সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট, হিলি, তপন, হরিরামপুর, গঙ্গারামপুর, কুমারগঞ্জ, কুশমন্ডি, বংশীহারি ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকায় ফাঁকা পড়ে ছিল চাষের মাঠ। কী করবেন কৃষকরা, ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলেন না। এভাবেই কেটেছে বছরের পর বছর। এরপরই একদিন বড় কাশিপুর এলাকার অতুল সমাজদার অন্য কথা ভাবতে শুরু করেন। তিনি তাঁর পুরো জমির মধ্যে মাত্র সাত বিঘা বেছে নিয়ে বিকল্প পরিকল্পনা শুরু করেন।
[উৎপাদন বাড়াতে মৎস্যচাষির ভরসা বায়োফ্লক প্রযুক্তি]
ওই জমিতেই সাড়ে চারশো সুগন্ধি তেজপাতার গাছ বুনে দেন। শুরুতে অনেকেই ক্ষ্যাপামো বলে তাচ্ছিল্য করেন। কিন্তু গাছের চারা বড় হয়ে শাখাপ্রশাখা মেলতে সবাই অবাক। সামান্য খরচে বছরে শুধুমাত্র পাতা বিক্রি করে ভালই লাভ করছেন তিনি। এরপর ওই চাষির পথ ধরে অনেকেই তেজপাতা চাষ শুরু করেন।
[বাড়িতে শিম চাষ করতে চান? রইল পদ্ধতি]
অতুলবাবু জানিয়েছেন, অনেকদিন থেকেই বিকল্প কিছু করার কথা ভাবছিলেন। কিন্তু কী করবেন সেটাই ঠিক করে উঠতে পারেননি। খোঁজ নিতে গিয়ে তেজপাতা চাষের কথা শোনেন। এরপর উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ থেকে চারা সংগ্রহ করেন। এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে গাছগুলি বড় হতে পাতা বিক্রি শুরু হয়ে যায়। বছরে দু’বার গাছ থেকে পাতা সংগ্রহ হচ্ছে। কুইন্টাল প্রতি পাতার দাম চার হাজার টাকা। পাতা বিক্রি করেই ওই চাষি পাওয়ার টিলার কিনেছেন। গাছের গোড়া খুঁড়ে ভাল করে গোবর সার ছিটিয়ে জল সেচের ব্যবস্থা করেছেন। এখন তাঁর মতো এলাকার আরও কয়েকজন পাতা উৎপাদন শুরু করেছেন।
ছবি: রতন দে