সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১১ বছরের এক নাবালককে ঢাল বানিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে গুলির লড়াই করার সময় খতম হল দুই জঙ্গি। উভয়পক্ষের গুলির মাঝে পড়ে প্রাণ হারাল ওই নাবালকও। শুক্রবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে জম্মু ও কাশ্মীরের বান্দিপোরা জেলায়। মৃত ওই নাবালকের নাম আতিফ বলে জানা গিয়েছে।
বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বান্দিপোরার একটি জায়গায় তল্লাশি চালাতে গিয়েছিলেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাঁদের হাত থেকে বাঁচতে একটি বাড়িতে লুকিয়ে পড়ে দুই জঙ্গি। এর ফলে বিপদে পড়ে ওই বাড়িতে থাকা আতিফ ও তার দুই আত্মীয়। কিছুক্ষণ বাদে তার আত্মীয়রা ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও আতিফকে পণবন্দি করে জঙ্গিরা। সারারাত ধরে গুলির লড়াই চলার পর ওই বাড়িটি যখন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে তখন ভিতরে ঢুকে আতিফ এবং ওই দুই জঙ্গির মৃতদেহ খুঁজে পান জওয়ানরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দুই জঙ্গির মধ্যে একজন লস্কর-ই তইবার সদস্য।
বান্দিপোরার পাশাপাশি সোপিয়ানেও আজ নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে খতম হয়েছে এক জঙ্গি। বাকি জঙ্গিদের সন্ধানে এখনও সেখানে তল্লাশি চলছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই সোপিয়ানেরই ইমান সাহিব এলাকায় খতম হয় দুই জঙ্গি।
এতদিন জম্মু ও কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন বা জেহাদের নামে জঙ্গিরা যে সন্ত্রাস চালাত তাতে নাবালকদের পণবন্দি করার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি। কিন্তু, এবার জেহাদের নামে নাবালকদের ঢাল বানিয়ে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে লড়াই করার ঘটনাও ঘটছে। যা দেখে প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন, ভূমিপুত্রদের পণবন্দি ব্যবহার করার নতুন পদ্ধতি দেখে মনে হচ্ছে ওই জঙ্গিরা কেউ কাশ্মীরের বাসিন্দা নয়, অনুপ্রবেশকারী।
[‘পাকিস্তানে হামলা অনুচিত’, সেনাকে কাঠগড়ায় তুলে বিতর্কে কংগ্রেস নেতা]
জম্মু ও কাশ্মীরে যখন জঙ্গি নিধনে একের পর এক সাফল্য আসছে ঠিক তখনই সেই মুকুটে যোগ হল আরও একটি পালক। দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেলের আধিকারিকদের হাতে গ্রেপ্তার হল সাজ্জাদ খান নামে এক জইশ-ই-মহম্মদ জঙ্গি। ধৃত সাজ্জাদ পুলওয়ামা জঙ্গি হামলার মূলচক্রী গত মাসে খতম হওয়া মুদাস্সিরের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী ছিল।