সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘দঙ্গল’, ‘বাহুবলী ২’-এর মতো ছবিগুলি বিশ্ব চলচিত্রের মানচিত্রে ভারতকে আলাদা করে চিহ্নিত করে দিয়েছে। গোটা দুনিয়া এখন বিগ বাজেটের এই দুই ছবির জয়গান করছে। তাই বক্স অফিসে ধুন্ধুমার সাফল্য পাওয়ার বিষয়টি বাকি তারকা ও ছবি নির্মাতাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ‘দঙ্গল’ ও ‘বাহুবলী ২’-এর পর দর্শকদের নজর এবার সলমন খানের ‘টিউবলাইট’-এর দিকে। আর সেই কারণেই ছবিকে ‘পারফেক্ট’ করে তুলতে কোনও খামতি রাখেননি পরিচালক কবীর খান। এমনকী অভিনেতাদের প্রশিক্ষণের জন্য ভারতীয় সেনারও সাহায্য নিয়েছেন তিনি।
[এবার সাধক কবির চরিত্রে দেখা মিলবে মিঠুন চক্রবর্তীর]
সুপারস্টার সলমন ও কবীর খান জুটির থেকে সিনেপ্রেমীদের প্রত্যাশা তুঙ্গে। ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ ছবিই যেন তাঁদের প্রত্যাশা দ্বিগুণ করে তুলেছে। আর তাই ‘টিউবলাইট’-কে সুপারহিটের তকমা পাইয়ে দিতে সবরকম কসরত করেছেন কবীর খান। ১৯৬২ সালের ইন্দো-সিনো যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে এই ছবি। ইতিমধ্যেই ‘টিউবলাইট’-এর ট্রেলার গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছে। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, ছবির কয়েকটি যুদ্ধের দৃশ্য শুট করানোর জন্য ৬০০ জন অভিনেতাকে সত্যিকারের সেনা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। ভারতীয় জওয়ানরাই সেই দায়িত্ব নিয়েছিলেন। এমনকী এই সব চরিত্রে অভিনেতা বেছে নেওয়ার জন্য বুট ক্যাম্পও তৈরি করা হয়েছিল। অভিনেতাদের চালচলন, হাবভাবে যাতে সম্পূর্ণ সেনাদের ছাপ থাকে, সে বিষয়ে জোর দিয়েছিলেন পরিচালক। বলিউড ছবিতে এমন পদক্ষেপের কথা সচরাচর শোনা যায় না। পার্শ্ব-চরিত্রের অভিনেতারা জানান, জওয়ানদের থেকে অনেক কিছু শিখেছেন তাঁরা। তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্যই অনস্ক্রিনে পারফর্ম করাটা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল।
[‘আমাদের রাস্তা এখন থেকে আলাদা’, শুভশ্রীকে জানিয়ে দিলেন রাজ]
সলমন ও ভাই সোহেল খানও কি ভারতীয় জওয়ানদের থেকে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন? নাহ, তেমন কিছু অবশ্য জানা যায়নি। এর আগে ‘টিউবলাইট’-এর টিজারেও নতুনত্বের ছোঁয়া পাওয়া গিয়েছিল। কবীর জানিয়েছিলেন, সলমনের বাড়ির আশেপাশের শিশুদের এনে কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই একটি গান রেকর্ড করা হয়েছিল। এবার জানা গেল, ঐতিহাসিক যুদ্ধের দৃশ্যগুলি আরও জীবন্ত ও বাস্তব করে তুলতে কতটা পরিশ্রম করেছেন নির্মাতারা।