ধীমান রায়, কাটোয়া: বাড়ির ছাদে সবুজের সমারোহ। ছাদের উপর টবে ফুলগাছ লাগানোর শখ অনেকেরই আছে। তা বলে ধান চাষ? শুধু ধানই নয়, তিল থেকে সবজি সবই রয়েছে কাটোয়ার পানুহাটের বাসিন্দা চঞ্চল চৌধুরিদের বাড়ির ছাদে। আর চঞ্চলের ধ্যানজ্ঞান একটাই। বাড়ির ছাদে শখের বাগান পরিচর্যা করা। তার এই সবুজের প্রতি প্রেম প্রশংসা কুড়িয়েছে সকলের। অনেকেই আগ্রহ নিয়ে চঞ্চলের হাতে তৈরি বাগান দেখতে যান। চঞ্চল বেশ পছন্দও করেন আগন্তুকদের।
বাড়ির ছাদে ধান চাষের উপায় নিজেই মাথা খাটিয়ে বের করেছেন চঞ্চলবাবু। প্রথমে বাঁশের মাচা তৈরি করেছেন। তার উপরে ইট সাজানো রয়েছে। তার উপর পলিথিন বিছিয়ে ৭-৮ ইঞ্চি পুরু করে মাটি দেওয়া হয়েছে। এভাবেই জমি তৈরি করে দিব্যি তাতে বেড়ে উঠেছে ধান, তিল গাছ। পাশাপাশি ছাদের একাংশে রয়েছে ফুল ও হরেক ফলের গাছও। কাটোয়া ১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা আজমীর মণ্ডল বলেন, “এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। চঞ্চলবাবুর এই প্রচেষ্টা অনেককেই প্রেরণা দেবে।”
[আরও পড়ুন: করোনা যুদ্ধে এগিয়ে গ্রামবাংলার সজনে ডাঁটা, রাজ্যে ব্যাপক হারে শুরু চাষ]
কাটোয়ার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের পানুহাটের বাসিন্দা পেশায় মুদিখানা দোকানদার চঞ্চল চৌধুরিই ছোট থেকেই তাঁর গাছের উপরে টান বলে প্রতিবেশীরা জানান। রাস্তাঘাটে যেখানেই গাছের চারা দেখতে পেতেন তা তুলে নিয়ে এসে নিজের বাড়িতে লাগাতেন ছোটবেলা থেকেই। এখন বাড়িতে টবের মধ্যেই রয়েছে জলপদ্ম, কলসপত্রী, সুর্যমুখী থেকে শুরু করে হংসলতা, লেবু, পেয়ারা, আম-সহ বিভিন্ন ধরনের গাছ। জায়গার অভাবে বাড়ির দেওয়াল জুড়েও মাচা করে নানা প্রজাতির গাছ লাগিয়েছেন টবের মধ্যে। ছাদের উপর জমি তৈরি করে ধানচাষ এটা হয়েছে এই লকডাউনের সময়ের মধ্যে। মিনিকিট প্রজাতির ধান বপন করেছেন তিনি। যদিও চঞ্চল চৌধুরি বলেন, “এখনও পর্যন্ত কোনও রাসায়নিক সার বা কীটনাশক ব্যবহার করিনি। জৈব সার ব্যবহার করছি। আশা করছি ভালই ফলন হবে।”