Advertisement
Advertisement

Breaking News

কন্যাশ্রীদের চাষবাস

কৃষিকাজের পাঠ কন্যাশ্রীদের, তাদের হাতেই ফলবে মিড-ডে মিলের সবজি

পুরুলিয়ার কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের তরফে চলছে প্রশিক্ষণ।

Kanyasree students get training for agriculture in purulia
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:October 22, 2019 6:37 pm
  • Updated:October 23, 2019 12:45 am

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: কুমড়ো, লাউ, পেঁপে থেকে ফুলকপি। সেইসঙ্গে পেয়ারা, মুসম্বি, আম, জাম। স্কুলের কিচেন গার্ডেনে একেবারে ‘কৃষক’–এর ভূমিকা নামতে চলেছে কন্যাশ্রীরা। স্কুলের মিড–ডে মিলের জন্য সবজি ফলবে তাদের হাত ধরেই। আর সুষম আহারের জন্য ফল চাষও হবে।
কন্যাশ্রী প্রকল্পের আওতায় থাকা পুরুলিয়ায় ‘কন্যাশ্রী বড়দি’ প্রকল্পে এই চাষাবাদের কাজে হাত দিচ্ছে তারা। কারণ, ‘কন্যাশ্রী বড়দি’ প্রকল্পের স্লোগানই হল ‘আমার মেয়ে সব জানে’। তাই তাদের চাষাবাদ ছাড়াও প্রাণীপালন ও মৎস্য চাষের বিষয়েও পাঠ দেওয়া  হচ্ছে, মঙ্গলবার থেকে পুরুলিয়া দু’নম্বর ব্লকের জাহাজপুর কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রে জেলার বিভিন্ন ব্লকের ‘কন্যাশ্রী বড়দি’–দের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে।
চলতি মাসের ২৬ তারিখ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ চলবে। ওই কৃষি বিজ্ঞান কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা নিজেরাই এই প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন।

[আরও পড়ুন: আমন ধানের জমিতে অসময়ে জন্মেছে ‘মিনিকিট’! ক্ষতির আশঙ্কায় কৃষকরা]

মঙ্গলবার সেই প্রশিক্ষণের কাজ দেখতে সেখানে যান জেলাশাসক রাহুল মজুমদার। তিনি বলেন, “কন্যাশ্রী বড়দি প্রকল্পের লক্ষ্যই হল তাদের সব কাজে পারদর্শী করা। যাতে তাদের নিজেদের প্রয়োজনে, স্কুল ও সামাজিক জীবনে নানা কাজে তারা এগিয়ে আসতে পারে।” এছাড়াও ‘কন্যাশ্রী বড়দি’ প্রকল্পে আরও কাজ রয়েছে। জেলার স্কুলগুলি থেকে কন্যাশ্রী বড়দি বাছাই করে তাদের হাত দিয়েই প্রকল্পের রূপায়ণ করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রশাসনের।
এই প্রশিক্ষণের মধ্যেই কন্যাশ্রীদেরকে একটি করে প্রকল্প রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ শেষে তারা স্কুলে কী কাজ করতে চায়, তা ওই রিপোর্টে তুলে ধরতে হবে। সেই রিপোর্ট স্কুলগুলিতে পাঠিয়ে তা বাস্তবায়িত করবে কন্যাশ্রীরা। স্কুলের কিচেন গার্ডেনেই বিভিন্ন সবজি উৎপাদন করলে, মিড-ডে মিলের জন্য আর বাজার থেকে সবজি কিনতে হবে না।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাছ উৎপাদন দ্বিগুণ করার ভাবনা, নয়া উদ্যোগ মৎস্য দপ্তরের]

এদিন কাশীপুরের তালাজুরি শ্রীমতি হাইস্কুলের প্রশিক্ষণ নেওয়া ছাত্রী সুমনা চট্টোপাধ্যায় ও গগনাবাদ হাইস্কুলের মেনকা মাহাতো বলেন, “এই চাষাবাদ, প্রাণিপালনের কাজে আমরা খুবই উৎসাহী। সবজি ও ফলের চাষ শিখে তা স্কুলের কিচেন গার্ডেনে ফলাব।” এই প্রশিক্ষণে তাদের উৎসাহ দিতে সফল কৃষকদের মুখোমুখি নিয়ে এসে হাজির করানো হচ্ছে। যাতে তাঁদের মতামতে এই কাজে আরও উপকৃত হন কন্যাশ্রীরা।কৃষি বিজ্ঞানী ড.মানস কুমার ভট্টাচার্য ও ড.অনির্বাণ চক্রবর্তী বলেন, “এই কাজ আমাদের কাছেও খুব গর্বের। কন্যাশ্রীদের এই কাজে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে পারলে সমাজ উপকৃত হবে।”

Advertisement

ছবি: সুনীতা সিং।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ