বিক্রম রায়, কোচবিহার: লক্ষ্য আর্থিক উন্নতি। তাই এবার ফলের উৎপাদন বাড়াতে মরিয়া প্রচেষ্টা চালাচ্ছে উদ্যানপালন বিভাগ। কোচবিহারে (Cooch Behar) কলা চাষে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। ১০০ হেক্টর জমি চিহ্নিতও করা হয়েছে। ওই জমিতে বসানোর জন্য অন্তত ৩ লক্ষ কলা গাছের চারাও দেবে উদ্যানপালন বিভাগ। এছাড়া নারকেল, পেঁপে, পেয়ারা এবং লেবু চাষেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এগুলিও চাষের জন্য উদ্যানপালন বিভাগের পক্ষ থেকে উন্নত মানের চারাগাছ দেওয়া হবে।
উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগের কোচবিহার জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা বিপ্লব সরকার বলেন, “পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আমরা সুনিশ্চিত এখানে এই ফলগুলো ভাল গুণগতমানের উৎপাদন করা সম্ভব। এই ফলগুলির বাজারমূল্যও ভাল। তাই সমস্ত দিক বিবেচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকারিভাবে এই ফলগুলির চারা কৃষকদের দেওয়া হবে। বাজারজাত করতে যাতে কৃষকদের কোনও সমস্যা না হয় সে বিষয়েও লক্ষ্য রাখা হবে।”
[আরও পড়ুন: গল্প নয় সত্যি, নদিয়ার মাটিতে ইজরায়েলের আপেল ফলিয়ে চমক বাংলার যুবকের]
কোচবিহার জেলা উদ্যানপালন ও খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগ সূত্রে খবর, এক হাজার হেক্টর জমিজুড়ে কলার চাষ হবে। পেয়ারা চাষের জন্য চিহ্নিত ৫০ হেক্টর জমি। সেখানে বসানোর জন্য এক লক্ষ চারাগাছ দেওয়া হবে। লেবু চাষের জন্যেও ৫০ হেক্টর জমি চিহ্নিত হয়েছে। সেখানে বসানোর জন্য কৃষকদের প্রায় ১ লক্ষ ২৫ হাজার চারা গাছ বিলি করা হবে। এছাড়াও কয়েক বছরের মধ্যেই ফল আসার মতো কেরালার উন্নত প্রজাতির নারকেল গাছ প্রদান করা হবে। এই ধরনের অন্তত ৩০ হাজার চারা দেওয়া হবে। এছাড়াও পেঁপে চাষের জন্য চিহ্নিত ৫০ হেক্টর জমি। ফল চাষের ক্ষেত্রে একশো দিনের কাজকে যুক্ত করা হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় রোজগার বাড়াতে এই উদ্যোগ। কোন এলাকায় কোন ফল ভাল হবে সেটা পরীক্ষা করে দেখার পরই গাছের চারা বিলি করা হবে।