সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতেও কি থাবা বসাল করোনা ভাইরাস? আতঙ্ক ক্রমশই দানা বাঁধছে। তাতে ইন্ধন জোগালেন চিন থেকে ফেরা মুম্বইয়ের দুই বাসিন্দা। মুম্বই বিমানবন্দরে ওই দু’জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি মিলেছে বলে সংশয় করা হচ্ছে। তাঁদের মৃদু সর্দি-কাশি হয়েছে। দু’জনকেই কস্তুরবা হাসপাতালে হাসপাতালে আইসোলেশন ওয়ার্ডে বিশেষ নজরদারিতে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে বৃহন্মুম্বই পুরসভার এক মেডিক্যাল অফিসার।
কস্তুরবা হাসপাতালের চিকিৎসক ড. কেশকর বলছেন, ”আইসোলেশন ওয়ার্ড এখানে তৈরি হয়েছে, শুধুমাত্র করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া আটকানোর জন্য। আমরা সমস্ত বেসরকারি হাসপাতালগুলিকেও সতর্ক করেছি। বলেছি যে বিশেষত চিন থেকে ফেরা মানুষজনের শারীরিক পরীক্ষা করাতে এবং অসুস্থ অবস্থায় উপসর্গগুলো ভালভাবে লক্ষ্য করতে।” এনিয়ে মহারাষ্ট্র সরকারের স্বাস্থ্য দপ্তরও একটি নির্দেশিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: ঝাড়খণ্ডের লোহারদাগায় CAA’র সমর্থন মিছিলে ধুন্ধুমার,জখম একাধিক]
বুধবার থেকে দিল্লি, মুম্বই, চেন্নাই, কলকাতার বিমানবন্দরগুলিতে অন্তত ১২ হাজার যাত্রীর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয়েছে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর। বেজিংয়ের ভারতীয় দূতাবাস একটি বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “চিনের এই পরিস্থিতির দিকে আমরা নজর রাখছি। এই কারণে আমরা এবছর দূতাবাসে সাধারণতন্ত্র দিবসের সব অনুষ্ঠান বাতিল করছি। আমরা হু-এর পরামর্শও মেনে চলছি। ইউহানের বাসিন্দাদের খাদ্য সরবরাহ-সহ সবরকম সাহায্য করা হচ্ছে।” চিনে থাকা ভারতীয়দের পরিবারের উদ্বেগ কমাতে দূতাবাসে একটি হটলাইন নম্বর চালু হয়েছে। সেখানে তাঁরা খোঁজখবর নিতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: হাউজবোটে দাউদাউ আগুন! জলে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণে বাঁচল শিশু-সহ ১৬ পর্যটক]
চিনের ইউহান অর্থাৎ যেখানে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি, সেখানে বহু ভারতীয় পডু়য়ারা মূলত চিকিৎসাবিজ্ঞানের জন্য উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য যান। সেখানে আটকে পড়েছেন ২৫ জন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী। এঁদের মধ্যে ২০ জন কেরলের বাসিন্দা। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের দেশে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্র। ইউহানের ৩০০ কিমি দূরে ইচাঙের একটি হাসপাতালে ইনটার্ন হিসেবে কর্মরত ১৪ জন কুনমিং বিমানবন্দর থেকে কলকাতায় ফিরবেন বলে জানা গিয়েছে।