Advertisement
Advertisement

Breaking News

ফ্যামোটিডিন

করোনা চিকিৎসায় আলো দেখাতে পারে ফ্যামোটিডিন অ্যান্টাসিড! দাবি বিশেষজ্ঞদের

চিনের পর ভারতে শুরু হবে এর ট্রায়াল।

40 paise antacid will be new hope for Corona treatment
Published by: Sucheta Chakrabarty
  • Posted:May 2, 2020 5:34 pm
  • Updated:May 17, 2020 6:32 am

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্কের আবহে আশার আলো দেখাতে পারে অ্যান্টাসিড। হ্যা, ঠিকই শুনেছেন। করোনা চিকিৎসায় আশা জাগাতে পারে অ্যান্টাসিড ফ্যামোসিড (Famocid), নতুন গবেষণায় এমনটাই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নিউ ইয়র্কে করোনা রোগীদের উপরে এই ওষুধের ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ভালই ফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করা হয়েছে। চিনেও এই ওষুধের ট্রায়াল চলছে। ভারতে পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায় ফ্যামোসিড। তাই জানা যায়, এই ওষুধকে করোনা মোকাবিলায় ব্যবহারের জন্য প্রয়োগ করা যেতে পারে বলেই আলোচনা করছে মোদি সরকার।

ভারতীয় জনৌষধি পরিযোজনা এবং ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল প্রাইসিং অথরিটি (NPPA)কে এই ওষুধের গুণমান পরীক্ষা ও উৎপাদন বাড়ানোর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। গ্যাস, অম্বল সারানোর ওষুধ ফ্যামোটিডিন পেপটিক আলসার, বুকজ্বালা, পেট ব্যথা, খাদ্যনালীর ঘা বা সংক্রমণজনিত রোগ সারাতেও কাজে আসে। নানা ব্র্যান্ড নামে বিক্রি হয় এই ওষুধ, যেমন ভারতে ফ্যামোসিড, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পেপসিড। মাত্র ৪০ পয়সায় এই ওষুধ পাওয়া যায় ভারতে। ফ্যামোটিডিনের উৎপাদন ও করোনা চিকিৎসায় এই ওষুধের ট্রায়াল কীভাবে হতে পারে সেই সংক্রান্ত বিষয়ে ইতিমধ্যেই একটি জরুরি বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকে ছিলেন কেন্দ্রীয় সার ও রসায়ন মন্ত্রী মনসুখ মান্ডভিয়া।তিনি ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগেরও প্রধান। এই বৈঠকে আরও যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে ফার্মাসিউটিক্যালস বিভাগের সচিব পিডি বাঘেলা, ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা এনপিপিএ-র চেয়ারম্যান শুভ্র সিং এবং জনৌষধি পরিযোজনার সিইও সচীন সিং। এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, “অন্যান্য দেশে করোনা রোগীদের উপর এই ওষুধের সুফলের কথা জেনেই ফ্যামোটিডিনের স্টক বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এখনও অবধি যা রিপোর্ট পাওয়া গেছে তাতে মনে হয় আগামী দিনে ম্যালেরিয়ার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো এর চাহিদাও বাড়বে। তবে দেশে এই ওষুধ পর্যাপ্ত পরিমাণে তৈরি করতে কোনও সমস্যা হবে না।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:১ টাকায় খাবার! করোনা আবহে পেটের জ্বালা মিটবে অসমের জাতীয় সড়কে]

তবে প্রশ্ন হতে পারে কী এই ফ্যামোটিডিন? ফ্যামোটিডিন হল ‘অ্যান্টিহিস্টামিন’ জাতীয় ওষুধ যা অম্বল, গ্যাস, বুকজ্বালা, অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো রোগ সারাতে কাজে আসে। পেপটিক আলসারেও এই ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। করোনার সংক্রমণে যেহেতু খাদ্যনালীর রোগ, পেট ব্যথা, অম্বল-বমিভাবের মতো উপসর্গও দেখা যাচ্ছে, তাই এই ওষুধ সেক্ষেত্রে কাজ করতে পারে বলেই আশা করা হচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ফ্যামোটিডিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে তবে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতো মারাত্মক কিছু নয়। মাথা ব্যথা, পেট খারাপের মতো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়, তবে সেটা রোগীর শারীরিক অবস্থা ও ওষুধের ডোজের উপর নির্ভর করে। কেন্দ্রের অধীনস্থ ফার্মাসিউটিক্যাল এক্সপোর্ট প্রোমোশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান দীনেশ দুয়া বলেন, “ফ্যামোটিডিন অনেক পুরনো ওষুধ। ভারত এই ওষুধ নিজেই বানাতে পারবে, বাইরে থেকে কাঁচামাল আমদানির প্রয়োজন পড়বে না। সান ফার্মা, টোরেন্ট ফার্মাসিউটিক্যালস ও ক্যাডিলা এই ওষুধ তৈরি করে। বছরে সাত কোটির উপর ফ্যামোটিডিন ট্যাবলেট বিক্রি হয় দেশে।”

Advertisement

[আরও পড়ুন:লকডাউনের মার, কর্মীদের ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কাটছে রিলায়েন্স!]

ফ্যামোটিডিন ওষুধের সুফলের কথা প্রথম জানিয়েছিল চিন। উহানের হাসপাতালে প্রবীণদের চিকিৎসায় এই অ্যান্টাসিড ভাল কাজ করেছিল বলেই জানানো হয়েছিল। গত ২৬ এপ্রিল ‘সায়েন্স ম্যাগাজিন’ জার্নালের একটি রিপোর্টে চিনের চিকিৎসক ও গবেষকরা এই ওষুধকে কাজ লাগানো কথা দাবি করেন। চিনা চিকিৎসকদের কথায়, যারা ফ্যামোটিডিন খেয়েছিলেন তাদের মৃত্যুহার ১৪%, আর যাদের খাওয়ানো হয়নি তাদের মৃত্যুহার ২৭% এর কাছাকাছি। তবে এই ওষুধ শুধুমাত্র ট্য়াল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বিস্তারিত কিছু জানা যায়নিষ এখন দেখার ভারতে এই ওষুধ কতটা কাজে আসে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ