Advertisement
Advertisement
344 teachers in Kerala

রাতারাতি বন্ধ বহু আদিবাসী স্কুল, শিক্ষকরা হলেন ঝাড়ুদার! চরম বিতর্ক বাম শাসিত কেরলে

সরকারি সিদ্ধান্তে হতাশ বহুমুখী শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষকরা।

344 teachers in Kerala turn sweepers overnight | Sangbad Pratidin

প্রতীকী ছবি{

Published by: Kishore Ghosh
  • Posted:April 2, 2022 9:08 pm
  • Updated:April 2, 2022 9:08 pm

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সরকারি নির্দেশ স্কুল উঠে যাচ্ছে, ফলে আর প্রয়োজন নেই শিক্ষকদের। কিন্তু ওই স্কুলগুলিতে কর্মরত শিক্ষকদের কী হবে? সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের সাফাইকর্মী বা ওইরকম কোনও পদে নিয়োগ করা হতে পারে! অর্থাৎ কিনা গতকালও যাঁরা ছিলেন শিক্ষক, তাঁরাই এবার ঝাড়ুদার বনে যাবেন! জানা গিয়েছে, কেরলের (Kerala) আদিবাসী শিক্ষাকেন্দ্রগুলির ৩৪৪ জন শিক্ষকের সঙ্গে এই কাণ্ডই ঘটতে চলেছে!

কেরলের আদিবাসী অধ্যুষিত বিভিন্ন এলাকার এক জন শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে নিয়ে এতদিন চালু ছিল বহুমুখী শিক্ষাকেন্দ্র। সরকারি সিদ্ধান্তে এবার যা উঠে যেতে চলেছে। ইতিমধ্যে পিনারাই বিজায়ন (Pinarayi Vijayan) সরকার স্কুলগুলি বন্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে। এর ফলে সাময়িকভাবে কর্মহীন হয়ে পড়বেন ৩৪৪ জন শিক্ষক। তাঁদেরকেই সাফাইকর্মী পদে নিয়োগ করা হবে বলে জানা গিয়েছে কেরল স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে।

Advertisement

[আরও পড়ুন: দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে হারাতে হবে চাকরি, মধ্যপ্রদেশে সরকারি ফরমান ঘিরে বিতর্ক]

এই ঘটনায় স্বভাবতই হতাশ ওই শিক্ষকরা। সরকার কীভাবে এমন সিদ্ধান্ত নিল ভেবে উঠতে পারছেন না তাঁরা। এই বিষয়ে তিরুঅনন্তপুরম (Thiruvananthapuram) জেলার অম্বুরি অঞ্চলের একটি বহুমুখী শিক্ষাকেন্দ্রের শিক্ষক উষা কুমারী জানান, তাঁরা এতদিন গরিব অদিবাসী পরিবারের শিশুদের ভবিষ্যতে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পথ দেখাচ্ছিলেন। সরকারের বর্তমান সিদ্ধান্তে তাঁরা চূড়ান্ত হতাশ।

Advertisement

বহুমুখি শিক্ষাকেন্দ্রেগুলি আদিবাসী অধ্যুষিত এলাকার হওয়ায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রত্যন্ত অঞ্চলে সেগুলি। উষা কুমারী যেমন প্রায় ১৪ কিলোমিটার পাহাড়ি পথে হেঁটে স্কুলে পৌঁছতেন। এই পরিশ্রমের যে এমন ফল মিলবে তা কোনওভাবেই ভাবতে পারেননি। এমনকী স্কুলগুলির ছাত্ররাও নাকি ঘটনা বিশ্বাস করতে পারছে না, দাবি শিক্ষকের।

[আরও পড়ুন: ৩ লক্ষ কোটির বেশি ঋণ! ‘ফাঁদে’ পড়েছে মোদির নিজের রাজ্য গুজরাট, সতর্ক করল CAG]

এদিকে শিক্ষকরা রাতারাতি ঝাড়ুদার বনে যাওয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে বাম শাসিত কেরলে। সরকারি সিদ্ধান্ত নিয়ে চরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। যদিও কেরলের শিক্ষা সচিব মহম্মদ হানিস জানিয়েছেন, এখনও এই বিষয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে আপাতত “বহুমুখী শিক্ষাকেন্দ্রগুলির প্রায় ৫০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকাকে প্রয়োজন হবে না,” জানিয়েছেন তিনি। তবে শিক্ষকদের সাফাইকর্মী বা অন্য কোনও পদে নিয়োগের বিষয়ে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেই দাবি করেছেন রাজ্যের শিক্ষা সচিব।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ