Advertisement
Advertisement

Breaking News

অস্ত্র ছেড়ে মূলস্রোতে ফিরল অসমের ১ হাজার ৬১৫ NDFB জঙ্গি

NDFB'র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

1615 NDFB cadres lay down arms at surrender ceremony in Assam
Published by: Monishankar Choudhury
  • Posted:January 31, 2020 11:05 am
  • Updated:August 21, 2020 1:56 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অস্ত্র ছেড়ে সমাজের মূলস্রোতে ফিরে এল ১ হাজার ৬১৫ জন বড়ো জঙ্গি। বৃহস্পতিবার গুয়াহাটিতে অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল এবং রাজ্যের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার সামনে আত্মসমর্পণ করল ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক ফ্রন্ট অফ বোড়োল্যান্ড (NDFB)-এর তিন গোষ্ঠীর সদস্যরা। 

পুলিশ সূত্রে খবর,  অত্যাধুনিক এ কে সিরিজের রাইফেল, হালকা মেশিনগান, স্টেনগান-সহ ৪ হাজার ৮০০টিরও বেশি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দিয়েছে আত্মসমর্পণকারী বড়ো জঙ্গিরা। বহুদিন ধরেই পৃথক বড়োল্যান্ডের দাবিতে সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে এসেছে NDFB। এবার সেই রক্তাক্ত অধ্যায়ে ইতি পড়তে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। এদিকে, NDFB’র এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই উপলক্ষে মুখ্যমন্ত্রী সোনওয়াল বলেন, “অসমের জন্য আমাদের একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। ভারত ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই রাজ্যকে প্রথম সারিতে তুলে আনতে হবে। হিংসার পথ ছেড়ে আপনাদের উন্নয়নের পথে শামিল হতে হবে।”

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত ২৭ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের উপস্থিতিতে বোড়ো সংগঠন এনডিএফবি এবং অল বোড়ো স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সঙ্গে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত করে কেন্দ্র ও অসম সরকার। ওই চুক্তি অসমের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের সূচনা করবে বলেও মন্তব্য করেন অমিত শাহ।  পাশাপাশি বড়ো জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের জন্য একাধিক শিক্ষা, চিকিৎসা, কারিগরী প্রতিষ্ঠান স্থাপন করা হবে বলেও জানিয়েছে কেন্দ্র। 

Advertisement

এদিকে, কেন্দ্রের সঙ্গে শান্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে উলফার সংগ্রামপন্থী শাখার প্রধান পরেশ বরুয়ার অসমে ফেরার জল্পনা জোরাল হচ্ছে। এর জন্য সংগঠনটির সঙ্গে ‘ব্যাক ডোর’ আলোচনাও চলছে। বাল্যবন্ধু রেবতী ফুকনের আবেদনে সাড়া দিয়েছেন পরেশ বরুয়া। ‘স্বাধীন অসম’-এর দাবি ছেড়ে এবার আলোচনার জন্য প্রায় ৪০ বছর পর অসমে ফিরতে পারেন তিনি। যদিও, এর আগে একাধিকবার শান্তি প্রক্রিয়া এড়িয়ে গিয়েছেন বরুয়া। তাঁর দাবি ছিল, আলোচনা হলে তা হবে কোনও নিরপেক্ষ দেশে। এবং সেই শান্তি প্রক্রিয়া হবে রাষ্ট্রসংঘের নজিরদারিতে। এমনকী এবারের সাধরণতন্ত্র দিবসে অসমে একাধিক বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে সংগঠনটি।           

[আরও পড়ুন: ভারতকে ইসলামিক রাষ্ট্র বানাতে চাইছে শারজিল ইমাম, দাবি দিল্লি পুলিশের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ