার্থ নাম মুছে ফেলে ফেলুনাথ নামেই সে পরিচিত হয়। নারায়ণপুরের গরিব শিশুদের লেখাপড়া শেখাতে শুরু করে সে। এমতাবস্থায় নারায়ণপুরের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির মেয়ে মিষ্টির (তন্বী) প্রেমে পড়ে সে। এবার কী করবে সিধু? নিজের আসল পরিচয় সে কি জানিয়ে দেবে মিষ্টিকে? নাকি আজীবন ফেলুনাথ নামেই বাকি জীবনটা কাটাবে? উত্তর জানতে চোখ রাখতে হবে টেলিভিশনের পর্দায়।

[আরও পড়ুন: সুন্দরবনে অমিতাভ ও আমিরের নামে কলেজ বানাচ্ছেন এই ট্যাক্সিচালক]

ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন রোহিত, সৌম্য ও অনির্বাণ। সংগীত পরিচালনায় সৈকত চট্টোপাধ্যায়। সিনেমাটোগ্রাফার সুদীপ্ত মজুমদার। সম্পাদনায় শুভজিৎ সিংহ। এই ছবিতে কাজ করা প্রসঙ্গে সৌরভ দাস জানান, “বানতলায় খুব মজা করে আমরা এই ছবির শুটিং করেছি। বেশ অনেকটা সময় ধরে শুটিং হলেও আনন্দ করে কাজ করেছি। আমি নিশ্চিত ছবিটা দেখে দর্শকও একইরকম আনন্দ পাবেন এবং তাঁরা হতাশ হবেন না।” তন্বীর অভিমতে, “এমনিতে বেশ মজা করে শুটিং করলেও এই ছবির হিরো মানে সৌরভ আমাকে প্রচুর খাটিয়েছে। ভাল কাজ করার চেষ্টা করেছি। কতটা করে উঠতে পেরেছি সেটা দর্শকরাই বলবেন।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ