Advertisement
Advertisement
মণিপুরী ইলিশ

ভোজনরসিক বাঙালির জন্য সুখবর, এবার রাজ্যে শুরু হবে মণিপুরী ইলিশ চাষ

ইলিশের জন্য হাহাকার বাঙালির ঘুচল বলে।

Manipuri Hilsa pengba fish to cultivates in West Burdwan
Published by: Sayani Sen
  • Posted:September 3, 2020 3:38 pm
  • Updated:September 3, 2020 3:38 pm

ধীমান রায়, কাটোয়া: মাছপ্রিয় বাঙালির চাহিদার জোগান একা পূরণ করতে পারে না ইলিশ। তাই বাজারে পেট টিপেই দেখা সার। ভাল ইলিশ আর সেভাবে রান্নাঘরে ঢোকে না গৃহস্থের। তবে অভাব ঘোচাতেই পূর্ব বর্ধমানে এবার চাষ শুরু হয়েছে মণিপুরী ইলিশের। দেখতে দেশি পুঁটিমাছের আদলের। তবে পুঁটির থেকে আকারে ঢের বড়। স্বাদে একেবারে ইলিশের মতো। ইতিমধ্যে পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট, ভাতার, মেমারি ২-সহ কয়েকটি ব্লকে মৎস দপ্তরের সহযোগিতায় মণিপুরী ইলিশ বা পেংবা মাছের চাষ শুরু হয়েছে। ইলিশের জায়গায় পেংবা সকলের মন জয় করে নিতে পারবে বলে আশাবাদী বলে মনে করছেন মৎস বিশেষজ্ঞরা।

পেংবা মাছের প্রচলিত নাম মণিপুরী ইলিশ। মৎস দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সারা দেশের মধ্যে সচরাচর মণিপুরে এই মাছের দেখা মেলে। মণিপুরবাসীর অত্যন্ত প্রিয় এই মাছ। অতুলনীয় স্বাদের জন্য এই মাছের চাহিদা রয়েছে। মণিপুরে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা কিলো দরে বিক্রি হয়। তাই প্রতি বছর মণিপুরে পেংবা দিবস পালিত হয়। মঙ্গলকোট ব্লকের মৎস সম্প্রসারণ আধিকারিক ড: কৌশিক দে বলেন, “লুপ্তপ্রায় প্রজাতির তালিকায় থাকা এই মাছের কৃত্রিম প্রজনন ঘটিয়ে ওড়িশার সেন্ট্রাল ইন্সটিটিউট অফ ফ্রেশ ওয়াটার আ্যকোয়া কালচার বা সিফার মৎস বিজ্ঞানীরা সফলতা লাভ করেন। কৃষি তথ্য উপদেষ্টা কেন্দ্র (আতমা) এবং মৎস দপ্তরের সহযোগিতায় পেংবা মাছের চারা এনে পূর্ব বর্ধমান জেলার মঙ্গলকোট ব্লকে চাষ শুরু হয়েছে। কৌশিকবাবু বলেন, “আগে গবেষণার জন্য ওড়িশা থেকে পেংবা মাছের চারাপোনা আনা হয়েছে। কিন্তু বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় এই মাছের চারা পাওয়া যাচ্ছে। এখন অনেক মৎসজীবীরা এই পেংবা মাছের চাষের দিকে ঝুঁকেছেন। এক বছরে মাছের ওজন প্রায় ৪০০ গ্রাম পর্যন্ত হয়। মেমারি ২, ভাতার, আউশগ্রাম প্রভৃতি ব্লকে পেংবার চাষ শুরু করা হয়েছে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন: ভাল বৃষ্টিপাতে খারিফ শস্যের রেকর্ড ফলন, ফিরতে পারে অর্থনীতির হাল]

পূর্ব বর্ধমান জেলার সহ মৎস অধিকর্তা ড: দেবাশিস পালুই জানিয়েছেন, মূলত চিনের ইউহান প্রদেশের নদীতে হ্রদে, মায়ানমারের চিন্দুইন এলাকার জলাশয়ে এবং মণিপুরে এই পেংবা মাছ পাওয়া যায়। বর্তমানে অন্যান্য এলাকায় পরিবেশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে পেংবা চাষে জোর দেওয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, শীতপ্রধান অঞ্চলের মাছ হলেও বেশি তাপমাত্রাতেও তা চাষ করা সম্ভব। রাজ্যের কার্পজাতীয় মাছের সঙ্গে অনায়াসে পেংবার চাষ খাপ খায়। পেংবা শাকাশি মাছ। তাই অন্যান্য মাছের ক্ষতি করে না। কৌশিকবাবু জানান, এই মাছের জন্য খাবার হিসাবে চালের কুঁড়ো, বাদাম খোলের গুড়ো সমান অনুপাতে মিশিয়ে দিতে হবে। নিয়মিত পুকুরে চুন প্রয়োগ করতে হয়।

Advertisement

ছবি: জয়ন্ত দাস

[আরও পড়ুন: অজানা রোগে মৃত্যু চিংড়ির, করোনা আবহে নয়া বিপদে চিন্তিত রাজ্যের মৎস্যজীবীরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ