সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক : রাজধানীর রাজপথে গিয়ে প্রতিবাদ জানিয়ে লাভ হয়নি। তাই এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিলেন তামিলনাড়ুর ১১১ জন কৃষক। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী আসনে মোদির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য মনোনয়ন জমা দিচ্ছেন তাঁরা। শনিবার একথা জানালেন তামিলনাড়ুর কৃষক নেতা ও ন্যাশনাল সাউথ ইন্ডিয়ান রিভারস ইন্টার-লিঙ্কিং ফার্মারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি পি আইয়াকান্নু।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে আমরা এই কারণেই দাঁড়াতে চাই, যাতে কৃষিপণ্যের ন্যায্য মূল্য দেওয়ার বিষয়টি ইস্তেহারে রাখতে বাধ্য হয় বিজেপি। যে মুহূর্তে ওরা তা করবে আমাদের দাবি পূরণ হয়ে যাবে। আর তখনই মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করে নেব আমরা। আর যদি তা নয় হয় তাহলে আমরা ১১১ জন কৃষক মোদির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামব। এই লড়াইয়ে আমাদের পাশে দেশের সমস্ত কৃষকের পাশাপাশি অল ইন্ডিয়া কিষাণ সংঘর্ষ কো-অর্ডিনেশন কমিটিও রয়েছে। ইতিমধ্যেই বারাণসী যাওয়ার জন্য তিরুভান্নামালাই ও তিরুচিরাপল্লি-সহ বিভিন্ন জেলা থেকে কৃষকরা প্রস্তুতও হয়ে গেছেন। ট্রেনের ৩০০টি টিকিটও কাটা হয়েছে।”
[জাতীয় স্তরে বন্ধুত্ব, তবে রাজ্যে এসে তৃণমূল বিরোধিতায় সরব রাহুল]
তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, অন্য দলগুলোর ইস্তেহারে তাঁদের দাবি নথিভুক্ত করার চেষ্টা না করে কেন শুধুমাত্র বিজেপির উপরই চাপ সৃষ্টি করতে চাইছেন? এর উত্তরে তিনি বলেন,”আমরা বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরোধী নই। কিন্তু, ক্ষমতায় আসার আগে মোদিজি আমাদের দাবিগুলো পূরণ করার ও আমাদের রোজগার দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আর আজও তিনি প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি দেশের শাসকদল। তাই আমরা তাদের কাছেই আমাদের দাবি তুলে ধরছি। তবে, তামিলনাড়ু একমাত্র বিজেপি সাংসদ পন রাধাকৃষ্ণণ তাঁদের ইস্তেহারে নথিভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তাই আমাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে।”
[জোট জল্পনায় ইতি পড়তেই পারস্পরিক দোষারোপে বিমান-সোমেন]
২০১৭ সালে কৃষকদের দাবি আদায়ের জন্য দিল্লির রাজপথে টানা ১০০ দিন অবস্থান বিক্ষোভ চালান তামিলনাড়ুর কৃষকরা। এরপর ২০১৮ সালের নভেম্বর মাসে পি আইয়াকান্নুর নেতৃত্বে দুটি মানুষের মাথার খুলি নিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ওই খুলিদুটি তাঁদের সহযোদ্ধা দুই কৃষকের বলেও সেসময় উল্লেখ করেছিলেন তাঁরা। ঋণের জালে পড়ে তাঁরা আত্মহত্যা করেছিলেন বলে অভিযোগ জানিয়েছিলেন।