সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চার বছরের এক শিশু স্কুলেই তার এক সহপাঠীর উপর ‘যৌন নির্যাতন’ চালিয়েছে। আক্রান্ত ছাত্রীর অভিভাবক ওই শিশুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ পর্যন্ত দায়ের করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, স্কুলের সিসিটিভি ফুটেজ খুঁজে বার করে তারা দেখতে চায়, গত শুক্রবার দ্বারকার ম্যাক্সফোর্ট স্কুলে ঠিক কী ঘটেছিল!
ঘটনার দিন বাড়ি ফিরে আক্রান্ত ছাত্রী তার বাবা-মাকে জানায়, তার গোপনাঙ্গে ব্যথা করছে। পরের দিন, অর্থাৎ শনিবার সে জানায়, ক্লাসেরই এক ছাত্র তার গোপনাঙ্গে আঙুল, এমনকী পেনসিলের মতো ধারাল জিনিস ঢুকিয়েছে। আক্রান্ত ছাত্রীকে তার বাবা-মা রকল্যান্ড হাসপাতালে নিয়ে যান। চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেন, শিশুটির উপর যৌন নির্যাতন চালানো হয়েছে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে ছাত্রীর পরিবার। এই ঘটনায় স্কুল কর্তৃপক্ষর বিরুদ্ধেও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে ছাত্রীটির পরিবার। ছাত্রীটি তার বাবা-মাকে এও জানিয়েছে যে, স্কুলের শিক্ষক ও কো-অর্ডিনেটরকে শুক্রবারই ব্যথা করছে জানালেও তাঁরা কোনও পদক্ষেপ করেননি।
আক্রান্ত ছাত্রীর মায়ের দাবি, স্কুলের প্রধানশিক্ষক ফেসবুকে ক্ষমা চান। সেই সঙ্গে গত দু’বছর স্কুল কর্তৃপক্ষকে যে বেতন দিয়েছেন তাঁরা, সেই বেতন সুদ-সহ ফেরত দিক। পুলিশ এই ঘটনায় পক্সো আইনে মামলা রুজু করলেও এখনও প্রবল ধন্দে। কী করে চার বছরের এক শিশুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের মামলা চালানো যাবে, সেটাই বুঝে উঠতে পারছেন না পুলিশ অফিসাররা। চিকিসৎক ও মনোবিদরা বলছেন, চার বছরের এক শিশুর মধ্যে যৌন আকাঙ্খা জন্মাতেই পারে না। তাঁরা বলছেন, এই ঘটনা নজিরবিহীন। পুলিশ এই মামলা অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে চালাক। দিল্লি পুলিশের মুখ্য মুখপাত্র দীপেন্দ্র পাঠক জানিয়েছেন, সাত বছরের কম বয়সী শিশুদের বিরুদ্ধে মামলা কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে ভারতীয় দণ্ডবিধিতে। পুলিশ এই মামলাকে অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গেই গ্রহণ করেছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.