Advertisement
Advertisement

রাজ্যে ১৩০ কোটি বাঙালি! দিলীপ ঘোষের বক্তব্যে হাসির রোল নেটদুনিয়ায়

সংসদে দাঁড়িয়ে এ ধরনের মন্তব্য ভাবমূর্তির জন্য ক্ষতিকর, মত বিশেষজ্ঞদের।

130 Crore bengalies leave in Bengal claims Dilip Ghosh
Published by: Subhajit Mandal
  • Posted:June 29, 2019 7:44 pm
  • Updated:June 29, 2019 7:54 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন সরকার আসার পর সংসদের প্রথম অধিবেশনেই নজর কেড়েছেন দুই বাঙালি। একজন অধীররঞ্জন চৌধুরি। যিনি লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা নির্বাচিত হয়েছেন। সরকারিভাবে না হলেও, কার্যক্ষেত্রে তিনিই বিরোধী দলনেতা। অপরজন, মহুয়া মৈত্র। সংসদে যার প্রথম ভাষণ নিয়ে এখন আলোচনা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে। মোদি জমানায় ফ্যাসিবাদের যে লক্ষ্মণগুলি দেখা যাচ্ছে, তাঁর একটি তালিকা তৈরি করে সংসদে শুনিয়েছেন মহুয়া। এ তো গেল নজরকাড়া দুই বাঙালির কথা। সংসদে আরও এক বাঙালি প্রথম অধিবেশনেই নজর কেড়েছেন। তিনি রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তবে, তাঁর নজর কাড়ার কারণটি একটু আলাদা। দিলীপবাবু প্রথমবার সংসদে বলতে গিয়ে মারাত্মক একটি ভুল করে বসেছেন।

[আরও পড়ুন: ছাদ চুইয়ে পড়ছে জল, বছর না ঘুরতেই বেহাল দশা ‘স্ট্যাচু অফ ইউনিটি’-র]

সংসদে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করতে হবে। শুরু থেকেই রণকৌশল তৈরি করে ফেলেছেন এ রাজ্যের বিজেপি সাংসদরা। সেইমতো প্রথম বক্তব্য দিতে উঠেই দিলীপবাবু রাজ্যের মমতা সরকারকে কোণঠাসা করার চেষ্টা শুরু করেন। তাঁর দাবি, কেন্দ্রের সব প্রকল্প থেকে বাংলাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। রাজ্য সরকার রাজনৈতিক কারণে, মোদি সরকারের আনা প্রকল্পগুলির সুবিধা নিতে দিচ্ছে না বাংলার সাধারণ মানুষকে। উদাহরণস্বরূপ তিনি টেনে আনেন আয়ুষ্মাণ ভারত প্রকল্পের নাম। তিনি বলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যের যখন বেহাল অবস্থা। হাসপাতালগুলিতে যখন কিছুই পাওয়া যায় না, তখন ১৩০ কোটি বাঙালিকে বঞ্চিত করছে মমতা সরকার। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। দিলীপবাবু সংসদে দাবি করেছেন, বাংলায় ১৩০ কোটি মানুষ বাস করেন। ২০১১-র আদমশুমারি অনুযায়ী বাংলার জনসংখ্যা কমবেশি ৯ কোটি ১৩ লক্ষ। তার পর আর কোনও আদমশুমারি বাংলায় হয়নি। বাকি প্রায় ১২০ কোটি বাঙালির সন্ধান মেদিনীপুরের সাংসদ কোথায় পেলেন, সে প্রশ্নই করছেন নেটিজেনরা। সংসদে দিলীপবাবুর সেই বক্তব্য নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে, ফেসবুক ওয়ালে ওয়ালে। হোয়াটসঅ্যাপেও পাওয়া যাচ্ছে ভিডিওটি।

Advertisement

[আরও পড়ুন: ‘সারমেয়কে পালটা কামড়ান’, কুকুরে কামড়ানো রোগীকে পরামর্শ চিকিৎসকের]

বিজেপি যখন রাজ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে জমি তৈরি করছে, তখন দলের রাজ্য সভাপতির এমন ভুলভ্রান্তি আর যাই হোক ভাবমূর্তির জন্য স্বাস্থ্যকর নয়, তেমনটাই বলছে রাজনৈতিক মহল। যদিও, দিলীপ ঘোষের এই ধরনের মন্তব্য নতুন কিছু নয়। বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য একাধিকবার সমালোচিত হতে হয়েছে তাঁকে। কদিন আগেই সহজ পাঠ বিদ্যাসাগরের রচনা বলে দাবি করেছিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি।

Advertisement

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ