রাজা দাস, বালুরঘাট: সাতদিন যাবৎ শৈত্যপ্রবাহ এবং রোদের অভাবে জমিতে মরছে বোরো ধানের বীজ। ফলে কৃষকদের পাশাপাশি উদ্বিগ্ন কৃষি আধিকারিকরাও। বিকল্পভাবে ধানের বীজ রক্ষা করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর।
অগ্রহায়ণ মাসে আমন ধান ঘরে উঠতেই বোরো ধান চাষে তোড়জোড় শুরু করেছে কৃষকেরা। জেলায় আমন চাষ প্রধান হলেও বোরো ধানের আবাদ হয় ৭০ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে। পৃথক পৃথক বীজতলা বানিয়ে এই মহূর্তে বোরো ধানের বীজ তৈরি করছেন কৃষকরা। কিন্তু সেই বীজ বা ধানের চারাগাছ সাদা হয়ে মরতে বসছে। আর এর জন্য আবহাওয়াকেই দায়ী করেছেন কৃষক এবং কৃষি আধিকারিকরা। কারণ, সাতদিন যাবৎ শৈত্যপ্রবাহ এবং রোদের অভাবে এই সমস্যা বলেই মনে করা হচ্ছে। ধানের চারাগুলি রক্ষা করতে এক শ্রেণির কৃষক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেও কমছে না উদ্বেগ।
[আরও পড়ুন: বন্ধুদের সঙ্গে নিয়ে নাবালিকা প্রেমিকাকে গণধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ৫ আদিবাসী যুবক]
কৃষক নরেশ বর্মণ, কমল সরকারের কথায়, “এই সময় তাঁরা কিছু জমিতে বোরো ধানের চাষ করেন। সেই অনুযায়ী বীজতলা তৈরি করেছেন। কিন্ত বিরূপ আবহাওয়ায় তারা অত্যন্ত দুশ্চিন্তায়। এক টানা এই পরিস্থিতি থাকলে বোরো চাষ মার খাবে।” তাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য এই মুহূর্তে কৃষি দপ্তরের পরামর্শ নিচ্ছেন তাঁরা। জেলা কৃষি আধিকারিক জ্যোর্তিন্ময় বিশ্বাস জানান, “তারাও বেশ দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। তবে কয়েকদিনের মধ্যে এই আবহাওয়া কাটবে বলে আশা তাঁদের।” এই পরিস্থিতিতে অনেক কৃষক চারাগাছে হরমোন প্রয়োগ করে থাকেন। সেগুলো প্রয়োগ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হচ্ছে। এখন বীজতলাগুলি রক্ষা করতে পলিথিন জাতীয় কিছু দিয়ে ঢেকে রাখতে হবে। পাশাপাশি চারাগাছের গোরায় ছাই ছিটিয়ে দিয়ে বীজতলা রক্ষা করতে কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছেন তারা।