Advertisement
Advertisement

Breaking News

দেশের যে কোনও কম্পিউটারে নজর রাখবে শীর্ষ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি, নির্দেশিকা কেন্দ্রের

সন্দেহ হলে নেটদুনিয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যেও নজরদারি।

10 Central Agencies Can Now monitor all computers
Published by: Utsab Roy Chowdhury
  • Posted:December 21, 2018 2:03 pm
  • Updated:December 21, 2018 2:22 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ক্ষমতা বাড়াল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। শুধু ই-মেল বা কল নয়, প্রয়োজনে দেশের যে কোনও কম্পিউটার ডিভাইসে সবধরনের তথ্যের উপর নজরদারি চালাতে পারবে তারা। শুক্রবার এই নোটিস আনল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নতুন সচিব রাজীব গাউবা। আইবি, ইডি বা ইনকাম ট্যাক্সের মতো ১০টি বিভাগের হাতে এই ক্ষমতা তুলে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে জম্মু-কাশ্মীর, অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের মতো স্পর্শকাতর এলাকায় ডিরেক্টরেট অফ সিগনাল ইন্টেলিজেন্স পূর্ণ স্বাধীনতায় কাজ করবে। দিল্লি পুলিশ কমিশনারের হাতেও এই ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

[এনডিএ ছেড়ে কংগ্রেসের হাত ধরলেন কুশওয়াহা, বিহারে চূড়ান্ত আসন রফা!]

Advertisement

শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত হওয়ার পর এক পদস্থ কর্তা জানান, গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে প্রথমবার এই স্বাধীনতা দেওয়া হল। যে কোনও ডিভাইস বা কম্পিউটারের ডেটা স্ক্যান করতে পারবেন তারা। আগে একধরনের ডেটার উপরেই নজরদারি চালানোর অনুমতি ছিল। কিন্তু এবার সবধরনের ডেটার উপর নজরদারি চালাতে পারবে গোয়েন্দা সংস্থা। ইন্টেলিজেন্স বুরো, নার্কোটিক্স কন্ট্রোল বুরো, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট, সেন্ট্রাল বোর্ড অফ ট্যাক্সেস, ডিরেক্টর অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স, ডিরেক্টরেট অফ সিগনাল ইন্টেলিজেন্স, সিবিআই, এনআইএ, র’ ও দিল্লি পুলিশ কমিশনার। এই ১০ গোয়েন্দা সংস্থার হাতে নতুন ক্ষমতা আনলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সচিব। অর্থাৎ শুধু কল ও ই-মেল নয়, কম্পিউটারে পাওয়া যে কোনও তথ্য, যা তদন্তে কাজে লাগতে পারে সব এখন থেকে বাজেয়াপ্ত করতে পারবে গোয়েন্দা সংস্থা। তবে ফোন কলের নজরদারির উপরেও আরও ক্ষমতা বাড়ানো হল। মন্ত্রকের আরেক অফিসার জানান, আগে রাজ্য পুলিশের সাহায্য নিয়ে তদন্ত করতে হত আইবি-কে। নতুন নোটিসে এক্ষেত্রেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। কম্পিউটার বা ডিভাইস সংক্রান্ত তদন্তে কোনও ব্যক্তি, সাবস্ক্রাইবার, ডিভাইস প্রোভাইডার, প্রযুক্তিকর্মীদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে। না করলে সাত বছরের জেল বা জরিমানাও হতে পারে।

Advertisement


২০১১ সালে শেষবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনে পরিবর্তন হয়। সেখানে সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট টেলিফোনের কথোপকথনের উপর নজরদারি চালানোর অনুমতি পায় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে স্বরাষ্ট্রসচিবের অনুমতি নিয়ে ফোন কল ট্যাপ করতে পারতেন গোয়েন্দারা। এবার এই নতুন নোটিসে কম্পিউটার বা ডিভাইসে ডেটা পরীক্ষার ক্ষমতা পেল গোয়েন্দা সংস্থা। মন্ত্রকের অফিসার জানান, এই সময়ে সরকারি গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর ক্ষমতা বাড়াতে ডিভাইসে নজরদারি প্রয়োজন।

[দেরিতে হলেও ঘুম ভেঙেছে প্রধানমন্ত্রীর, জিএসটি নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের]

যদিও সাধারণ মানুষের গোপনীয়তায় সরকারি হস্তক্ষেপের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় হলে ঠিক আছে। তার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার সেটা করতেই পারে। কিন্তু সাধারণ মানুষের উপর এর কেন প্রভাব পড়বে, সেটা জানতে চাই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ