২০ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  সোমবার ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

একই জমিতে ফলান আপেল-ড্রাগন, জেনে নিন চাষের পদ্ধতি

Published by: Sayani Sen |    Posted: August 18, 2019 6:57 pm|    Updated: August 18, 2019 6:58 pm

Apple and Dragon can be cultivated In a same land!

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপেল বলতে প্রথমেই মনে পড়ে কাশ্মীরের কথা। কিন্তু চায়ের জেলা জলপাইগুড়িতেও যে আপেল চাষ সম্ভব তা প্রমাণ করে দেখাচ্ছে জলপাইগুড়ি মোহিতনগর উদ্যান পালন গবেষণা ও উন্নত খামার। আপেলের পাশাপাশি একই জমিতে চাষ হতে পারে ড্রাগন ফ্রুটের। সুস্বাদু এবং অর্থকরী এই দুই ফলের চাষ করে লক্ষ্মীলাভ করতে পারেন আপনিও।

আপেল চাষের জন্য প্রয়োজন বেলে ও বেলে-দোঁয়াশ মাটি। মাটির পিএইচ মাত্রা যাতে সাড়ে চার থেকে সাড়ে ছয়ের মধ্যে থাকে তা সবার আগে দেখে নিতে হবে। আপেল গাছের চারা নির্বাচন আর একটি বড় ফ্যাক্টর। বাজারে হরেক রকম চারা পাওয়া গেলেও প্রতিষ্ঠিত নার্সারির সঙ্গে আপেল চারার জন্য যোগাযোগ রাখতে হবে। সেক্ষেত্রে টিস্যু কালচার ভ্যারাইটির পাশাপাশি ডরসেট এবং আন্না ভ্যারাইটির চারাই চাষের জন্য নির্বাচন করুন।

[আরও পড়ুন: ধান চাষে প্রয়োজন বৃষ্টির, ঘাটতি মিটতেই শ্রাবণ শেষে চারা রোপণে ব্যস্ত কৃষকরা]

গাছ বোনার ক্ষেত্রে প্রথমে জমি তৈরি করুন। গোবর সারের সঙ্গে মিশ্রণ তৈরি করুন মাটির। সেই সঙ্গে দিতে হবে ভারমি কম্পোস এবং নিমখোল। আট থেকে দশ ফুট অন্তর আপেল গাছের চারা রোপণ করুন। পরিচর্যার ক্ষেত্রে শীতকালে একদিন অন্তর পরিমান মতো জল দিতে হবে। তবে জল দেওয়ার ক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে অতিরিক্ত জল যাতে না দেওয়া হয়। তাতে গাছের গোড়া পচে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। গাছের গোড়া পচে গেলে অবধারিতভাবে গাছ মরে যাবেই। আপেল গাছ ফল দিতে সময় লাগে বড় জোর দু থেকে তিন বছর। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে গাছে ফলনের পরিমাণ বাড়ে। বাজারে চাহিদা থাকায় ভাল দামে ফল বিক্রি সম্ভব।

আপেলের মতোই জলপাইগুড়ির মাটি এবং তাপমাত্রা ড্রাগন ফ্রুট চাষের পক্ষে উপযুক্ত। বিদেশি এই ফলের ভারতের বাজারে যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। খোলা বাজারে এমনকি শপিং মলে পাচশো টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে এই ফল। ফণীমনসা গাছের মতো দেখতে হলেও ড্রাগন ফ্রুট এক ধরনের লতানো গাছ। একটু বড় হলেই এর অবলম্বন দরকার। আপেল গাছের পাশের জমিতে ড্রাগন ফ্রুট চাষ করাই যেতে পারে। যে কোনও নার্সারি পাশাপাশি সরকারি নার্সারিতে ড্রাগন ফ্রুটের চারা পাওয়া যায়। গোবর সার দিয়ে মাটি তৈরি করে চারা বুনে দিন।কিছুটা বড় হলে অবলম্বনের প্রয়োজন বুঝে মাচা তৈরি করে দিন। দু-আড়াই বছর পর দেখবেন ঝুলে রয়েছে সুস্বাদু ড্রাগন ফ্রুট।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে