২০ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ৫ ডিসেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

পাঁচ রাজ্যের রায়

মিজোরাম (৪০/৪০) এগিয়ে / জয়ী
এমএনএফ ১০
জেডপিএম ২৭
কংগ্রেস
বিজেপি
অন্যান্য
মধ্যপ্রদেশ (২৩০/২৩০) জয়ী
বিজেপি ১৬৪
কংগ্রেস ৬৫
অন্যান্য
রাজস্থান (১৯৯/২০০) জয়ী
বিজেপি ১১৫
কংগ্রেস ৬৯
অন্যান্য ১৫
ছত্তিশগড় (৯০/৯০) জয়ী
বিজেপি ৫৪
কংগ্রেস ৩৫
অন্যান্য
তেলেঙ্গানা (১১৯/১১৯) জয়ী
বিআরএস ৩৯
কংগ্রেস ৬৪
বিজেপি
এআইএমআইএম
অন্যান্য

Purulia’র বাজার কাঁপাচ্ছে ‘কৃষক বন্ধু জৈব সার’, ব্যবহার হচ্ছে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পেও

Published by: Sayani Sen |    Posted: July 17, 2021 5:45 pm|    Updated: July 17, 2021 5:45 pm

Purulia's 'Krishak Bandhu' fertilizer helps farmer in cultivation । Sangbad Pratidin

ছবি: অমিতলাল সিং দেও

সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: ‘কৃষক বন্ধু জৈব সার’ ব্র্যান্ডিংয়ে জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৈরি করা জৈব সার এল বাজারে। পুরুলিয়ার (Purulia) মানবাজার এক নম্বর ব্লকের জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এই জৈব সার তৈরি করে নজর কেড়েছে জেলায়। জিতুজুড়ি নির্মল উদ্যান নামে জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের কঠিন বর্জ্য নিরাপদ নিষ্কাশনের প্রকল্প থেকে এই ‘কৃষক বন্ধু জৈব সার’ তৈরি হচ্ছে। তৈরি হচ্ছে কেঁচো সারও। জেলাজুড়ে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে এই জৈব সার ব্যবহৃত হচ্ছে। মানবাজার এক নম্বর ব্লকের একশো দিনের কাজে বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এই সার ব্যবহার করছে। এছাড়া সামাজিক বনসৃজনের কাজেও এই সার ব্যবহার করছে বনদপ্তর। পুরুলিয়া শহরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের বাইরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর স্টলেও এই সার বিক্রি হচ্ছে।

রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন বিভাগের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর উপস্থিতিতে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে পুরুলিয়ার জেলাশাসক রাহুল মজুমদারের হাত ধরে এই জৈব সার বাজারে আসে। এই কাজকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সমস্তরকমভাবে সাহায্য করছে মানবাজার এক নম্বর ব্লক প্রশাসন ও পঞ্চায়েত সমিতি। বিডিও মোনাজ কুমার পাহাড়ি বলেন, “জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের এই কাজ প্রশংসনীয়। কৃষক বন্ধু ওই জৈবসার ইতিমধ্যেই বাজার ধরতে শুরু করেছে। সরকারি প্রকল্পের কাজেও এই সার ব্যবহার করা হচ্ছে।”২০২০ সালের ৫ সেপ্টেম্বর এই কঠিন বর্জ্য নিরাপদ নিষ্কাশন প্রকল্পের উদ্বোধন হয় রাষ্ট্রমন্ত্রী সন্ধ্যারানি টুডুর হাত ধরে। ওই উদ্বোধনের এক বছরের আগেই জৈব সার বাজারে চলে আসায় মন্ত্রী ওই গ্রাম পঞ্চায়েতকে বাহবা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, “জিতুজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত ভাল কাজ করছে। তাদের তৈরি করা জৈব সার উন্নত মানের।”

Purulia

[আরও পড়ুন: কীভাবে কেন্দ্র ও রাজ্যের প্রকল্পের সুবিধা পাবেন কৃষকরা? জানুন আবেদনের পদ্ধতি]

বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরীক্ষা করে ছাড়পত্র মেলার পরেই তারা ওই সার বাজারে এনেছেন। ৫০ কেজি, ২৫ কেজি, পাঁচ কেজি এবং এক কেজি সারের প্যাকেট করা হয়েছে। প্যাকেটে লেখা রয়েছে, “পুরুলিয়া জেলার কৃষকের স্বপ্নপূরণের সাথী কৃষক বন্ধু জৈব সার নাইট্রোজেন, পটাশিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ।” ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক রাজু দাস বলেন, “ধান, গম, ফুল, ফল টমেটো, সবজি চাষের জন্য এই সার ব্যবহার করা যাবে। বাজারে জৈব সারের যা দাম তার থেকে অনেকটাই কম দামে আমরা এই সার বিক্রি করছি।” ৫০ কেজি প্যাকেটের দাম রাখা হয়েছে ৬০০ টাকা। ২৫ কেজির দাম ৩০০ টাকা। পাঁচ কেজির প্যাকেট বিক্রি করা হচ্ছে ৬০ টাকায়। ১২ টাকায় মিলছে এক কেজির প্যাকেটও।

Purulia

ওই গ্রাম পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, সার উৎপাদনের জন্য প্রতিদিন সকালে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতজুড়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বর্জ্য সংগ্রহ করা হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রায় ৫০০টি বাড়িতে দু’টি করে বালতি দেওয়া হয়েছে। একটি বালতিতে জৈব আর একটি বালতিতে অজৈব পদার্থ রাখার অনুরোধ করেছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত। তারপর ফি দিন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীরা ই-রিক্সার সাহায্যে বাড়ি বাড়ি থেকে সেই বালতিতে থাকা বর্জ্য গুলি সংগ্রহ করে নিচ্ছেন। এরপর প্রকল্প স্থলে গিয়ে জৈব পদার্থ থেকে জৈব সার যেমন তৈরি হচ্ছে। তেমনই অজৈব পদার্থ গুলিকে প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নানাভাবে কাজে লাগানো হচ্ছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা হস্তশিল্প তৈরিতেও ব্যবহার করছে। এভাবেই আয়ের মুখ দেখছে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত।

[আরও পড়ুন: মাটি ছাড়া স্রেফ জল-আলো-হাওয়াতেই কেল্লা ফতে! পুরস্কৃত বঙ্গতনয়ের নয়া কৃষি মডেল]

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে