সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংসদে গ্যাস হামলার প্রতিবাদ করার শাস্তি! তৃণমূলের ডেরেক ও’ব্রায়েনের পর সাসপেন্ড হলেন ১৪ জন বিরোধী সাংসদ। এদের মধ্যে ৯ জন কংগ্রেসের সদস্য। এই ১৫ সাংসদের বিরুদ্ধেই ‘অনিয়ন্ত্রিত আচরণে’র অভিযোগ তুলল শাসকদল।
বুধবার সংসদের মধ্যে স্মোক বম্ব নিয়ে দুই ব্যক্তির হানা দেওয়ার ঘটনা নিয়ে উত্তাল গোটা দেশ। বৃহস্পতিবারও এই ইস্যুতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদের দুই কক্ষ। নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনায় আলোচনার দাবি করে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ শুরু করেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি ছিল, এদিনের গোটা অধিবেশনেই নিরাপত্তা লঙ্ঘন নিয়ে আলোচনা হোক। কিন্তু লোকসভা বা রাজ্যসভা কোনও হাউসেই এই দাবি মানা হয়নি। উলটে ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখানোর জন্য প্রথমে রাজ্যসভায় তৃণমূলের দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়।
লোকসভাতেও ওই একই পদক্ষেপ করা হয়েছে একাধিক সাংসদের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে সাসপেন্ড হয়েছেন মোট ১৫ জন বিরোধী সাংসদ। এদের মধ্যে ৯ জন কংগ্রেসের, দুজন সিপিএমের, দুজন ডিএমকের তৃণমূলের একজন এবং একজন সিপিআইয়ের। সাসপেন্ড হওয়া সাংসদদের উল্লেখযোগ্য হলেন, মানিকম ঠাকুর, কানিমোঝি, ডিন কুরিয়াকোসে, হিবি ইডেন, জোথিমানি, রাম্যা হরিদাস এবং টি এম প্রাথপন। শীতকালীন অধিবেশনে আর অংশ নিতে পারবেন না এই ১৫ সাংসদ।
সূত্রের খবর, লোকসভার সাংসদদের বিরুদ্ধে অনিয়ন্ত্রিত আচরণের অভিযোগ তোলেন খোদ স্পিকার ওম বিড়লা। তার পরই এদের বিরুদ্ধে প্রস্তাব পাশ করান সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী প্রহ্লাদ যোশী। স্বাভাবিকভাবেই এই পদক্ষেপে ক্ষুব্ধ কংগ্রেস। এদিকে ডেরেক ও’ব্রায়েনকে নিয়ে রাজ্যসভায় একপ্রস্ত নাটক হয়েছে। চেয়ারম্যান ধনকড়ের অভিযোগ, সাসপেন্ড করার পরও রাজ্যসভায় প্রবেশ করেছেন ডেরেক। তৃণমূল সাংসদের আচরণ রাজ্যসভার কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে। ক্ষোভে অধিবেশন মুলতুবিও করে দেন চেয়ারম্যান।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.