Advertisement
Advertisement

Breaking News

Pune

নাবালককে বাঁচাতে ডাস্টবিনে ফেলা হয় রক্তের নমুনা! পুণের পোর্শে কাণ্ডে গ্রেপ্তার ২ চিকিৎসক

নাবালকের রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ জানতেই ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছিল নমুনা।

2 doctors arrested for destroying blood sample of Pune teen

ফাইল ছবি।

Published by: Anwesha Adhikary
  • Posted:May 27, 2024 1:39 pm
  • Updated:May 27, 2024 1:39 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুণের পোর্শে দুর্ঘটনায় নয়া মোড়। গাড়িচালক নাবালকের রক্তের নমুনা পরীক্ষা করার বদলে নষ্ট করে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হলেন সরকারি হাসপাতালের দুই চিকিৎসক। জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনার দিন নাবালকের রক্তের নমুনা সংগ্রহ করলেও তা ফেলে দেওয়া হয়। অন্য ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় পরীক্ষার জন্য।

পুণের (Pune) পুলিশ কমিশনার অমিতেশ কুমার জানান, সাসুনের সরকারি হাসপাতালে অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা পরীক্ষার কথা ছিল। সেই মতো নমুনা সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু সেই নমুনা ফরেন্সিকে পাঠানোর বদলে ডাস্টবিনে ফেলে দেন শ্রীহরি হালনোর নামে এক কর্মী। হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান অজয় তাওড়ের নির্দেশেই এই কাজ করেন শ্রীহরি। তদন্তে নেমে এই দুই ব্যক্তিকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

Advertisement

[আরও পড়ুন: মাঝরাতে হাইওয়েতে মিম নেতাকে লক্ষ্য করে গুলিবৃষ্টি দুষ্কৃতীদের, শোরগোল মহারাষ্ট্রে

জানা গিয়েছে, অন্য একটি হাসপাতালেও অভিযুক্ত নাবালকের রক্তের নমুনা পাঠানো হয়েছিল। সেখানকার ডিএনএ রিপোর্টের সঙ্গে সাসুনের হাসপাতালের রিপোর্ট মেলেনি। সেখান থেকেই প্রমাণিত হয়, বদলে দেওয়া হয়েছিল রক্তের নমুনা। তাছাড়া হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজেও রক্তের নমুনা ফেলে দেওয়ার প্রমাণ মিলেছে। উল্লেখ্য, দুর্ঘটনার রাতে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিল ওই নাবালক। তার রক্তে অ্যালকোহলের পরিমাণ জানতেই ফরেন্সিকে পাঠানো হয়েছিল নমুনা। সেটাও পালটে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে বলে অভিযোগ।

Advertisement

প্রসঙ্গত, ওই দুর্ঘটনার পরে নাবালককে বাঁচাতে গাড়ির ড্রাউভারের উপর দোষ চাপাতে চেয়েছিল গোটা পরিবার। তারা চেয়েছিল, গোটা ঘটনার দায় নিক পোর্শে গাড়ির চালক। তাঁর ফোন কেড়ে নিয়ে একটি বাংলোয় আটকে রেখেছিলেন নাবালকের বাবা ও দাদু। চালককে বলা হয়, দুর্ঘটনায় দুজনের মৃত্যুর দায় নিজের কাঁধে নিয়ে নিতে হবে। তবে সময়মতো পুলিশি হেফাজত থেকে ছাড়িয়ে নেওয়া হবে বলেও চালককে আশ্বাস দেয় নাবালকের পরিবার। চালককে অপহরণের দায়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল নাবালকের দাদুকে। এবার গ্রেপ্তার হলেন দুই চিকিৎসককে।

[আরও পড়ুন: নির্বাচনী বিজ্ঞাপন মামলা: ‘সুপ্রিম’ তোপের মুখে বিজেপি, কী বললেন বিচারপতিরা?

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ