১০ অগ্রহায়ণ  ১৪৩০  মঙ্গলবার ২৮ নভেম্বর ২০২৩ 

READ IN APP

Advertisement

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের জের! ৬ মাস পর কাশ্মীরে আংশিকভাবে ফিরছে ইন্টারনেট

Published by: Subhajit Mandal |    Posted: January 15, 2020 11:37 am|    Updated: January 15, 2020 2:35 pm

2G Internet partially restored in J&K Six months after shutdown

ফাইল ফটো

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত সপ্তাহেই সুপ্রিম কোর্ট কাশ্মীরে নাগরিক পরিষেবা বন্ধ করা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিল। এক সপ্তাহের মধ্যে ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করার ব্যপারটি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছিল। তার জেরে এবার আংশিকভাবে ইন্টারনেট পরিষেবা পাওয়া শুরু করলেন উপত্যকাবাসী। জম্মু ও কাশ্মীর প্রশাসনের তরফে তিন পাতার একটি নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছে, বুধবার থেকে কাশ্মীরে আংশিকভাবে ফিরছে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। তবে, আপাতত পরিষেবা দেওয়া হবে কয়েকটি জায়গায়। ধীরে ধীরে গোটা উপত্যকা এর আওতায় আসবে।

Mobile-Internet
প্রশাসনের তরফে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, হাসপাতাল, ব্যাংক, সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং যে সংস্থাগুলি সরকারি পরিষেবা দেয়, তাঁরা এখন থেকে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা পাবে। প্রাথমিকভাবে শ্রীনগর-সহ মধ্য কাশ্মীরে দেওয়া হবে ব্রডব্যান্ড পরিষেবা। ধীরে ধীরে উত্তর কাশ্মীরের বান্দিপোড়া, বারামুলা কুপওয়াড়া, ও দক্ষিণ কাশ্মীরের পুলওয়ামা, কুলগাঁও এবং সোপিয়ানে স্বাভাবিক হবে ইন্টারনেট পরিষেবা। পর্যটন শিল্প পুনরূদ্ধারের লক্ষ্যে হোটেলগুলিতেও ব্রডব্যান্ড পরিষেবা চালু করা হচ্ছে। তবে, এই ব্রডব্যান্ড পরিষেবা ব্যবহার করা যাবে শুধুমাত্র একটি ঠিকানা থেকেই। এবং তাঁরা নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটই দেখতে পাবেন।
শুধু তাই নয়, জম্মুর পাঁচটি জেলায় চালু করা হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেটও। আপাতত ২জি পরিষেবা পাবেন ওই পাঁচ জেলার বাসিন্দারা। তবে, সমস্ত রকম সোশ্যাল সাইটের ব্যবহার পুরোপুরি বন্ধ। আসলে, সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমেই যাবতীয় গুজব ছড়িয়ে অশান্তির চেষ্টা করা হয়। যা নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে কেন্দ্র। সেকারণেই বন্ধ রাখা হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া। 

[আরও পড়ুন: প্রার্থী তালিকায় দুই দাঙ্গায় অভিযুক্তের নাম, দিল্লি বিধানসভা ভোটের আগেই বিতর্কে আপ]

উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে কাশ্মীরের ৩৭০ ধারা বাতিলের সময় থেকে বন্ধ ছিল ইন্টারনেট পরিষেবা। প্রায় ৬ মাস বাদে এখন আংশিকভাবে পরিষেবা পাবেন উপত্যকাবাসী। গত সপ্তাহেই সু্প্রিম কোর্ট কেন্দ্রকে ইন্টারনেট বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ থাকার ফলে জরুরি পরিষেবায় তার ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। যা কাম্য নয় মোটেও। তাই হাসপাতাল, সরকারি ওয়েবসাইট, ব্যাংক, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা চালু করা প্রয়োজন। তারপরই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্ত।

Sangbad Pratidin News App: খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
নিয়মিত খবরে থাকতে লাইক করুন ফেসবুকে ও ফলো করুন টুইটারে