BREAKING NEWS

১৩ আশ্বিন  ১৪৩০  রবিবার ১ অক্টোবর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

হাথরাস ইস্যুতে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের বিরোধিতা! দুই চিকিৎসককে ছেঁটে ফেলল হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ

Published by: Subhajit Mandal |    Posted: October 21, 2020 11:16 am|    Updated: October 21, 2020 11:16 am

2 doctors connected to Hathras case asked to go by hospital |Sangbad Pratidin

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাথরাস কাণ্ডে (Hathras Case) নয়া এবং চাঞ্চল্যকর মোড়। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত দু’জন চিকিৎসককে ছাঁটাই করল উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। নির্যাতিতার ধর্ষণ এবং মৃত্যু নিয়ে উত্তরপ্রদেশ সরকার যে দাবি করেছিল, এঁরা দু’জনেই তার বিরোধিতা করেন। স্বাভাবিকভাবেই এই দুই চিকিৎসক বরখাস্ত হওয়ায় প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার কিছু আড়াল করার চেষ্টা করছে? যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, এটা রুটিন ছাঁটাই। হাসপাতালের বহু চিকিৎসক অসুস্থ হয়ে পড়ায় চুক্তির ভিত্তিতে এদের নেওয়া হয়েছিল, স্থায়ীভাবে নয়।

জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজ (Jawaharlal Nehru Medical College) আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের (AMU) সঙ্গে যুক্ত। এখানেই প্রথমে ভরতি করা হয়েছিল হাথরাসের নির্যাতিতাকে। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। আলিগড়ের জওহরলাল নেহেরু মেডিক্যাল কলেজে নির্যাতিতার দেখভালের দায়িত্ব ছিল ডাঃ মহম্মদ আজিমুদ্দিন মালিক এবং ডাঃ অবাইদ ইমতিয়াজুল হকের। এদের মধ্যে এই নির্যাতিতা সম্পর্কিত কয়েকটি রিপোর্টে সই করেছিলেন এক চিকিৎসক। অপরজন সরাসরি ধর্ষণ না হওয়ার যে তত্ত্ব উত্তরপ্রদেশ পুলিশ খাড়া করেছিল, তা খারিজ করে দিয়েছিলেন। এদের দু’জনকেই ছেঁটে ফেলেছে আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়। কাকতালীয়ভাবে এদের ছাঁটাই করা হল এই মামলায় আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকদের সিবিআই জেরার ঠিক পরের দিন। বরখাস্ত হওয়া এক চিকিৎসকের দাবি, উত্তরপ্রদেশ সরকারের বিরুদ্ধে বয়ান দেওয়ার জন্যই চাকরি গিয়েছে তাঁর।

[আরও পড়ুন: নির্বাচনী জনসভায় তেজস্বী যাদবকে লক্ষ্য করে ছোঁড়া হল চপ্পল! অস্বস্তিতে আরজেডি]

উল্লেখ্য ফরেনসিক রিপোর্টের দোহাই দিয়ে উত্তরপ্রদেশ পুলিশ দাবি করেছে, হাথরাসের নির্যাতিতার ধর্ষণ হয়নি। কিন্তু ডাঃ মালিক সেই দাবি খারিজ করে দিয়ে বলেন, “ধর্ষণের পোক্ত প্রমাণ পেতে হলে চারদিনের মধ্যে নির্যাতিতার পরীক্ষা হওয়াটা জরুরি। ঘটনার ১১ দিন পর হওয়া পরীক্ষার ভিত্তিতে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোটা বোকামি।” ডাঃ হক আবার বরখাস্ত হওয়ার খবরে হতভম্ব। তিনি বলছেন, “আমি তো হাথরাসের বিচারাধীন বিষয় নিয়ে কিছু বলিইনি। শুধু কয়েকটি রিপোর্টে সই করেছিলাম।”

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে